ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

দৌলতপুর উপজেলা প্রা: শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

দৌলতপুর উপজেলা প্রা: শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:-
দৌলতপুর উপজেলার ৩৫ নং চর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন সীমা তালুকদার উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ এবং ৩৫ নং চর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হকের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী শারমিন সীমা তালুকদার বলেন
আমি মোটরসাইকেল যোগে স্কুলে যাওয়ার সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হই এবং চিকিৎসার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাছে বলে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যাই। আমি অসুস্থ থাকার কারণে বেশিরভাগ সময় আমার মেডিকেলে থাকতে হয়। আমি বিনা বেতনে ছুটিতে থাকার জন্য শিক্ষা অফিসারের পরামর্শ নেই তখন বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ আমাকে নিয়ে অফিসে তার পক্ষে বসিয়ে প্রধান শিক্ষক শামসুল হকের সামনে বলেন মাসে নয় থেকে দশ হাজার টাকা দিলে আপনার দুই একদিন স্কুলে না আসলেও চলবে তখন আমি সেটা রাজি হই কারণ আমি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। ফেব্রুয়ারি মাস ২০২৩ সাল থেকে আমি প্রতিমাসে নয় হাজার টাকা করে প্রধান শিক্ষকের হাতে দেই প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ সকলের মাঝে বন্টন করে দেয় কিন্তু গত অক্টোবর মাসে আমাকে বলে টাকা আরো বাড়িয়ে দিতে হবে এতে আমি অস্বীকৃতি জানালে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাগণ আমার দিগে বিশেষ নজর রাখেন এবং বারবার পরিদর্শন করেন । আমাকে প্রথম দিন স্কুল পরিদর্শনে পেলেও পরের পরিদর্শনে না পেয়ে আমাকে শোকজ করা হয় এবং আমি এর যথাযথ উত্তর দেই পরবর্তীতে আবারো শোকজ করা হয় এবং মৌখিকভাবে আমাকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম নানা সময় আজেবাজে কথা বলে এবং অযথা রাগারাগি করে। আমার ২০২৩ সালের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর অনেক বাকি ছিল কিন্তু পরবর্তীতে দেখি ২০২৩ সালে আমার সব স্বাক্ষর দেয়া হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শামসুল হক জানান শারমিন সীমা তালুকদার ঠিকমতো স্কুল করেনা তাকে আমি স্কুলে আসতে বললেও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে ম্যানেজ করে স্কুলে আসে না, বলেন হাজিরা শীটে তার স্বাক্ষর ছিল না উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার অফিস কক্ষে হাজিরাশীট নিয়ে সব স্বাক্ষর দেয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, শারমিন সীমা তালুকদার আমার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন সহ যে সকল অভিযোগ তুলেছেন তা মিথ্যা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দৌলতপুর উপজেলা প্রা: শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:২৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

দৌলতপুর উপজেলা প্রা: শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:-
দৌলতপুর উপজেলার ৩৫ নং চর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন সীমা তালুকদার উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ এবং ৩৫ নং চর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হকের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী শারমিন সীমা তালুকদার বলেন
আমি মোটরসাইকেল যোগে স্কুলে যাওয়ার সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হই এবং চিকিৎসার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাছে বলে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যাই। আমি অসুস্থ থাকার কারণে বেশিরভাগ সময় আমার মেডিকেলে থাকতে হয়। আমি বিনা বেতনে ছুটিতে থাকার জন্য শিক্ষা অফিসারের পরামর্শ নেই তখন বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ আমাকে নিয়ে অফিসে তার পক্ষে বসিয়ে প্রধান শিক্ষক শামসুল হকের সামনে বলেন মাসে নয় থেকে দশ হাজার টাকা দিলে আপনার দুই একদিন স্কুলে না আসলেও চলবে তখন আমি সেটা রাজি হই কারণ আমি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। ফেব্রুয়ারি মাস ২০২৩ সাল থেকে আমি প্রতিমাসে নয় হাজার টাকা করে প্রধান শিক্ষকের হাতে দেই প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ সকলের মাঝে বন্টন করে দেয় কিন্তু গত অক্টোবর মাসে আমাকে বলে টাকা আরো বাড়িয়ে দিতে হবে এতে আমি অস্বীকৃতি জানালে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাগণ আমার দিগে বিশেষ নজর রাখেন এবং বারবার পরিদর্শন করেন । আমাকে প্রথম দিন স্কুল পরিদর্শনে পেলেও পরের পরিদর্শনে না পেয়ে আমাকে শোকজ করা হয় এবং আমি এর যথাযথ উত্তর দেই পরবর্তীতে আবারো শোকজ করা হয় এবং মৌখিকভাবে আমাকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম নানা সময় আজেবাজে কথা বলে এবং অযথা রাগারাগি করে। আমার ২০২৩ সালের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর অনেক বাকি ছিল কিন্তু পরবর্তীতে দেখি ২০২৩ সালে আমার সব স্বাক্ষর দেয়া হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শামসুল হক জানান শারমিন সীমা তালুকদার ঠিকমতো স্কুল করেনা তাকে আমি স্কুলে আসতে বললেও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে ম্যানেজ করে স্কুলে আসে না, বলেন হাজিরা শীটে তার স্বাক্ষর ছিল না উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার অফিস কক্ষে হাজিরাশীট নিয়ে সব স্বাক্ষর দেয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, শারমিন সীমা তালুকদার আমার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন সহ যে সকল অভিযোগ তুলেছেন তা মিথ্যা।