তানোর পৌরসভায় কৃষক গ্রুপ মিটিং অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে

মো: এরশাদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহীঃ
আমাদের দেশের মধ্যে রাজশাহী জেলা বরেন্দ্র অঞ্চল নামে খ্যাত। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষির অবদান অতুলনীয়। দেশের বরেন্দ্র অঞ্চল তথা রাজশাহী জেলা কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক অবদানে রেখে চলছে। রাজশাহী জেলার মধ্যে তানোর উপজেলা কৃষির অবদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তানোরের কৃষি তথা কৃষকদের উন্নয়নে আজ বিকেলে তানোর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের জিওল চাঁদপুর মোড়ে ভ্রমণ কর্মসূচি অনুযায়ী লাগসই ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক বিষয়ে কৃষক গ্রুপের সদস্যদের সাথে দলীয় আলোচনা ও ব্লক তানোর উল্লেখ করে কৃষক গ্রুপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজকের এই কৃষক গ্রুপ মিটিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব উম্মে সালমা (উপ-পরিচালক রাজশাহী)। আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম (প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা), জনাব মোঃ সাইফুল্লাহ আহমদ, (তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার), জনাব মোঃ শাহাদাত হোসেন (কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তানোর উপজেলা), জনাব মোঃ রায়হানুল ইসলাম (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, তানোর পৌরসভা)। আজকের এই কৃষি বিষয়ক গ্রুপ মিটিং এ উপ-পরিচালক জনাব উম্মে সালমা কৃষকদের উদ্দেশ্যে অনেক দিকনির্দেশনা মূলক ও বাস্তব মুখী অনেক আলোচনা রাখেন। তিনি কৃষকদের অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন এবং পরিমিত মাত্রায় রাসায়নিক যাবতীয় সার ব্যবহারের সুপরামর্শ প্রদান করেন। উপ-পরিচালক কৃষকদের জমিতে জৈব সার ব্যবহারের প্রতি অনেক গুরুত্ব আরোপ করেন। অন্যদিকে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো: নুরুল ইসলাম তিনিও কৃষকদের উদ্দেশ্যে বাস্তবমুখী অনেক শিক্ষণীয় বিষয় আলোচনা করেন। তিনি কৃষকদের একই জমিতে একই ফসল বারবার চাষাবাদ না করা পরামর্শ দেন। তিনি জমির প্রতি যত্নবান হওয়ার আহব্বান জানান।
অন্যদিকে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব সাইফুল্লাহ আহমদ তিনিও একইভাবে উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে কৃষি জমি ও কৃষক দের মঙ্গল কামনায় ইতিবাচক অনেক আলোচনা রাখেন। তিনিও কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধি করার সু-পরামর্শ প্রদান করেন।
আজকের এই কৃষক আলোচনায় উপস্থিত কৃষকগণ তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কৃষকরা বলেন তারা সময় মত এবং ন্যায্য মূল্যে কোনই রাসায়নিক সার পান না। কৃষকগণ বলেন সব খরচ মিলিয়ে বর্তমানে আলু চাষে বিঘা পতি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু খরচ অনুপাতে বর্তমানে আলোর দাম বিঘা পতি ২৫ থেকে ৩০০০০ টাকা। এত করে বর্তমানে আলু চাষী গণ অনেক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন। কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য এবং সঠিক সময়ে ও ন্যায্য মূল্যে রাসায়নিক সার পাওয়ার অনুরোধ করেন। কৃষকরা আরো বলেন বর্তমানে আলোর হিমাগার কর্তৃপক্ষ হিমাগারে আলু রাখতে আলুর কচি ভাড়া কেজি পতি ৮ টাকা বৃদ্ধি করায় কৃষকরা অনেক চিন্তিত। উপস্থিত সকল কৃষক আলোর হিমাগারের ভাড়া কমানোর দাবি জানান।
উপ-পরিচালক জনাব উম্মে সালমা কৃষকদের এই সকল সমস্যা ও দাবি শুনে কৃষকদের পক্ষে কথা বলবেন, কাজ করবেন এবং কৃষক দের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
কৃষকদের উন্নয়নে আজকের এই মিটিং এর আয়োজন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, তানোর, রাজশাহী। উপপরিচালক জনাব উম্মে সালমা কৃষকদের সুস্বাস্থ্য এবং কৃষক দের সার্বিক উন্নয়নে উৎসাহিত করে আলোচনা শেষ করেন।