নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষক বরখাস্ত
- আপডেট সময় : ০৬:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত ওই দুজন হলেন- সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন রাজন ও সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন। গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পত্র দণ্ডপ্রাপ্তরা গ্রহণ করেছেন বলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিশ্চিত করেছেন।তাদের মধ্যে ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন রাজনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করা এবং রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ২৮ ফেব্রুয়ারির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাময়িক বরখাস্তের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন রাজন এবং সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে এসে বিধি মোতাবেক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বিরোধিতা করে অধ্যক্ষের সাথে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) আবুল হাশেম ও প্রভাষক (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) মাসুদুর রহমান প্রতিবাদ করলে বরখাস্তকৃত ওই দুই শিক্ষক তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এছাড়া সহকারী শিক্ষক ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন রাজনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে উচ্চতর বেতনের আবেদন করার বিষয় প্রমাণিত হয়। এসব বিষয়ে দুই শিক্ষককে দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। একই সাথে ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন রাজনকে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি নোটিশের কোনো জবাব তিনি দেননি। এ কারণে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির গত ২৮ ফেব্রুয়ারির সভায় ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. জিন্নাত আলী বলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ২৮ ফেব্রুয়ারির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহকারী শিক্ষক ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন ও সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা নোটিশ গ্রহণ করেছেন।এ বিষয়ে ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন রাজন বলেন, ‘বরখাস্তের চিঠি আমি পেয়েছি। কিন্তু এটা বহিষ্কারের মতো ঘটনা নয়। মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আর মারামারি তো তারাও করেছে। আমি একা কেন শাস্তি পাবো।