“পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ীতে কলেজছাত্রীর অনশন”
- আপডেট সময় : ০৮:০৪:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত ওই তরুণীকে বাড়ির গেটের বাইরে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের পরিবারের লোকজন ভেতর থেকে গেট লাগিয়ে ভেতরেই অবস্থান করছেন।
এর আগে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকার রাব্বি আল মামুন ওরফে ইশতিয়াক বুলবুলের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী। তিনি স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ইশতিয়াক বুলবুল লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকার আল আমিনের ছেলে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এমটি শাখায় পিওএমএ পদে কর্মরত।
ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্যমতে, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ডিএমপির পল্টন থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে ইশতিয়াক বুলবুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সপ্তাহ পল্টন থানার পাশে একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করেন।
পরে বাসা ভাড়া নিয়ে আবার নিয়ে আসবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর কয়েকমাস সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখনে। তবে ৫-৬ মাস না যেতেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বুলবুল। পরে স্ত্রীর মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে কাবিননামাসহ বিয়ের সব ডকুমেন্ট গায়েব করে ফেলেন। এতে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে তিনি অনশন শুরু করেছেন।
তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাকিবুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য আমি পুলিশকে জানিয়ে ওই রাতেই গ্রামপুলিশ দিয়ে পাহারায় রেখেছি। যাতে মেয়েটির কোনো ক্ষতি না হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পুলিশ সদস্য ইশতিয়াক বুলবুলের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।