ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের হেনস্থা রাউজান প্রেস ক্লাবের প্রবিবাদ ও তীব্র নিন্দা বাকৃবিতে প্রায় ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উপস্থাপন শাল্লায় মাদারিয়া বাঁধে ফাটল জয়পুরে নেই পিআইসি ঝুঁকির মুখে ছায়ার হাওর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে শিশির মনির  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদেশ দেওয়ার পরেও বৈধ শিক্ষক এরশাদের বেতন আটকিয়ে রেখে দাপট দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ ঢাকা সাভার পৌরসভার কুলিবিট ইজারা ৩ মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নূরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড: সনদ পরীক্ষা পুরস্কার বিতরণ মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ওসমানী’ র মৃত্যুবার্ষিকী: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’র গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও বিনম্র শ্রদ্ধা

পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার, যশোর:-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা তিনটায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশে দেওয়া ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। আজ ওই বর্ষের ৫০৬ নম্বর কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি বিভাগে এসেছিলেন। পরীক্ষা শেষে তাঁকে পুলিশে দেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর। সাজ্জাদ এর আগেও ছয়টি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আজ তাঁর ৭ নম্বর পরীক্ষা ছিল। ওই বর্ষের আরও চারটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, অভ্যুত্থান চলাকালে সাজ্জাদ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক পোস্ট দিয়েছেন। কাউকে কাউকে হুমকিও দিয়েছেন। এ কারণে ওই সময়ই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলে তাঁকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অর্থাৎ সাজ্জাদের সঙ্গে কেউ ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। তবে এ সিদ্ধান্ত থাকার পরও সাজ্জাদ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। বিভাগের শিক্ষকদের সহযোগিতায় অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে আলাদা হয়ে অন্য একটি কক্ষে সাজ্জাদ এত দিন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আজ বেলা একটা থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের সামনে জড়ো হন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সাজ্জাদকে প্রথমে প্রক্টর অফিস ও পরে থানায় নিয়ে যান। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সাজ্জাদকে চড়থাপ্পড় দিতে দেখা গেছে। এতে একপর্যায়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীদের অংশ নিতে দেখা গেছে।

জানতে চাইলে রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের মোহাম্মদ আলমগীর নামের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাজ্জাদ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত। এখনো বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে কটূক্তি করে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের পোস্ট ও লেখালেখি করেন। আন্দোলনে হামলার সঙ্গেও তিনি যুক্ত। এসবের প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে। এ ঘটনার তাঁরা বিচার চান।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদকে প্রক্টর অফিসে এনেছিলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। পরে তাঁরা ওই কর্মীর মুঠোফোন ঘেঁটে বিভিন্ন প্রমাণ পেয়েছেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁকে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে।

তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সাজ্জাদকে প্রথমে প্রক্টর অফিস ও পরে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সাজ্জাদকে চড়থাপ্পড় দিতে দেখা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

মোঃ তৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার, যশোর:-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা তিনটায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশে দেওয়া ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। আজ ওই বর্ষের ৫০৬ নম্বর কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি বিভাগে এসেছিলেন। পরীক্ষা শেষে তাঁকে পুলিশে দেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর। সাজ্জাদ এর আগেও ছয়টি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আজ তাঁর ৭ নম্বর পরীক্ষা ছিল। ওই বর্ষের আরও চারটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, অভ্যুত্থান চলাকালে সাজ্জাদ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক পোস্ট দিয়েছেন। কাউকে কাউকে হুমকিও দিয়েছেন। এ কারণে ওই সময়ই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলে তাঁকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অর্থাৎ সাজ্জাদের সঙ্গে কেউ ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। তবে এ সিদ্ধান্ত থাকার পরও সাজ্জাদ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। বিভাগের শিক্ষকদের সহযোগিতায় অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে আলাদা হয়ে অন্য একটি কক্ষে সাজ্জাদ এত দিন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আজ বেলা একটা থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের সামনে জড়ো হন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সাজ্জাদকে প্রথমে প্রক্টর অফিস ও পরে থানায় নিয়ে যান। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সাজ্জাদকে চড়থাপ্পড় দিতে দেখা গেছে। এতে একপর্যায়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীদের অংশ নিতে দেখা গেছে।

জানতে চাইলে রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের মোহাম্মদ আলমগীর নামের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাজ্জাদ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত। এখনো বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে কটূক্তি করে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের পোস্ট ও লেখালেখি করেন। আন্দোলনে হামলার সঙ্গেও তিনি যুক্ত। এসবের প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে। এ ঘটনার তাঁরা বিচার চান।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদকে প্রক্টর অফিসে এনেছিলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। পরে তাঁরা ওই কর্মীর মুঠোফোন ঘেঁটে বিভিন্ন প্রমাণ পেয়েছেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁকে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে।

তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সাজ্জাদকে প্রথমে প্রক্টর অফিস ও পরে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সাজ্জাদকে চড়থাপ্পড় দিতে দেখা গেছে।