নোবিপ্রবিতে বিশ্ব মেছোবিড়াল দিবস উদযাপিত

- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
নোয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(নোবিপ্রবি) বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ আয়োজনে এবং বন অধিদপ্তর ও সিইজিআইএস এর সহায়তায় এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “জনগণ যদি হয় সচেতন মেছোবিড়াল হবে সংরক্ষণ”।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে র্যালি,দেয়াল চিত্র প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, মেছো বিড়ালের উপর প্রেজেন্টেশন, আলোচনা সভা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও ছবি ইলাস্ট্রেশন আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে শেষ হয় র্যালি। র্যালি শেষে দেয়াল চিত্রের উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দীপান্বিতা ভট্টাচার্য, ওয়াইল্ডলাইফ এন্ড বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন অফিসার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, ইব্রাহিম খলিল,ওয়াইল্ডলাইফ এন্ড বায়োডায়ভার্সিটি কনজারভেশন অফিসার, নোয়াখালী, রেঞ্জ এবং শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আ.স.ম. শরীফুর রহমান এবং আহ্বায়ক ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়রা মাহমুদ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন,” কোনো এলাকায় মেছোবিড়ালের উপস্থিতি নির্দেশ করে ঐ এলাকার জলাভূমিতে মাছের প্রাচুর্যতা আছে। মাছের প্রাচুর্যতা আছে বলেই ঐ এলাকায় মেছোবিড়াল থাকে। কোনো একটা দিবস উদযাপনের কারণ বিষয়টার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারা। আইইউসিএন অনুযায়ী মেছোবিড়াল আমাদের দেশে বিপন্ন একটি প্রাণী। পরিবেশে কোনো প্রাণী ই ক্ষতিকর না। প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। মানুষের নিজের ভালো থাকার জন্য পরিবেশ রক্ষা করা জরুরি।”
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. আ.স.ম. শরীফুর রহমান বলেন,মেছোবিড়াল মূলত মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। মানুষের কারনে আজ এরা বিপন্ন প্রায়। কিন্তু পরিবেশের জন্য প্রত্যেক প্রাণিই গুরুত্বপূর্ণ। একটা প্রজাতি হারিয়ে গেলে পুরো খাদ্য শিকল ব্যহত হবে। আমাদের প্রত্যেকটি জীবের প্রতি সদয় হতে হবে। সদয় হওয়ার জন্যই শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ আয়োজন। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজে, তাদের পরিবার, প্রতিবেশীদের সচেতন করলেও অনেকটা প্রচার হয়ে যাবে। ক্যাম্পাসে ও কোথাও মেছোবিড়াল দেখলে রক্ষায় আমরা সচেষ্ট থাকবো।”
আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন উপস্থিত অতিথিরা। পুরস্কার বিতরণ শেষে সচেতনতামূলক নাটক উপস্থাপন করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।