ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে ছয় বছরের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ৩০ খামারীকে প্রশিক্ষণ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, দশজন আহত ঢাকা সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ে নতুন অধ্যক্ষের যোগদান সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে — মির্জা আলমগীর ডাক্তার শহিদুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জি এম আব্বাস উদ্দিন ঢাকা সাভারে জামিনে বের হয়ে বাদীর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ২৫ দেশে প্রথমবারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা সাভারে আশুলিয়ায় আনসারের গোপনাঙ্গে আঘাতের অভিযোগ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা:-
সাভারের আশুলিয়ায় এক আনসার সদস্যের গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে বুধবার রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার শুটিং বাড়ি এলাকায় একটি বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী আনসার সদস্যকে জোরপূর্বক অর্থ প্রদানের চেষ্টা করা হয়।

ভুক্তভোগী আনসার সদস্যের নাম নবীন মিয়া। তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার বনগ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে। এছাড়াও অপর ভুক্তভোগী হলেন- আশুলিয়ার শুটিংবাড়ি এলাকার রনি মিয়া।

ভুক্তভোগী আনসার সদস্য নবীন মিয়া বলেন, ‘আশুলিয়া থানার সামনে কথা-কাটাকাটির জেরে পুলিশের এএসআই জহিরুল ইসলাম আমার গোপনাঙ্গে আঘাত করে। পরে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে আমাদের টাকা দিয়ে জোরপূর্বক আপোষ নামায় স্বাক্ষরের চেষ্টা করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মেইন ওসি (আবু বকর সিদ্দিক), অপারেশন ওসি (মো. আব্দুল বারিক) বলছে যে, সে অন্যায় করেই ফেলেছে আমরা সামাজিকভাবে মিমাংসা করে দেই। আমি আমার ভাই ব্রাদার যারা ছিল সবাই আমরা রাজি হই।

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা কান্ডের ভুক্তভোগী রনি বলেন, আমার বাড়ির দুই কলোনিতে শ্রমিক শ্রেণীর লোক ভাড়া থাকেন। রাতে কয়েকজন ভাড়াটিয়া বসে তাস খেলছিলো। এমন সময় এএসআই জহিরুল ইসলাম সাথে একজন এসআই ও দুইজন কনস্টেবল নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে তাস খেলার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে আমার হাতে ইয়াবা দিয়ে ছবি তোলেন তারা।

এ সময় তারা গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আমার নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে অনেক কষ্টে ২০ হাজার টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সামনেই ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো ও আনসার সদস্যদের গোপনাঙ্গে আঘাত করেন থানা পুলিশের এই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পরপরই এএসআই জহিরুলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনার সাথে আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

ঢাকা সাভারে আশুলিয়ায় আনসারের গোপনাঙ্গে আঘাতের অভিযোগ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা:-
সাভারের আশুলিয়ায় এক আনসার সদস্যের গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে বুধবার রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার শুটিং বাড়ি এলাকায় একটি বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী আনসার সদস্যকে জোরপূর্বক অর্থ প্রদানের চেষ্টা করা হয়।

ভুক্তভোগী আনসার সদস্যের নাম নবীন মিয়া। তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার বনগ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে। এছাড়াও অপর ভুক্তভোগী হলেন- আশুলিয়ার শুটিংবাড়ি এলাকার রনি মিয়া।

ভুক্তভোগী আনসার সদস্য নবীন মিয়া বলেন, ‘আশুলিয়া থানার সামনে কথা-কাটাকাটির জেরে পুলিশের এএসআই জহিরুল ইসলাম আমার গোপনাঙ্গে আঘাত করে। পরে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে আমাদের টাকা দিয়ে জোরপূর্বক আপোষ নামায় স্বাক্ষরের চেষ্টা করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মেইন ওসি (আবু বকর সিদ্দিক), অপারেশন ওসি (মো. আব্দুল বারিক) বলছে যে, সে অন্যায় করেই ফেলেছে আমরা সামাজিকভাবে মিমাংসা করে দেই। আমি আমার ভাই ব্রাদার যারা ছিল সবাই আমরা রাজি হই।

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা কান্ডের ভুক্তভোগী রনি বলেন, আমার বাড়ির দুই কলোনিতে শ্রমিক শ্রেণীর লোক ভাড়া থাকেন। রাতে কয়েকজন ভাড়াটিয়া বসে তাস খেলছিলো। এমন সময় এএসআই জহিরুল ইসলাম সাথে একজন এসআই ও দুইজন কনস্টেবল নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে তাস খেলার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে আমার হাতে ইয়াবা দিয়ে ছবি তোলেন তারা।

এ সময় তারা গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আমার নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে অনেক কষ্টে ২০ হাজার টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সামনেই ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো ও আনসার সদস্যদের গোপনাঙ্গে আঘাত করেন থানা পুলিশের এই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পরপরই এএসআই জহিরুলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনার সাথে আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।