পিরোজপুরে কয়েককোটি টাকা নিয়ে উধাও সাজ্জাদ গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০১:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার:-
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ও পার্শ্ববর্তী চর হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয়ার পর অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। থানা সুত্রে জানা গেছে, একটি মামলায় সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্প নামের একটি প্রকল্পের পরিচালক এবাদুল ওরফে সাজ্জাদ শেখ কে পিরোজপুর কোর্টে প্রেরণ করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ। সাজ্জাদকে আটকের খবর পেয়ে শতাধিক ভুক্তভোগীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে টাকা ফিরে পাওয়ার দাবী এবং প্রতারকের সর্বোচ্চ বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করেন।
জানাযায়, ইন্দুরকানী উপজেলার কলারন গ্রামের ফজলুর রহমান শেখের ছেলে সাজ্জাদ শেখ ‘সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্পের’ পরিচালক পরিচয় দিয়ে দু’বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী ইউয়িনের চর হোগলাবুনিয়া গ্রামে কিছু জমি ক্রায় করে বাসিন্দা হন। এর পরে তিনি সেখানে বিভিন্ন লোকের জমি লিজ নিয়ে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করেন। প্রকল্পের আওতায় একটি ক্লিনিক, ১ম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক দুটি মাদরাসা, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, হেফজ মাদ্রাসা, গরু-ছাগলের খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, মৎস্য চাষ ও ধান চালের প্রকল্প চালু করেন। এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়ে প্রথমে এলাকার শতাধিক নারী পুরুষের নিকট থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়াও মসজিদ, গৃহ নির্মাণ, লোন দেয়া ও বিদেশে লোক পাঠানোর নাম করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়দের কাছ থেকে।
ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম, জয়নাল অবেদিন শেখ, শিক্ষক আব্দুল বারি, আলমঙ্গীর শেখসহ অনেকে জানান, সাজ্জাদ আমাদেরকে বিল্ডিং করে দেওয়ার কথা বলে। বিদেশে কর্মী পাঠানোর কথা বলে। প্রকল্পে চাকরি এবং পাকা ঘর করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমাদের টাকা ফিরিয়ে চাই এবং এই প্রতারকের কঠিন বিচার দাবী করছি। যেন অন্য কোনো প্রতারক এরকমের কাজ না করতে পারে।
প্রসংগত: এর আগে সাজ্জাদ শেখ ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে দফায় দফায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন এবং এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।