ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অন্ধকারে আলোর পথ দেখালেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নেই সোলার লাইট স্থাপন এস আলমের ২০০ একর জমি ক্রোকের আদেশ দিনাজপুরে সংগঠিত হয়ে গেল রংপুর বিভাগীয় কমিটির কর্মীসভা মনিরামপুরে বিএনপির ঐতিহাসিক ঐক্য: একক প্রার্থীর পক্ষে একতাবদ্ধ নেতা-কর্মীরা নেকমরদ সরকারি কলেজের প্রাচীর ঘেঁষে ঘর নির্মাণ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি’র অভিযানে মাদক ও অস্ত্র সহ ৪ জন গ্ৰেফতার শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ০২ জন জলদস্যু গ্রেফতার চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত বাড়ছে ধীরে ধীরে রংপুর জেলার গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় খেজুর বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিষপানে গৃহবধূর মৃত্যু

পলাশবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ : সংস্কার অভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংঙ্কা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নদ নদী গুলোতে নব্যতা , নদী ভাঙ্গন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সংকটে সংস্কার অভাবে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অপরদিকে উপজেলার বড় শিমুলতলা, দিঘকান্দি, নেকটগাড়ী, চেরেঙ্গা, শিশুদহ এলাকাসহ একাধিক স্থানে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বসতবাড়ী ও আবাদী জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে দুই শতাধিক পরিবার। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পারের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো পুরোপুরি অকেজো হয়েছে পড়েছে। যে গুলো দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে ৷

উপজেলার মোট আয়তন- ১৮৫.৩৩ বর্গ কিলোমিটার এ উপজেলায় ২ টি নদ নদী রয়েছে আখিরা নদী স্থানীয় ভাবে যার নাম দুটিতে পরিচিত এর একস্থানে নাম মর্চ নদী অন্যস্থানে নামটি হলো নলেয়া নদী। এ নদটির নব্যতার কারণে নিজের গতি হারিয়ে ফেলেছে, নদ হতে আবাদী জমি গ্রাস করে বিলে রুপ নিয়েছে অপরদিকে এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ আবাদী জমি গুলো সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার এ নদটি দ্রুত খনন করে নব্যতা দুর করণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। এছাড়াও করতোয়া নদী উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত ১ নং কিশোরগাড়ী ও ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ দুইটি ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলোতে ছোট বড় ভাঙ্গন,নদী ও নদীপারের জমি হতে মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টর, ট্রলি,ভেকু ও জ্যাম ট্রাক চলাচলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ এসব বাঁধ দ্রুত সময়ে সংস্কার করা না হলে বর্ষাকালে বন্যায় ফসলি জমি ও বসতবাড়ীসহ উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক ব্যস্ত থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে রংপুর বিভাগের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মোঃ মাহবুবর রহমান জানান,করতোয়া নদী ও আখিড়া নদ নিয়ে স্ট্যাডি চলছে, পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে প্রকল্প গ্রহন করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান জানান, উপজেলার করতোয়া নদীর ভাঙ্গন ,নদ গুলোর নব্যতা রোধে খনন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার বিষয়ে জেলা সমন্বয় মিটিং এ উত্থাপন করা হয়। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ হতে দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধ ও বাঁধ সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন । উপজেলার চেরেঙ্গা এলাকায় বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এবং বর্ষার আগেই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এর বাকি অংশে দ্রুত এ সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। উক্ত নদ নদী গুলো দ্রুত খনন ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।

পলাশবাড়ী উপজেলার নদ ও নদী পারের স্থানীয় ভোক্তভোগী জনসাধারণ ,উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ ও নদী নব্যতা ও ভাঙ্গন রোধ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কারের জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ,স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

পলাশবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ : সংস্কার অভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংঙ্কা

আপডেট সময় : ০২:২০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নদ নদী গুলোতে নব্যতা , নদী ভাঙ্গন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সংকটে সংস্কার অভাবে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অপরদিকে উপজেলার বড় শিমুলতলা, দিঘকান্দি, নেকটগাড়ী, চেরেঙ্গা, শিশুদহ এলাকাসহ একাধিক স্থানে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বসতবাড়ী ও আবাদী জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে দুই শতাধিক পরিবার। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পারের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো পুরোপুরি অকেজো হয়েছে পড়েছে। যে গুলো দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে ৷

উপজেলার মোট আয়তন- ১৮৫.৩৩ বর্গ কিলোমিটার এ উপজেলায় ২ টি নদ নদী রয়েছে আখিরা নদী স্থানীয় ভাবে যার নাম দুটিতে পরিচিত এর একস্থানে নাম মর্চ নদী অন্যস্থানে নামটি হলো নলেয়া নদী। এ নদটির নব্যতার কারণে নিজের গতি হারিয়ে ফেলেছে, নদ হতে আবাদী জমি গ্রাস করে বিলে রুপ নিয়েছে অপরদিকে এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ আবাদী জমি গুলো সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার এ নদটি দ্রুত খনন করে নব্যতা দুর করণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। এছাড়াও করতোয়া নদী উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত ১ নং কিশোরগাড়ী ও ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ দুইটি ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলোতে ছোট বড় ভাঙ্গন,নদী ও নদীপারের জমি হতে মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টর, ট্রলি,ভেকু ও জ্যাম ট্রাক চলাচলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ এসব বাঁধ দ্রুত সময়ে সংস্কার করা না হলে বর্ষাকালে বন্যায় ফসলি জমি ও বসতবাড়ীসহ উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক ব্যস্ত থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে রংপুর বিভাগের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মোঃ মাহবুবর রহমান জানান,করতোয়া নদী ও আখিড়া নদ নিয়ে স্ট্যাডি চলছে, পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে প্রকল্প গ্রহন করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান জানান, উপজেলার করতোয়া নদীর ভাঙ্গন ,নদ গুলোর নব্যতা রোধে খনন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার বিষয়ে জেলা সমন্বয় মিটিং এ উত্থাপন করা হয়। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ হতে দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধ ও বাঁধ সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন । উপজেলার চেরেঙ্গা এলাকায় বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এবং বর্ষার আগেই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এর বাকি অংশে দ্রুত এ সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। উক্ত নদ নদী গুলো দ্রুত খনন ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।

পলাশবাড়ী উপজেলার নদ ও নদী পারের স্থানীয় ভোক্তভোগী জনসাধারণ ,উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ ও নদী নব্যতা ও ভাঙ্গন রোধ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কারের জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ,স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।