ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার অজ্ঞাতনামা ১(এক) পলাতক আসামী গ্রেফতার কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মচারী শূন্য, সেবায় অচলাবস্থা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন আগৈলঝাড়া সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই…মহাসচিব মির্জা ফখরুল.. ইসলাম আলমগীর পবিপ্রবির আইন অনুষদের নবীন বরণ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কওমী-সুন্নীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হঠাৎ নাটকীয় সমাপ্তি চন্দনাইশ থানার বিশেষ অভিযানে ২টি বন্দুক দেশীয় অস্ত্র সহ আসামি আটক পবিপ্রবিতে শৈবাল গবেষণা, খাবার ও প্রসাধনী শিল্পে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত শৃঙ্খলা ও দক্ষতার অঙ্গীকারে বরগুনায় আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী সাতক্ষীরায় কথিত সাংবাদিক আলামিন সরদারের চাঁদাবাজিতে বিপাকে কর্মকর্তা—কর্মচারী ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদরা

দুমকিতে গৃহবধুর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬০ বার পড়া হয়েছে



‎মোঃ সজিব সরদার,‎স্টাফ রিপোর্টারঃ চাচা-শ্বশুর ও ভায়রাকে দেওয়া ধারের টাকা তুলে স্বামীকে দিতে না পারায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আফসানা ইসরাত বিথী (২৩) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার(০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

‎নিহত বিথী ওই এলাকার মৃত মাস্টার আমির হাওলাদারের কন্যা। তার স্বামী সৈয়দ নাজমুল জাকির নাহিদ সৌদি আরব প্রবাসী। তাদের আড়াই বছরের একটি ছেলে, আফনান, রয়েছে।

‎স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা বিথীকে বাবার বাড়ির নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং উদ্ধার করেন।

‎নাহিদ বলেন, তিনি বিথীর চাচা নুরুল ইসলাম হাওলাদারকে তিন লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুই লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন, বাকি এক লাখ টাকার জন্য বিথীকে বলতে হয়েছিল। এছাড়া তার একাউন্ট থেকে বিথীকে ১২ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছিল, যেখান থেকে ভায়রা মোহন আকন বিল্ডিংয়ের কাজে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। শ্বাশুড়ি ইয়াসমিন বেগমও ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সম্প্রতি ব্যবসা প্রসারিত করতে ধারের টাকাগুলো ফেরত আনতে বিথীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তুলতে পারেননি। নাহিদ দাবি করেন, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো কলহ ছিল না তার।

‎নিহতের মা ইয়াসমিন বেগম সাংবাদিকদের জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি চার লাখ টাকা পান। সেই টাকা এক দেবরকে ব্যবসার জন্য দেন এবং প্রতি মাসে কিছু টাকা পান। সম্প্রতি জামাই নাহিদ ওই টাকা দাবি করলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বেড়ে যায়। এর আগে কলহের কারণে দু’বার থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল।

‎দুমকি থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন , “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দুমকিতে গৃহবধুর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৭:২১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫



‎মোঃ সজিব সরদার,‎স্টাফ রিপোর্টারঃ চাচা-শ্বশুর ও ভায়রাকে দেওয়া ধারের টাকা তুলে স্বামীকে দিতে না পারায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আফসানা ইসরাত বিথী (২৩) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার(০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

‎নিহত বিথী ওই এলাকার মৃত মাস্টার আমির হাওলাদারের কন্যা। তার স্বামী সৈয়দ নাজমুল জাকির নাহিদ সৌদি আরব প্রবাসী। তাদের আড়াই বছরের একটি ছেলে, আফনান, রয়েছে।

‎স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা বিথীকে বাবার বাড়ির নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং উদ্ধার করেন।

‎নাহিদ বলেন, তিনি বিথীর চাচা নুরুল ইসলাম হাওলাদারকে তিন লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুই লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন, বাকি এক লাখ টাকার জন্য বিথীকে বলতে হয়েছিল। এছাড়া তার একাউন্ট থেকে বিথীকে ১২ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছিল, যেখান থেকে ভায়রা মোহন আকন বিল্ডিংয়ের কাজে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। শ্বাশুড়ি ইয়াসমিন বেগমও ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সম্প্রতি ব্যবসা প্রসারিত করতে ধারের টাকাগুলো ফেরত আনতে বিথীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তুলতে পারেননি। নাহিদ দাবি করেন, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো কলহ ছিল না তার।

‎নিহতের মা ইয়াসমিন বেগম সাংবাদিকদের জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি চার লাখ টাকা পান। সেই টাকা এক দেবরকে ব্যবসার জন্য দেন এবং প্রতি মাসে কিছু টাকা পান। সম্প্রতি জামাই নাহিদ ওই টাকা দাবি করলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বেড়ে যায়। এর আগে কলহের কারণে দু’বার থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল।

‎দুমকি থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন , “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”