পইলে দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহি মাছের মেলা আজ

- আপডেট সময় : ১০:৫৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃমুজিবুর রহমানঃ আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পইলের মাছ মেলা। হাওর এলাকার দেশীয় মাছ দেখতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভীড় করে বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষ। কারণ এখানে বোয়াল, আইড়, পাবদা, রুই, কাতল, চিতল, বাউস, টাকি, পুটি, মাগুরসহ শতাধিক প্রজাতির মাছ বিক্রেতারা নিয়ে আসেন।
এসব দেখলে যে কারো মনে আনন্দ জাগবে। তাই দলে দলে লোকজন মেলায় সমবেত হতে দেখা যায়।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল এলাকার ঈদগাহের কাছে তিন দিনব্যাপী বসেছে দেশীয় মাছ মেলা। মেলায় এ মাছগুলো হবিগঞ্জের হাওর থেকে সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। মূলত মেলা প্রতিবছরের পৌষ সংক্রান্তির দিন। তারপরও মেলার আগের দিন থেকেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। এ বছরের পৌষ সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি। এদিনই পুরো মেলা জমে ওঠে। মেলায় হাজার লোক সমাগম হয় পৌষ সংক্রান্তির দিন। এতে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
এ যেন এক প্রাণের উৎসব। ২০০ বছরের অধিক পুরনো এ মেলায় বিশেষত্ব হল মাছের মেলা। মেলায় হবিগঞ্জ ছাড়াও মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ এমনকি ঢাকা থেকেও লোকের আগমন হয়। মাছের মেলা উপলক্ষে কৃষিজাত পণ্য, শিশু-কিশোরদের খেলনা, দেশীয় ফার্নিচার, তৈজসপত্র, সবজি ও ফল, শীতকালীন পোশাক, মিষ্টান্নসহ সহস্রাধিক স্টল নিয়ে জমে ওঠে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে বৃটিশবিরোধী আন্দোলন ও বাগ্মীনেতা বিপীন পালের জন্ম। আর তার সময়কাল অর্থাৎ ২০০ বছরের অধিক সময়ের পূর্বে পইল গ্রামে পৌষ সংক্রান্তিতে দেশীয় মাছের মেলার প্রচলন শুরু হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও পইল গ্রামের ঈদগাহের পাশে বসছে মাছের মেলা। মেলায় হবিগঞ্জের হাওর এলাকার দেশীয় নানা প্রজাতির কেমিকেলমুক্ত মাছ উঠে। এছাড়াও মেলায় বাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে জেলেরা বড় বড় মাছ বিক্রি করতে আসেন।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি পইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মইনুল হক আরিফ বলেন, মেলা মূলত সংক্রান্তির দিন। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। আগের দিন থেকে বিক্রেতারা মাছ নিয়ে আসেন। এতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য লোকজন জানান, যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ মেলাটি এলাকার সাধারণ মানুষের একটি প্রাণের উৎসব। আবার কবে আসবে এ মেলাটি এ প্রত্যাশাই থাকে সবার। শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত হলেও পইল গ্রামের সঙ্গে আরো উন্নত যোগাযোগ গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের।