ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পাথর মেরে মানুষ হত্যার ইতিহাস আর রচনা করতে চাইনা“মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত রূপগঞ্জে অপহরণের ৭ ঘণ্টার মধ্যে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার, এক অপহরণকারী গ্রেপ্তার কুতুবদিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে ৬৩ বছর পরে এগিয়ে এলো পবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিল শাল্লায় বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা বিএনপির ৪৭ বছরের গৌরবগাথা স্মরণে দুমকীতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন জীবননগরে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিলসহ দুজন গ্রেপ্তার সখিপুর ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা, ও ইটের সলিংয়সহ কাজ শতভাগ সম্পন্ন আগৈলঝাড়ায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

প্রযুক্তির বড় ভাই সত্যিই কি এআই?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক: গালিব খাঁন
প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলা।

ঢাকার ভোরবেলা। জানালার কাচে জমে ওঠা শিশির ফোঁটার মতোই জমে আছে মানুষের মনে সংশয়—
যন্ত্রের জগত কি সত্যিই আমাদের দাদা হয়ে উঠছে? না কি ধীরে ধীরে ছায়া হয়ে গ্রাস করছে আমাদের অস্তিত্ব?

রাস্তায় যে ট্রাফিক পুলিশ হাত উঁচিয়ে সিগন্যাল দেয়, তার পাশে দাঁড়িয়ে এক স্মার্ট ক্যামেরা—
যার চোখে ধরা পড়ে না ক্লান্তি, বোঝে না রোদ-বৃষ্টি,
শুধু নির্লিপ্ত এক লেন্সে বন্দি করে দেয় আচরণ, অপরাধ আর নিঃশব্দ বিদ্রোহ।

“এআই”—তিনটি বর্ণ, অথচ এর ধ্বনি যেন ঘুম কেড়ে নেয় বহু মানুষের।
স্ট্যানফোর্ডের AI Index রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বিনিয়োগ হয়েছে ১০৯ বিলিয়ন ডলার।
চীন রয়েছে পিছনে, কিন্তু দৌড় থামেনি কারও।
এ এক টেকনো-যুদ্ধ, যেখানে গোলা-বারুদ নয়, অস্ত্র হচ্ছে অ্যালগরিদম।

Anthropic-এর প্রধান ডারিও আমোডেই বলছেন—
“এই এআই আগামী পাঁচ বছরে অর্ধেক হোয়াইট-কলার চাকরি খেয়ে ফেলবে।
বেকার মানুষ দাঁড়িয়ে থাকবে মেশিনের পাশে—চোখে প্রশ্ন: আমার ঠাঁই কোথায়?”

কিন্তু আমরা কি একে শুধুই ভয় পেতে এসেছি?
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ আমাদের দেখাচ্ছে অন্য এক চিত্র—
মানুষ এআই-এর সঙ্গে কথা বলছে, মন খুলছে, নিঃসঙ্গতা ভাগ করছে;
যেমন কেউ গোপনে ডায়েরির পাতায় নিজের কান্না ফেলে রাখে।

Council of Europe এক চুক্তি করেছে—
“মানবাধিকারের বিরুদ্ধে যেন প্রযুক্তি দাঁড়াতে না পারে—এই হোক শপথ।”
নিয়ন্ত্রণের খসড়া লেখা হচ্ছে, নৈতিকতার ছায়ায় আঁকা হচ্ছে আইন।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়…
এই আইন কি থামাতে পারবে সেই যন্ত্রকে, যে আমাদের ভাষা শিখে, হাসির ধরন বুঝে,
এমনকি কবিতাও লিখে ফেলে—এক নিঃশ্বাসে?

আমরা কি তবে হারিয়ে যাচ্ছি নিজেরই গড়া বুদ্ধির মাঝে?
নাকি এই যন্ত্রকে হাত ধরে হাঁটতে শেখানোই আমাদের আসল চ্যালেঞ্জ?

বৃষ্টিভেজা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে, এক বালক গুগলে টাইপ করছে—
“AI কি মানুষ হয়ে উঠবে?”
তার আঙুলের আড়ালে হয়তো একদিন লেখা হবে ভবিষ্যতের দিগন্ত।

এখনও সূর্য ওঠেনি,
তবু এক আলোকচ্ছটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে—
সেটা যন্ত্রের নয়, মানুষের মনের…
যেখানে প্রশ্ন জাগে, সেখানে উত্তরের সন্ধানও শুরু হয়।

তথ্যসূত্র:
Stanford HAI, AI Index 2025 Report
The Economic Times, AI & Job Loss
Harvard Business Review, GenAI Use
Council of Europe, AI Convention

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

প্রযুক্তির বড় ভাই সত্যিই কি এআই?

আপডেট সময় : ০৩:০৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

প্রতিবেদক: গালিব খাঁন
প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলা।

ঢাকার ভোরবেলা। জানালার কাচে জমে ওঠা শিশির ফোঁটার মতোই জমে আছে মানুষের মনে সংশয়—
যন্ত্রের জগত কি সত্যিই আমাদের দাদা হয়ে উঠছে? না কি ধীরে ধীরে ছায়া হয়ে গ্রাস করছে আমাদের অস্তিত্ব?

রাস্তায় যে ট্রাফিক পুলিশ হাত উঁচিয়ে সিগন্যাল দেয়, তার পাশে দাঁড়িয়ে এক স্মার্ট ক্যামেরা—
যার চোখে ধরা পড়ে না ক্লান্তি, বোঝে না রোদ-বৃষ্টি,
শুধু নির্লিপ্ত এক লেন্সে বন্দি করে দেয় আচরণ, অপরাধ আর নিঃশব্দ বিদ্রোহ।

“এআই”—তিনটি বর্ণ, অথচ এর ধ্বনি যেন ঘুম কেড়ে নেয় বহু মানুষের।
স্ট্যানফোর্ডের AI Index রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বিনিয়োগ হয়েছে ১০৯ বিলিয়ন ডলার।
চীন রয়েছে পিছনে, কিন্তু দৌড় থামেনি কারও।
এ এক টেকনো-যুদ্ধ, যেখানে গোলা-বারুদ নয়, অস্ত্র হচ্ছে অ্যালগরিদম।

Anthropic-এর প্রধান ডারিও আমোডেই বলছেন—
“এই এআই আগামী পাঁচ বছরে অর্ধেক হোয়াইট-কলার চাকরি খেয়ে ফেলবে।
বেকার মানুষ দাঁড়িয়ে থাকবে মেশিনের পাশে—চোখে প্রশ্ন: আমার ঠাঁই কোথায়?”

কিন্তু আমরা কি একে শুধুই ভয় পেতে এসেছি?
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ আমাদের দেখাচ্ছে অন্য এক চিত্র—
মানুষ এআই-এর সঙ্গে কথা বলছে, মন খুলছে, নিঃসঙ্গতা ভাগ করছে;
যেমন কেউ গোপনে ডায়েরির পাতায় নিজের কান্না ফেলে রাখে।

Council of Europe এক চুক্তি করেছে—
“মানবাধিকারের বিরুদ্ধে যেন প্রযুক্তি দাঁড়াতে না পারে—এই হোক শপথ।”
নিয়ন্ত্রণের খসড়া লেখা হচ্ছে, নৈতিকতার ছায়ায় আঁকা হচ্ছে আইন।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়…
এই আইন কি থামাতে পারবে সেই যন্ত্রকে, যে আমাদের ভাষা শিখে, হাসির ধরন বুঝে,
এমনকি কবিতাও লিখে ফেলে—এক নিঃশ্বাসে?

আমরা কি তবে হারিয়ে যাচ্ছি নিজেরই গড়া বুদ্ধির মাঝে?
নাকি এই যন্ত্রকে হাত ধরে হাঁটতে শেখানোই আমাদের আসল চ্যালেঞ্জ?

বৃষ্টিভেজা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে, এক বালক গুগলে টাইপ করছে—
“AI কি মানুষ হয়ে উঠবে?”
তার আঙুলের আড়ালে হয়তো একদিন লেখা হবে ভবিষ্যতের দিগন্ত।

এখনও সূর্য ওঠেনি,
তবু এক আলোকচ্ছটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে—
সেটা যন্ত্রের নয়, মানুষের মনের…
যেখানে প্রশ্ন জাগে, সেখানে উত্তরের সন্ধানও শুরু হয়।

তথ্যসূত্র:
Stanford HAI, AI Index 2025 Report
The Economic Times, AI & Job Loss
Harvard Business Review, GenAI Use
Council of Europe, AI Convention