ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি মামলার গ্রেফতার ২ শ্যামনগরে নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন রাণীশংকৈলে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দূর্গা পূজা পালন করা হবে সহকারী পুলিশ সুপার পুলিশ অপকর্ম অপরাধে জড়িয়েছেন -ডিসি মাসুদ রাউজান ডাবুয়ায় শ্রীশ্রী লোকনাথ বাবার আবির্ভাব দিবস উদযাপিত ফেনীর শহীদ মিনার হকার মাদক ব্যবসায়ী কিশোর গ্যাং এর দখলে দুর্নীতি ও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত শ্যামনগর থানার কনস্টেবল সানি নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ বাণিজ্য: কালিগঞ্জ থানার কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিকাশ নাম্বারে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রাণীশংকৈলে বিএনপি ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃতৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার, যশোর:-

নারায়ণগঞ্জে সুরুজ মিয়া ওরফে সুরুজ মেম্বার (৭০) নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় আহত হয়েছেন তার দুই ছেলেসহ ৪ জন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ফতুল্লা উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া এলাকায় মসজিদের সামনে দুইপক্ষের সংঘর্ষে তাদের উপর হামলা হয়। আহতাবস্থায় তাদের পাঁচজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

সুরুজ মেম্বার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। আহতরা হলেন সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০)। অন্য দুজন অটোরিকশা চালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।

সুরুজ মিয়ার ভাগ্নে নূর হোসেন লিখন ও আহত জনির ভাতিজা রিয়াজ উদ্দিন জানান, ইট-বালুর ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু, হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এ ছাড়া সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে সকালে চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে সুরুজ মিয়া সালু ও হিরাকে শাসন করেন।

এর জের ধরে এলাকার মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হিরাসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আহত করে ।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুই পক্ষের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

মোঃতৌহিদুর রহমান, ক্রাইম রিপোর্টার, যশোর:-

নারায়ণগঞ্জে সুরুজ মিয়া ওরফে সুরুজ মেম্বার (৭০) নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় আহত হয়েছেন তার দুই ছেলেসহ ৪ জন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ফতুল্লা উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া এলাকায় মসজিদের সামনে দুইপক্ষের সংঘর্ষে তাদের উপর হামলা হয়। আহতাবস্থায় তাদের পাঁচজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

সুরুজ মেম্বার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। আহতরা হলেন সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০)। অন্য দুজন অটোরিকশা চালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।

সুরুজ মিয়ার ভাগ্নে নূর হোসেন লিখন ও আহত জনির ভাতিজা রিয়াজ উদ্দিন জানান, ইট-বালুর ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু, হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এ ছাড়া সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে সকালে চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে সুরুজ মিয়া সালু ও হিরাকে শাসন করেন।

এর জের ধরে এলাকার মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হিরাসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আহত করে ।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুই পক্ষের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।