*দিশা এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ছেলে-স্বামীকে মারধরের অভিযোগ*
- আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
*দিশা এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ছেলে-স্বামীকে মারধরের অভিযোগ*
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কিস্তির টাকা না দিতে পারায় দিশা এনজিওর কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ছেলে ও স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মানিকপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে বাপ্পী হোসেন (২৪)। তিনি অভিযোগে বলেন, আমার মা আনোয়ার খাতুন দিশা এনজিও সংস্থা জীবননগর শাখা থেকে ঋণ নিয়েছিল। আমার মা নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করত। তবে একপর্যায়ে সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে নিয়মিত কিস্তি প্রদানে ব্যর্থ হন। এই অবস্থায় দিশা এনজিওর মাঠকর্মী শিমুল হোসেন (৩২) এনজিও সংস্থার অজ্ঞাতনামা আরও দু’জন মহিলা ও ৩ পুরুষ কর্মীকে নিয়ে শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে আমাদের বাড়ির সামনে ঋণের কিস্তি আদায় করতে আসেন। কিন্তু বাড়িতে আমার মাকে না পেয়ে তারা আমাদের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। এসময় আমার বাবা ফজলুর রহমানকে পেয়ে তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে মারপিট করতে থাকে। এসময় আমি পাশে কাজ করা অবস্থায় ছুটে এসে বাবার মারধর ঠেকানোর চেষ্টা করি। এমন সময় তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এর মধ্যে একজন আমাকে কলম দিয়ে মাথার তিনটি স্থানে এবং দুই হাতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দিশা এনজিওর মাঠকর্মী শিমুল হোসেন বলেন, আমরা মানিকপুরের ওই জায়গায় কিস্তির টাকা ছাড়তে চাচ্ছিলাম না। তবে আনোয়ার খাতুন আমাদের কাছে ধরনা দিয়ে সেখানে এনজিও বসায়। তিনি আমাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল। মাত্র ৮ হাজার টাকা মতো দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমাদের ম্যানেজারকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এসময় আনোয়ার খাতুনের স্বামীর সঙ্গে আমাদের এক নারী সহকর্মীর কথা-কাটাকাটি হচ্ছিল। এমন সময় আনোয়ার খাতুনের ছেলে কোদাল হাতে নিয়ে আমাদের মারতে ছুটে আসেন। এসময় আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় আমাদের ম্যানেজারও আহত হয়েছেন।
জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বলেন, এবিষয়ে উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তধীন।