ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করায় থানা ঘেরাও জীবননগর আসামিবিহীন ঔষধ উদ্ধার করেছে বিজিবি তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত কালিগঞ্জে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে রূপান্তরের গনশুনানি অনুষ্ঠিত বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় মহানবীকে নিয়ে কটূক্তিকারি মিলন খান কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কালীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ রাউজানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ঝিনাইদহে ৮ দফা দাবি আদায়ে এটিআই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফটিকছড়ি দাঁতমারার ইউ.পি চেয়ারম্যান আদালত হতে কারাগারে

নীলফামারীতে স্ত্রীর মামলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বামী শ্রীঘরে

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি: স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জামিন না পেয়ে শ্রীঘরে গেছেন অভিযুক্ত স্বামী সোহেল রানা।সোহেল রানা জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই কলোনী মিয়াপাড়া এলাকার মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে।মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হানিফা আক্তার ইতির সাথে প্রায় ১৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়ত মেনে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ভুক্তভোগীর বাবা মেয়ের সুখের জন্য নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ধরণের উপঢৌকণ প্রদান করলেও, অভিযুক্ত সোহেল রানা বিয়ের পর থেকেই ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের কাছে যৌতুকের টাকা দাবী করে আসছে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত সোহেল রানার যৌতুকের দাবী পুরণে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগীর ওপর নেমে আসে অভিযুক্ত সোহেল রানা কর্তৃক নানা শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকলে,অভিযুক্ত সোহেল রানার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাসহ বেশ ক’টি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী।

জানতে চাইলে, ভুক্তভোগী হানিফা আক্তার ইতি জানান, “আমার স্বামী সোহেল রানা ডিমলা উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট ভালো নয়, বিয়ে কালীন সময়ে আমার সুখের জন্য আমার বাবা আমার স্বামীকে নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার উপঢৌকন স্বরুপ প্রদান করে। কিন্তু আমার স্বামী বিয়ের পর থেকেই যৌতুক বাবদ ৫লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। তখন থেকেই আমি আমার বাবার বাড়ীতে দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছি। আমার স্বামী সোহেল রানা আমার ও বাচ্চাদের খোঁজ খবর নেয়া তো দুরের কথা, আমার বাবার বাড়ীতে গিয়েও আমাকে বেধরক মারপিট করে, আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি”।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মুজাহিদ ইসলাম শাহ জানান, “অভিযুক্ত সোহেল রানার বাদী হানিফা আক্তার ইতিকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করে আসছিল। বাদীতার বিরুদ্ধে বাদী নারী শিশু নির্যাতন মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের করেছে”।

রাষ্ট্রপক্ষ্যের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোশাররফ হুসাইন মিন্টু, অতিরিক্ত পিপি, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নীলফামারী বলেন, “বাদিনীর দায়ের করা মামলা যার নম্বর-জি.আর ২০২ মামলায় আসামীপক্ষ জামিন আবেদন করলে, শুনানী অন্তে জামিন না মঞ্জুর করে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত”।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নীলফামারীতে স্ত্রীর মামলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বামী শ্রীঘরে

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি: স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জামিন না পেয়ে শ্রীঘরে গেছেন অভিযুক্ত স্বামী সোহেল রানা।সোহেল রানা জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই কলোনী মিয়াপাড়া এলাকার মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে।মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হানিফা আক্তার ইতির সাথে প্রায় ১৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়ত মেনে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ভুক্তভোগীর বাবা মেয়ের সুখের জন্য নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ধরণের উপঢৌকণ প্রদান করলেও, অভিযুক্ত সোহেল রানা বিয়ের পর থেকেই ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের কাছে যৌতুকের টাকা দাবী করে আসছে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত সোহেল রানার যৌতুকের দাবী পুরণে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগীর ওপর নেমে আসে অভিযুক্ত সোহেল রানা কর্তৃক নানা শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকলে,অভিযুক্ত সোহেল রানার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাসহ বেশ ক’টি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী।

জানতে চাইলে, ভুক্তভোগী হানিফা আক্তার ইতি জানান, “আমার স্বামী সোহেল রানা ডিমলা উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট ভালো নয়, বিয়ে কালীন সময়ে আমার সুখের জন্য আমার বাবা আমার স্বামীকে নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার উপঢৌকন স্বরুপ প্রদান করে। কিন্তু আমার স্বামী বিয়ের পর থেকেই যৌতুক বাবদ ৫লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। তখন থেকেই আমি আমার বাবার বাড়ীতে দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছি। আমার স্বামী সোহেল রানা আমার ও বাচ্চাদের খোঁজ খবর নেয়া তো দুরের কথা, আমার বাবার বাড়ীতে গিয়েও আমাকে বেধরক মারপিট করে, আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি”।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মুজাহিদ ইসলাম শাহ জানান, “অভিযুক্ত সোহেল রানার বাদী হানিফা আক্তার ইতিকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করে আসছিল। বাদীতার বিরুদ্ধে বাদী নারী শিশু নির্যাতন মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের করেছে”।

রাষ্ট্রপক্ষ্যের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোশাররফ হুসাইন মিন্টু, অতিরিক্ত পিপি, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নীলফামারী বলেন, “বাদিনীর দায়ের করা মামলা যার নম্বর-জি.আর ২০২ মামলায় আসামীপক্ষ জামিন আবেদন করলে, শুনানী অন্তে জামিন না মঞ্জুর করে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত”।