ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে ছয় বছরের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ৩০ খামারীকে প্রশিক্ষণ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, দশজন আহত ঢাকা সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ে নতুন অধ্যক্ষের যোগদান সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে — মির্জা আলমগীর ডাক্তার শহিদুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জি এম আব্বাস উদ্দিন ঢাকা সাভারে জামিনে বের হয়ে বাদীর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ২৫ দেশে প্রথমবারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি

দেশের সর্ববৃহৎ “ফুল উৎসব” চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ:-
সবুজ প্রাণ প্রকৃতির রূপে সাজে ১৫ লাখ পর্যটকের ২লাখ ফুলের উৎসব,চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে। দেশের সর্বপ্রথম সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও আয়োজনে তৃতীয় ধারাবাহিকতায় মাসব্যাপী ফুল উৎসব। বর্ণাঢ্য জমকালো নানা আয়োজনে মহাসমারহে সবুজের প্রাণ প্রকৃতির সাজে সজ্জিতের আজ দশম দিন। ১৫ লাখ দর্শনার্থী ও পর্যটকের উপস্থিতি ও আকর্ষণে ১৩৬ প্রজাতির ২লাখ নানা ফুলের উৎসব। এবারের আকর্ষণ ভাসমান ফুলবাগান। নানা অনুষ্ঠানিকতায় মাসব্যাপী আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে।

১৪,জানুয়ারি উৎসবের দশম দিন। উৎসবের এক তৃতীয়াংশ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে ” ফুল উৎসব ” ২০২৫ইং । ধারনা করা হচ্ছে এটাই দেশের সর্ববৃহৎ ফুল উৎসব। ১৩৬ প্রজাতির দুই লক্ষাধিক বাহারি ফুলের সমারোহ নিয়ে মাস ব্যাপী ফুল উৎসব শুরু হয়েছে। গতবারের আয়োজনে ৯ লক্ষ পর্যটক হলেও এবারের তৃতীয় ধারাবাহিকতায় ১৫ লক্ষ পর্যটক দর্শবার্থী উপস্থিতি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও থাকছে ঘুড়ি উৎসব, পিঠা উৎসব, নৌকা প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী ও মিউজিক ফেস্ট। নগরবাসীর পর্যটক ও সকল ভ্রমণ পিপাসুদের নিরাপদ সার্বিক সেবায় জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম।

বর্তমান জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ডিসি পার্কের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ফুল উৎসবকে দর্শক দর্শনার্থীর মনোরঞ্জন আকর্ষনে ও জনসাধারণ সেবায় প্রশাসনের সহায়তায় নানা উন্নয়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ।

নগরবাসীর সেবায় ও সকল পর্যটকদের ডিসি পার্ক “ফুল উৎসবে” যাতায়াত সুবিধায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাত্রী শাটল পরিবহন বাস সার্ভিস চালু করেছে। “ফুল উৎসব ” আয়োজনে লাখো ফুলের দর্শনে, ভ্রমণ সুবিধায় আকর্ষণীয় পর্যটন ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য।

ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে গত ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী। আয়োজনের ৩য় বারের মতো আয়োজিত এই ফুল উৎসবে থাকছে ১৩৬ প্রজাতির লক্ষাধিক ফুলের সমারোহ, মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যাল, মাসব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ মেলা, পিঠা উৎসব সহ নানা আয়োজন।

একসময়ে যেখানে ছিল মাদকের হটস্পট, এখন ছেয়েছে ফুলের সুবাসিত সুবাতাস সুগ্রাণে। লাখো রং বেরঙের ১৩৬ রকমের নানা প্রজাতির ফুলে। প্রকৃতির সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচিত করাতেই এই ব্যতিক্রমী “ফুল উৎসব”। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে “চট্টগ্রাম ফুল উৎসব ৪ জানুয়ারী, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বর্ণিল ফুল উৎসব৷ ফুলে ফুলে সেজেছে ডিসি পার্কের অঙ্গন,ফুলপ্রিয় চাটগাঁবাসীর গমনাগমনে মুখরিত উৎসবে পরিণত হয়েছে ডিসি পার্ক সহ আশপাশ এলাকা।

ভ্রমন পিপাসুদের উদ্দেশ্য আয়োজকদের আহবান, চলে আসুন পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সাথে নিয়ে;
সুবাসিত ফুলের ঘ্রাণে, রঙ্গিন কিছু সময় কাটাতে।
ছিল মাদকের হটস্পট, এখন ছেয়েছে লাখো প্রজাতির ফুলে। প্রকৃতির সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচিত করাতেই “ফুল উৎসব”। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে “চট্টগ্রাম ফুল উৎসব ৪ জানুয়ারী, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বর্ণিল ফুল উৎসব৷ ফুলে ফুলে সেজেছে ডিসি পার্কের অঙ্গন,ফুলপ্রিয় চাটগাঁবাসীর গমনাগমনে মুখরিত উৎসবে পরিণত হয়েছে ডিসি পার্ক সহ আশপাশ।

শহর থেকে ডিসি পার্ক শাটল বাস চলাচলের সময় সূচি :
সময়: প্রতিদিন দুপুর ২.৩০ হতে ১৫ মিনিট পর পর
* চট্টগ্রম শপিং কমপ্লেক্স-ডিসি পার্ক: ১নং বাস প্রতিদিন দুপুর ২.৩০ টাকা। ২নং বাস প্রতিদিন দুপুর ২.৪৫ টাকা
৩নং বাস প্রতিদিন বিকাল ৩.০০ টাকা।

* টাইগারপাস-ডিসি পার্ক: ১নং বাস প্রতিদিন বিকাল ৩.১০ টা। ২নং বাস প্রতিদিন বিকাল ৩.৪০ টাকা।
শাটল বাসের ভাড়া: চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্স-ডিসি পার্ক- ৩৫ টাকা। টাইগারপাস-ডিসি পার্ক- ৪০ টাকা।

ডিসি পার্কের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
চট্টগ্রাম জেলাস্থ সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন সলিমপুর মৌজার ১৯৪.১৩ একর সরকারি খাস সম্পত্তিতে কিছু দুষ্কৃতকারী অবৈধভাবে দখল করে মাদক ও নানাবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। পরবর্তীতে জনাব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ১ (এক) মাসের মধ্যে এই বিস্তীর্ণ ভূমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম জলারণ্য শোভিত এই স্থানটি সর্বসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করতে বিভিন্ন ধরণের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাধারণ জনগণ যেন নিরাপদ পরিবেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ, শরীরচর্চা ও অবসর সময় কাটাতে পারেন সেই প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। এখানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো “ফুল উৎসব-২০২৩” আয়োজন করা হয়; যা ব্যাপকভাবে জনসাধারণের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এরই ধারাাহিকতায় ডিসি পার্কে দ্বিতীয়বারের মত বৃহৎ পরিসরে “ফুল উৎসব-২০২৪” এর আয়োজন করা হয়। উক্ত ফুল উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় আট লক্ষাধিক দর্শনার্থী ডিসি পার্ক পরিদর্শন করেন ।

চট্টগ্রাম জেলার বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব ফরিদা খানম ডিসি পার্কের সার্বিক উন্নয়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন । এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টিনন্দন গেইট নির্মাণ, কিডস জোনের উন্নয়ন, ডিসি পার্কের জন্য ওয়েবসাইট নির্মাণ, অনলাইন টিকেট কেনার ব্যবস্থা, বৃহৎ পরিসরে ফুল উৎসব ২০২৫ আয়োজন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন।ভবিষ্যতে এই জায়গায় সাইক্লিং ট্র্যাক, ওয়াকওয়ে, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং, ফেরীস হুইল, সমুদ্র পর্যন্ত উডেন ওয়াকওয়ে, কনভেনশন সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

দেশের সর্ববৃহৎ “ফুল উৎসব” চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

মোহাম্মদ মাসুদ:-
সবুজ প্রাণ প্রকৃতির রূপে সাজে ১৫ লাখ পর্যটকের ২লাখ ফুলের উৎসব,চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে। দেশের সর্বপ্রথম সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও আয়োজনে তৃতীয় ধারাবাহিকতায় মাসব্যাপী ফুল উৎসব। বর্ণাঢ্য জমকালো নানা আয়োজনে মহাসমারহে সবুজের প্রাণ প্রকৃতির সাজে সজ্জিতের আজ দশম দিন। ১৫ লাখ দর্শনার্থী ও পর্যটকের উপস্থিতি ও আকর্ষণে ১৩৬ প্রজাতির ২লাখ নানা ফুলের উৎসব। এবারের আকর্ষণ ভাসমান ফুলবাগান। নানা অনুষ্ঠানিকতায় মাসব্যাপী আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে।

১৪,জানুয়ারি উৎসবের দশম দিন। উৎসবের এক তৃতীয়াংশ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে ” ফুল উৎসব ” ২০২৫ইং । ধারনা করা হচ্ছে এটাই দেশের সর্ববৃহৎ ফুল উৎসব। ১৩৬ প্রজাতির দুই লক্ষাধিক বাহারি ফুলের সমারোহ নিয়ে মাস ব্যাপী ফুল উৎসব শুরু হয়েছে। গতবারের আয়োজনে ৯ লক্ষ পর্যটক হলেও এবারের তৃতীয় ধারাবাহিকতায় ১৫ লক্ষ পর্যটক দর্শবার্থী উপস্থিতি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও থাকছে ঘুড়ি উৎসব, পিঠা উৎসব, নৌকা প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী ও মিউজিক ফেস্ট। নগরবাসীর পর্যটক ও সকল ভ্রমণ পিপাসুদের নিরাপদ সার্বিক সেবায় জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম।

বর্তমান জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ডিসি পার্কের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ফুল উৎসবকে দর্শক দর্শনার্থীর মনোরঞ্জন আকর্ষনে ও জনসাধারণ সেবায় প্রশাসনের সহায়তায় নানা উন্নয়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ।

নগরবাসীর সেবায় ও সকল পর্যটকদের ডিসি পার্ক “ফুল উৎসবে” যাতায়াত সুবিধায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাত্রী শাটল পরিবহন বাস সার্ভিস চালু করেছে। “ফুল উৎসব ” আয়োজনে লাখো ফুলের দর্শনে, ভ্রমণ সুবিধায় আকর্ষণীয় পর্যটন ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য।

ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে গত ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী। আয়োজনের ৩য় বারের মতো আয়োজিত এই ফুল উৎসবে থাকছে ১৩৬ প্রজাতির লক্ষাধিক ফুলের সমারোহ, মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যাল, মাসব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ মেলা, পিঠা উৎসব সহ নানা আয়োজন।

একসময়ে যেখানে ছিল মাদকের হটস্পট, এখন ছেয়েছে ফুলের সুবাসিত সুবাতাস সুগ্রাণে। লাখো রং বেরঙের ১৩৬ রকমের নানা প্রজাতির ফুলে। প্রকৃতির সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচিত করাতেই এই ব্যতিক্রমী “ফুল উৎসব”। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে “চট্টগ্রাম ফুল উৎসব ৪ জানুয়ারী, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বর্ণিল ফুল উৎসব৷ ফুলে ফুলে সেজেছে ডিসি পার্কের অঙ্গন,ফুলপ্রিয় চাটগাঁবাসীর গমনাগমনে মুখরিত উৎসবে পরিণত হয়েছে ডিসি পার্ক সহ আশপাশ এলাকা।

ভ্রমন পিপাসুদের উদ্দেশ্য আয়োজকদের আহবান, চলে আসুন পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সাথে নিয়ে;
সুবাসিত ফুলের ঘ্রাণে, রঙ্গিন কিছু সময় কাটাতে।
ছিল মাদকের হটস্পট, এখন ছেয়েছে লাখো প্রজাতির ফুলে। প্রকৃতির সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচিত করাতেই “ফুল উৎসব”। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে “চট্টগ্রাম ফুল উৎসব ৪ জানুয়ারী, শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বর্ণিল ফুল উৎসব৷ ফুলে ফুলে সেজেছে ডিসি পার্কের অঙ্গন,ফুলপ্রিয় চাটগাঁবাসীর গমনাগমনে মুখরিত উৎসবে পরিণত হয়েছে ডিসি পার্ক সহ আশপাশ।

শহর থেকে ডিসি পার্ক শাটল বাস চলাচলের সময় সূচি :
সময়: প্রতিদিন দুপুর ২.৩০ হতে ১৫ মিনিট পর পর
* চট্টগ্রম শপিং কমপ্লেক্স-ডিসি পার্ক: ১নং বাস প্রতিদিন দুপুর ২.৩০ টাকা। ২নং বাস প্রতিদিন দুপুর ২.৪৫ টাকা
৩নং বাস প্রতিদিন বিকাল ৩.০০ টাকা।

* টাইগারপাস-ডিসি পার্ক: ১নং বাস প্রতিদিন বিকাল ৩.১০ টা। ২নং বাস প্রতিদিন বিকাল ৩.৪০ টাকা।
শাটল বাসের ভাড়া: চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্স-ডিসি পার্ক- ৩৫ টাকা। টাইগারপাস-ডিসি পার্ক- ৪০ টাকা।

ডিসি পার্কের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
চট্টগ্রাম জেলাস্থ সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন সলিমপুর মৌজার ১৯৪.১৩ একর সরকারি খাস সম্পত্তিতে কিছু দুষ্কৃতকারী অবৈধভাবে দখল করে মাদক ও নানাবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। পরবর্তীতে জনাব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ১ (এক) মাসের মধ্যে এই বিস্তীর্ণ ভূমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম জলারণ্য শোভিত এই স্থানটি সর্বসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করতে বিভিন্ন ধরণের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাধারণ জনগণ যেন নিরাপদ পরিবেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ, শরীরচর্চা ও অবসর সময় কাটাতে পারেন সেই প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। এখানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো “ফুল উৎসব-২০২৩” আয়োজন করা হয়; যা ব্যাপকভাবে জনসাধারণের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এরই ধারাাহিকতায় ডিসি পার্কে দ্বিতীয়বারের মত বৃহৎ পরিসরে “ফুল উৎসব-২০২৪” এর আয়োজন করা হয়। উক্ত ফুল উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় আট লক্ষাধিক দর্শনার্থী ডিসি পার্ক পরিদর্শন করেন ।

চট্টগ্রাম জেলার বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব ফরিদা খানম ডিসি পার্কের সার্বিক উন্নয়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন । এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টিনন্দন গেইট নির্মাণ, কিডস জোনের উন্নয়ন, ডিসি পার্কের জন্য ওয়েবসাইট নির্মাণ, অনলাইন টিকেট কেনার ব্যবস্থা, বৃহৎ পরিসরে ফুল উৎসব ২০২৫ আয়োজন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন।ভবিষ্যতে এই জায়গায় সাইক্লিং ট্র্যাক, ওয়াকওয়ে, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং, ফেরীস হুইল, সমুদ্র পর্যন্ত উডেন ওয়াকওয়ে, কনভেনশন সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।