ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের হেনস্থা রাউজান প্রেস ক্লাবের প্রবিবাদ ও তীব্র নিন্দা বাকৃবিতে প্রায় ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উপস্থাপন শাল্লায় মাদারিয়া বাঁধে ফাটল জয়পুরে নেই পিআইসি ঝুঁকির মুখে ছায়ার হাওর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে শিশির মনির  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদেশ দেওয়ার পরেও বৈধ শিক্ষক এরশাদের বেতন আটকিয়ে রেখে দাপট দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ ঢাকা সাভার পৌরসভার কুলিবিট ইজারা ৩ মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নূরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড: সনদ পরীক্ষা পুরস্কার বিতরণ মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ

থার্টি ফার্স্ট নাইটের আতশবাজি: উৎসবের উল্লাসে হারাচ্ছে পাখির প্রাণ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

থার্টি ফার্স্ট নাইটের উৎসব মানেই ঝলমলে আলোর রোশনাই আর আকাশে আতশবাজির রঙিন খেলা। এই আনন্দের আড়ালে প্রতিবারই ঘটে যায় এক করুণ বিপর্যয়। আতশবাজির বিকট শব্দ আর তীব্র আলো পরিবেশে ফেলে মারাত্মক প্রভাব, যার প্রধান শিকার হয় অসহায় পাখিরা।

আতশবাজির শব্দে আতঙ্কিত পাখিরা :

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, পাখিদের কান মানুষের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। আতশবাজির বিকট শব্দ তাদের জন্য কেবল আতঙ্ক সৃষ্টি করে না, বরং প্রায়শই তাদের দিকভ্রান্ত করে তোলে। আতঙ্কিত পাখিরা গাছ থেকে পালিয়ে অন্ধকারে উড়তে গিয়ে ভবনের কাচ, বৈদ্যুতিক তার কিংবা অন্যান্য বাধার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মৃত্যুবরণ করে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা জানান, ‘প্রতি বছর থার্টি ফার্স্টের পরদিন সকালে আমরা গাছের নিচে অনেক মৃত পাখি পড়ে থাকতে দেখি। যা খুবই দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতশবাজির শব্দ প্রায়শই ৯০-১০০ ডেসিবেলের বেশি হয়ে যায়, যা কেবল পাখি নয় এমনকি মানুষের কান এবং হৃদপিণ্ডের জন্যও ক্ষতিকর।

আলোর ঝলকানিতে দৃষ্টিহীন পাখি :

শব্দের পাশাপাশি আতশবাজির তীব্র আলো পাখিদের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেয়। পাখিদের রাতের দৃষ্টিশক্তি তাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আতশবাজির হঠাৎ জ্বলে ওঠা আলো তাদের সাময়িকভাবে অন্ধ করে দেয়, যার কারণে তারা উড়তে গিয়ে বাধার সঙ্গে ধাক্কা খায় বা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

পরিবেশের ওপর প্রভাব:

আতশবাজি শুধু পাখিদের নয়, পুরো পরিবেশের ওপরই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আতশবাজিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশের জন্য বিষাক্ত। এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, এবং সালফার ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার ফলে আমাদের বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।

পাখিরা পরিবেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, পাখিরা পরিবেশের প্রাণ। তাই পরিবেশ, প্রাণীকুল এবং নিজেদের রক্ষায় আমাদের উচিত আরো দায়িত্বশীল হওয়া। উৎসবের নামে বন্ধ করা উচিত আতশবাজির এই তান্ডবলীলা।
‘উৎসবের উল্লাস যেন না হোক কারো মৃত্যুর কারণ’।

রিসালাত আলিফ,
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

থার্টি ফার্স্ট নাইটের আতশবাজি: উৎসবের উল্লাসে হারাচ্ছে পাখির প্রাণ

আপডেট সময় : ১২:০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

থার্টি ফার্স্ট নাইটের উৎসব মানেই ঝলমলে আলোর রোশনাই আর আকাশে আতশবাজির রঙিন খেলা। এই আনন্দের আড়ালে প্রতিবারই ঘটে যায় এক করুণ বিপর্যয়। আতশবাজির বিকট শব্দ আর তীব্র আলো পরিবেশে ফেলে মারাত্মক প্রভাব, যার প্রধান শিকার হয় অসহায় পাখিরা।

আতশবাজির শব্দে আতঙ্কিত পাখিরা :

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, পাখিদের কান মানুষের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। আতশবাজির বিকট শব্দ তাদের জন্য কেবল আতঙ্ক সৃষ্টি করে না, বরং প্রায়শই তাদের দিকভ্রান্ত করে তোলে। আতঙ্কিত পাখিরা গাছ থেকে পালিয়ে অন্ধকারে উড়তে গিয়ে ভবনের কাচ, বৈদ্যুতিক তার কিংবা অন্যান্য বাধার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মৃত্যুবরণ করে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা জানান, ‘প্রতি বছর থার্টি ফার্স্টের পরদিন সকালে আমরা গাছের নিচে অনেক মৃত পাখি পড়ে থাকতে দেখি। যা খুবই দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতশবাজির শব্দ প্রায়শই ৯০-১০০ ডেসিবেলের বেশি হয়ে যায়, যা কেবল পাখি নয় এমনকি মানুষের কান এবং হৃদপিণ্ডের জন্যও ক্ষতিকর।

আলোর ঝলকানিতে দৃষ্টিহীন পাখি :

শব্দের পাশাপাশি আতশবাজির তীব্র আলো পাখিদের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেয়। পাখিদের রাতের দৃষ্টিশক্তি তাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আতশবাজির হঠাৎ জ্বলে ওঠা আলো তাদের সাময়িকভাবে অন্ধ করে দেয়, যার কারণে তারা উড়তে গিয়ে বাধার সঙ্গে ধাক্কা খায় বা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

পরিবেশের ওপর প্রভাব:

আতশবাজি শুধু পাখিদের নয়, পুরো পরিবেশের ওপরই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আতশবাজিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশের জন্য বিষাক্ত। এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, এবং সালফার ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার ফলে আমাদের বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।

পাখিরা পরিবেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, পাখিরা পরিবেশের প্রাণ। তাই পরিবেশ, প্রাণীকুল এবং নিজেদের রক্ষায় আমাদের উচিত আরো দায়িত্বশীল হওয়া। উৎসবের নামে বন্ধ করা উচিত আতশবাজির এই তান্ডবলীলা।
‘উৎসবের উল্লাস যেন না হোক কারো মৃত্যুর কারণ’।

রিসালাত আলিফ,
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ