ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন পালন গোমদন্ডী দরবারে জিকরে মোস্তফা সম্মেলন সোমবার জামালপুর মাদারগঞ্জে তারতাপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গৌ- মইদৌড় খেলা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা আশুলিয়ায় হিজড়া সম্প্রদায়ের মানববন্ধন, বাৎসরিক ওরশ শরীফে বাঁধা ও চাঁদার দাবি বিবেকানন্দ ষ্টাডি এন্ড ফিলানফ্রপিক সেন্টার অব নিউইয়র্ক উদ্যোগ কম্বল বিতরণ যশোরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উদযাপন নীলফামারীতে আন্তঃজেলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকীতে বাকৃবিতে নিম গাছ রোপণ সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস ঢাকা সাভারে পুলিশের অভিযানে সোয়া ২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান জবি উপাচার্য ।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান জবি উপাচার্য ।

নিজস্ব প্রতিনিধ:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য প্রদত্ত জমির কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বড় প্রকল্প কিংবা অর্থায়ন পেয়েছে তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে এবং নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। কারণ সেই জায়গাগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞ সহ সংশ্লিষ্ট সবার একটি সুন্দর মেলবন্ধন রয়েছে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো খুব আইসোলেটেড। কেরাণীগঞ্জের জমিতে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা,মাটি ভরাট নিয়ে জটিলতা, একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান ও ডিজাইন অনুমোদন না হওয়া সহ নানাবিধ জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

রোববার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে ‘পরিকল্পনা ও প্রকৌশল ভবন’ নির্মাণ এবং ‘ঘাট’ নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন জবি উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র সাত একর জায়গার মধ্যে রয়েছে। এই সাত একরের প্রতিটি ভবনই কোন না কোনভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে পড়াচ্ছেন,শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে আসছে। ছাত্ররা মেসে অমানবিকভাবে জীবনযাপন করছেন। কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে যে জায়গাটা দেওয়া হয়েছে আশা করি সরকার সেই জায়গাটিতে দৃষ্টি দিবেন।

ড. সাদেকা হালিম বলেন, উপাচার্য হিসেবে আমি মনে করি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের লিড মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রীর সাথেও আমাদের বসা প্রয়োজন। কারণ ২০১৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পটি পাওয়ার পরেও কিছু আমলাতান্ত্রিক সীমাবদ্ধ এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। যারা বিশেষজ্ঞ ও আর্কিটেক্ট অর্থাৎ যাদের নিয়ে আমাদের কাজ করার কথা তাদেরকে বারবার চিঠিপত্র দিলেও কোন উত্তর কিংবা সাড়ে দিচ্ছেনা।

জবি উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে কেরাণীগঞ্জে সুন্দর একটি জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দিয়েছেন। সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গবেষণা, বৈষম্যহীন সমাজ,নারীর ক্ষমতায়নে তিনি বিশ্বাসী। তাই শিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছেন গুরুত্ব সহকারে।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর দেরি না করে আমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মিলে শিক্ষা সচিবের সাথে কথা বলেছি যেন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজটি তরান্বিত করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের সহযোগিতা করছে। তবে কাঠামোগত কিছু প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়েছে। আমরা নতুন ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অধিক পরিমাণে খরচ করতে চাইনা। তবে আশেপাশের গ্রাম বা পরিবারগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাঘাত না করে সেদিকেও দৃষ্টি থাকবে আমাদের।

ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান এবং বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ তরান্বিত কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে মতামত প্রদান করেন কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান জবি উপাচার্য ।

আপডেট সময় : ০১:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান জবি উপাচার্য ।

নিজস্ব প্রতিনিধ:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য প্রদত্ত জমির কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বড় প্রকল্প কিংবা অর্থায়ন পেয়েছে তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে এবং নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। কারণ সেই জায়গাগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞ সহ সংশ্লিষ্ট সবার একটি সুন্দর মেলবন্ধন রয়েছে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো খুব আইসোলেটেড। কেরাণীগঞ্জের জমিতে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা,মাটি ভরাট নিয়ে জটিলতা, একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান ও ডিজাইন অনুমোদন না হওয়া সহ নানাবিধ জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

রোববার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে ‘পরিকল্পনা ও প্রকৌশল ভবন’ নির্মাণ এবং ‘ঘাট’ নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন জবি উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র সাত একর জায়গার মধ্যে রয়েছে। এই সাত একরের প্রতিটি ভবনই কোন না কোনভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে পড়াচ্ছেন,শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে আসছে। ছাত্ররা মেসে অমানবিকভাবে জীবনযাপন করছেন। কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে যে জায়গাটা দেওয়া হয়েছে আশা করি সরকার সেই জায়গাটিতে দৃষ্টি দিবেন।

ড. সাদেকা হালিম বলেন, উপাচার্য হিসেবে আমি মনে করি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের লিড মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রীর সাথেও আমাদের বসা প্রয়োজন। কারণ ২০১৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পটি পাওয়ার পরেও কিছু আমলাতান্ত্রিক সীমাবদ্ধ এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। যারা বিশেষজ্ঞ ও আর্কিটেক্ট অর্থাৎ যাদের নিয়ে আমাদের কাজ করার কথা তাদেরকে বারবার চিঠিপত্র দিলেও কোন উত্তর কিংবা সাড়ে দিচ্ছেনা।

জবি উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে কেরাণীগঞ্জে সুন্দর একটি জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দিয়েছেন। সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গবেষণা, বৈষম্যহীন সমাজ,নারীর ক্ষমতায়নে তিনি বিশ্বাসী। তাই শিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছেন গুরুত্ব সহকারে।

তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর দেরি না করে আমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মিলে শিক্ষা সচিবের সাথে কথা বলেছি যেন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজটি তরান্বিত করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের সহযোগিতা করছে। তবে কাঠামোগত কিছু প্রতিবন্ধকতা এখনো রয়েছে। আমরা নতুন ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অধিক পরিমাণে খরচ করতে চাইনা। তবে আশেপাশের গ্রাম বা পরিবারগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাঘাত না করে সেদিকেও দৃষ্টি থাকবে আমাদের।

ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান এবং বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ তরান্বিত কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে মতামত প্রদান করেন কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা।