প্রাচীর টপকে যাওয়া-আসা দীর্ঘ ১৪বছর*

- আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-দীর্ঘ ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও নিজের বাড়ির রাস্তাটি পায়নি আলাউদ্দীন। তার বাড়ির চারপাশ ও প্রবেশ মুখে প্রাচীর এবং ঘর নির্মাণ হওয়ায় নিজের বাড়ির রাস্তা হারিয়েছেন তিনি। এতে চলাচলের জন্য তার পরিবারটি বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রাচীর টপকে বাইরে আসা-যাওয়া করতে হয় পুরো পরিবারটির। নিজের বাড়ির রাস্তা পাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতেও হয়নি কোন সুরাহা।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের ফার্মপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা আলাউদ্দিন দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তার নিজ মালিকানাধীন জায়গায় বসবাস করে আসছেন। সবকিছু চলছিল ঠিকঠাক। গত ২০১১ সাল থেকে নিজের বাড়ীর রাস্তাটিও হারান তিনি। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই পরিবারটির। বাড়ির চারপাশে তার প্রবেশ মুখে কোনো রাস্তা সংযোগ নেই। আছে শুধু প্রাচীর ও পাকা দালান।জানা গেছে, নিজের বাড়ির রাস্তাটি আরও প্রশ^স্ত করতে ২০১১ সালে প্রতিবেশি আব্দুল ওয়াহেদের স্ত্রীর কাছ থেকে পুনরায় জায়গা কেনেন আলাউদ্দিন। সে সময় শর্ত ছিল, আলাউদ্দিনের পরিবারের জন্য চলাচলের জন্য রাস্তা ছেড়ে পাকা স্থাপনা নির্মান করবেন আব্দুল ওয়াহেদ। কিন্তু সে জমির রাস্তা আজও বুঝে পাননি আলাউদ্দিন। এমন অবস্থায় আলাউদ্দিন আরেক প্রতিবেশীর বাড়ীর ওপর দিয়ে চলাচল করে আসছিল। বর্তমানে তারাও চলাচল করতে নিষেধ করেছেন। এখন প্রতিবেশি ওয়াহেদ বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে রাস্তার জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে প্রাচীর ও ঘর নির্মান করে রাখায় চারদিক থেকে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। রাস্তা না থাকায় অনেক অসুবিধা ও কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন। প্রাচীর পার হয়ে বাইরে যাতায়ত করতে হয় আলাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের।এমন অবস্থায় প্রশাসনের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন বৃদ্ধ আলউদ্দিন। এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন বলেন,আব্দুল ওয়াহেদের কাছ থেকে জমি যখন কিনি তখন বলেছিল জমির রাস্তা দেবে। কিন্তু আজও এখনো রাস্তা দেয়নি। রাস্তা দেওয়ার কথা বলতে গেলেই গালাগালি এবং ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি করে। এভাবে আমার বাড়ির রাস্তা না দিলে চলাচলে প্রতিনিয়ত বিঘ্ন ঘটছে। বাড়ির রাস্তা পাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সদর উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাও এখনো কোনো সুরহা মেলেনি আলাউদ্দিনের দাবি প্রশাসন এগিয়ে আসলে তার বাড়ির রাস্তাটি বুঝে পাবেন।