ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মানিকগঞ্জে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে গাজীপুরে অটো গাড়ি চুরি, স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার জামালপুরে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের উপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী কন্যাকে ফিরে পেলেন স্বামী দীপংকর

দিরা শাল্লায় শিশু শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করায় অভিভাবকদের ক্ষোভ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে

 

উপজেলার গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের অমানবিকভাবে লাঠিপেটা করায় সহকারী শিক্ষক প্রীতবাস দাশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার আনন্দপুর বাজারে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইউপি সদস্য বাবলু রায়, সাবেক ইউপি সদস্য কালাই মিয়া ও মিহির কান্তি রায়সহ হবিবপুর, আনন্দপুর গ্রামের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে অভিভাবক সুশীল চক্রবর্তী বলেন আমার মেয়েকে পীঠে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। আঘাতের ফলে লাল হয়ে গেছে মেয়ের পীঠ। এর বিচার চাই আমি। নিশিকান্ত রায় বলেন আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। আমি ওই শিক্ষকের কাছে আমার মেয়ে অনিরাপদ। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। কৃপেশ চন্দ্র দাশ বলেন আমার মেয়ের হাতে আঘাত করা হয়েছে। অন্য শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু দেখছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন বিচার হওয়া দরকার। আ: খালেক বলেন গরু ছাগলের মত পিঠানো হয়েছে আমাদের মেয়েদেরকে। এরপূর্বেও ওই শিক্ষক শিশুদের মেরেছিল। শিশুদের মারা তার জন্য নতুন কিছু নয়। মিহির কান্তি রায় বলেন বেধড়কভাবে মারধর করেছে ওই শিক্ষক। শুধু তাই নয়। মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে পর্যন্ত সে আঘাত করেছে। মেয়েরা লজ্জায় বলতে পারতেছে না। ১১জন মেয়ে ও ২জন ছেলে শিক্ষার্থীদের লাডুরিভাবে মারছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রীতবাস দাশ বলেন আমি দরজায় বারি দিতে গিয়ে হয়ত কেউ আঘাত পেয়েছে। এরজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি তাদের কাছে। অন্যদিকে শিশু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তার কাছে প্রাইভেট পড়তে না যাওয়ায় তিনি আমাদের এভাবে মেরেছেন। আমরা ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম এসমন প্রীতবাস স্যার লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। আমরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন স্কুলে যেতে আমাদের ভয় করছে।প্রাইভেট পড়াশোনার বিষয়ে অভিভাবকদের বৈঠকেও আলোচনা করা হয়েছে। অভিভাবকরা লিখিতভাবে অভিযোগ করবেন বলে জানান।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মৃদুল চন্দ্র দাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে সুপারভাইজার কালীপদ দাশ বলেন খুবই অমানবিক ঘটনা এটি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাসের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে। সেদিন ওই বিদ্যালয়ে আনন্দ মোহন দাস উপস্থিত ছিলেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

দিরা শাল্লায় শিশু শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করায় অভিভাবকদের ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০২:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

উপজেলার গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের অমানবিকভাবে লাঠিপেটা করায় সহকারী শিক্ষক প্রীতবাস দাশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার আনন্দপুর বাজারে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইউপি সদস্য বাবলু রায়, সাবেক ইউপি সদস্য কালাই মিয়া ও মিহির কান্তি রায়সহ হবিবপুর, আনন্দপুর গ্রামের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে অভিভাবক সুশীল চক্রবর্তী বলেন আমার মেয়েকে পীঠে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। আঘাতের ফলে লাল হয়ে গেছে মেয়ের পীঠ। এর বিচার চাই আমি। নিশিকান্ত রায় বলেন আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। আমি ওই শিক্ষকের কাছে আমার মেয়ে অনিরাপদ। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। কৃপেশ চন্দ্র দাশ বলেন আমার মেয়ের হাতে আঘাত করা হয়েছে। অন্য শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু দেখছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন বিচার হওয়া দরকার। আ: খালেক বলেন গরু ছাগলের মত পিঠানো হয়েছে আমাদের মেয়েদেরকে। এরপূর্বেও ওই শিক্ষক শিশুদের মেরেছিল। শিশুদের মারা তার জন্য নতুন কিছু নয়। মিহির কান্তি রায় বলেন বেধড়কভাবে মারধর করেছে ওই শিক্ষক। শুধু তাই নয়। মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে পর্যন্ত সে আঘাত করেছে। মেয়েরা লজ্জায় বলতে পারতেছে না। ১১জন মেয়ে ও ২জন ছেলে শিক্ষার্থীদের লাডুরিভাবে মারছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রীতবাস দাশ বলেন আমি দরজায় বারি দিতে গিয়ে হয়ত কেউ আঘাত পেয়েছে। এরজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি তাদের কাছে। অন্যদিকে শিশু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তার কাছে প্রাইভেট পড়তে না যাওয়ায় তিনি আমাদের এভাবে মেরেছেন। আমরা ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম এসমন প্রীতবাস স্যার লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। আমরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন স্কুলে যেতে আমাদের ভয় করছে।প্রাইভেট পড়াশোনার বিষয়ে অভিভাবকদের বৈঠকেও আলোচনা করা হয়েছে। অভিভাবকরা লিখিতভাবে অভিযোগ করবেন বলে জানান।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মৃদুল চন্দ্র দাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে সুপারভাইজার কালীপদ দাশ বলেন খুবই অমানবিক ঘটনা এটি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাসের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে। সেদিন ওই বিদ্যালয়ে আনন্দ মোহন দাস উপস্থিত ছিলেন না।