ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রায়পুরায় নির্বাচনপূর্ব শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় চরাঞ্চলে কেন্দ্র পরিদর্শক দুমকিতে নারীকে মারধর ও ঘর লুটপাটসহ প্রাণনাশের হুমকি বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে পবিপ্রবিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত  টেকসই কৃষির চাবিকাঠি প্রযুক্তি -পবিপ্রবি উপাচার্য ড. কাজী রফিকুল ইসলাম শিশু আফিয়া কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা হাটহাজারীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : ১০ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ পুনরুদ্ধার দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে জরুরি আলোচনা সভা বিএনপির ১১৩ আসনে প্রার্থী বদলে রেকর্ড: শীর্ষ আলোচিত সর্ব মহলে আগৈলঝাড়ায় সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ৬ বছরেরও উদ্বোধন হয়নি মডেল মসজিদ

দুমকিতে নারীকে মারধর ও ঘর লুটপাটসহ প্রাণনাশের হুমকি

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

‎মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মোসাঃ ফাতেমা বেগম (৫০)। প্রাণনাশের আশঙ্কা জানিয়ে তিনি রবিবার দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

‎জানা গেছে, মুরাদিয়া সাকিনের জে.এল. নং–২৭, এসএ রেকর্ডীয় খতিয়ান নং–৮৫৫, দাগ নং–৩০২৭-এর মোট ৩২ শতক জমির মূল মালিক ছিলেন দুই ভাই বিশ্বেসর দাস ও নলিত দাস। পরে বিএস খতিয়ান নং–৮১৪ ও দাগ নং–৩০১৩ হিসেবে ১৭ শতকের মালিক হন বিশ্বেসর দাসের ছেলে রমেশ চন্দ্র দাস এবং দাগ নং–৩০১৯ হিসেবে ১৫ শতক জমির মালিক হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হন নলিত দাস। এর মধ্যে রমেশ চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফাতেমা বেগম। অপরদিকে নলিত দাসের জমি ক্রয় করেন ইউনুস শিকদার।

‎বিএস জরিপে জমির মালিকানা সংক্রান্ত ভুলের অভিযোগ তুলে স্থানীয় ইউনুস সিকদার একটি রেকর্ড–সংশোধন (রেকর্ডস্যূট) মামলা দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

‎অভিযোগে আরও বলা হয়, সম্প্রতি নিজের জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করলে বিবাদীরা ঘর ভেঙে নিতে চাপ দেয় ফাতেমা বেগমকে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে ইউনুস সিকদারের ছেলে ও তার নেতৃত্বে কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

‎ফাতেমা বেগম বলেন, ‘বিবাদীরা এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এখন তারা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।’

‎হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস সিকদার বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে থানার গোলঘরে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রোয়েদাদ প্রায় শেষের পথে ছিল। এমন সময় সালিশ বাবুল মাস্টার ও ফতু কিছু না বলেই চলে যান। বাকি সালিশেরা আমাকে রোয়েদাদ করে দিয়েছেন।’

‎ফাতেমা বেগমের ঘর ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কে জানি রাতের আঁধারে আমার জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলেছিল, আবার কারা জানি সেটা ভেঙে নিয়ে গেছে।’

‎দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দুমকিতে নারীকে মারধর ও ঘর লুটপাটসহ প্রাণনাশের হুমকি

আপডেট সময় : ০৭:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

‎মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মোসাঃ ফাতেমা বেগম (৫০)। প্রাণনাশের আশঙ্কা জানিয়ে তিনি রবিবার দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

‎জানা গেছে, মুরাদিয়া সাকিনের জে.এল. নং–২৭, এসএ রেকর্ডীয় খতিয়ান নং–৮৫৫, দাগ নং–৩০২৭-এর মোট ৩২ শতক জমির মূল মালিক ছিলেন দুই ভাই বিশ্বেসর দাস ও নলিত দাস। পরে বিএস খতিয়ান নং–৮১৪ ও দাগ নং–৩০১৩ হিসেবে ১৭ শতকের মালিক হন বিশ্বেসর দাসের ছেলে রমেশ চন্দ্র দাস এবং দাগ নং–৩০১৯ হিসেবে ১৫ শতক জমির মালিক হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হন নলিত দাস। এর মধ্যে রমেশ চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফাতেমা বেগম। অপরদিকে নলিত দাসের জমি ক্রয় করেন ইউনুস শিকদার।

‎বিএস জরিপে জমির মালিকানা সংক্রান্ত ভুলের অভিযোগ তুলে স্থানীয় ইউনুস সিকদার একটি রেকর্ড–সংশোধন (রেকর্ডস্যূট) মামলা দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

‎অভিযোগে আরও বলা হয়, সম্প্রতি নিজের জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করলে বিবাদীরা ঘর ভেঙে নিতে চাপ দেয় ফাতেমা বেগমকে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে ইউনুস সিকদারের ছেলে ও তার নেতৃত্বে কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

‎ফাতেমা বেগম বলেন, ‘বিবাদীরা এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এখন তারা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।’

‎হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস সিকদার বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে থানার গোলঘরে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রোয়েদাদ প্রায় শেষের পথে ছিল। এমন সময় সালিশ বাবুল মাস্টার ও ফতু কিছু না বলেই চলে যান। বাকি সালিশেরা আমাকে রোয়েদাদ করে দিয়েছেন।’

‎ফাতেমা বেগমের ঘর ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কে জানি রাতের আঁধারে আমার জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলেছিল, আবার কারা জানি সেটা ভেঙে নিয়ে গেছে।’

‎দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’