ঢাকা সাভার সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ১১:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে

রাজ স্টাফ রিপোর্টার ঢাকাঃ
শেখ হাসিনার সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টারদিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রীর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, এনামুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি গা-ঢাকা দেন। তার বিরুদ্ধে সাভার ও আশুলিয়া থানায় ৯টি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় নেতাসহ তাকেও আসামি করা হয়েছে।
ডা. এনামুর রহমান ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১৯ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন।
এ ছাড়া তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ডা. এনামুর রহমান নিজ নামে নগদ জমা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছে প্রায় ৬ কোটি টাকার। এছাড়া এনাম মেডিকেল হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড, এনাম এডুকেশন অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ (প্রাইভেট) লিমিটেড এবং এনাম ক্যান্সার হসপিটাল লিমিটেডে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে।
সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের কমিশন সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।