ঢাকা ধামরাইয়ে ল’ক্সিটেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তায় ও চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান

- আপডেট সময় : ০৫:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

রাজ,স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা :
হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশন, “ইন্টিগ্রেটেড প্রাইমারী আই হেলথ স্ট্রেন্থেনিং প্রজেক্ট ইন ধামরাই, বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে শিশুসহ ৬,৯৬৪ জন চক্ষু রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। আজকে ৮ জন শিশুসহ ৯৩ জন চোখের রোগী এই সেবা গ্রহন করেছেন। তাদের মধ্যে ৪২% রোগী দৃষ্টি ত্রুটি জনিত সমস্যায় ভুগছে।
ঢাকা ধামরাই উপজেলা কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৯০ থেকে ১০০ জন রোগী সেবা গ্রহন করে থাকেন যা প্রত্যাশা থেকে অনেক বেশি, যার মূল কারণ হলো এখানে প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চশমা ও ঔষধ বিতরণ করা হয়ে থাকে, এছাড়াও এখানে রয়েছে আধুনিক চোখ পরীক্ষার যন্ত্রপাতি যা নির্ভূল চোখ পরীক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখে । হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, চোখের সেবাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সবার মাঝে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করা। তারই ধারাবাহিকতায় “ইন্টিগ্রেটেড প্রাইমারী আই হেলথ স্ট্রেন্থেনিং প্রজেক্ট ইন ধামরাই, বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রকল্প সময়ের মধ্যে (১লা জুলাই ২০২৪ইং হতে ২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫) মোট ১৫,১৩০ জন চোখের রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করা হবে যাদের মধ্যে ৭,৫০০জন ধামরাই ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবে, বাকিরা ৪৮ টি চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
উল্লেখ্য যে ১,৪৫০ জনের কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে চশমা প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে ১৩,৪৬৪ জন সেবা গ্রহন করেছে তার মধ্যে ১,৩৫০ জন বিনামূল্যে চশমা পেয়েছে। ভিশন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মইনুল ইসলাম শাহীন বলেন, প্রতিবছর বিশ্ব ব্যাপী দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্ধত্বের দিকে ধাবিত করছে, জরুরী পদক্ষেপ না নিলে ২০৫০ সালে এই সংখ্যা তিনগুন হবে। জাতীয় অন্ধত্ব জরিপে দেখা গেছে যে, ছানি হল এর প্রধান কারণ এবং দৃষ্টি ত্রুটি হল দ্বিতীয় ৷
হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার উত্তম কুমার বলেন, বাংলাদেশে আমরা ভিশন ২০৩০ লক্ষ্যে কাজ করছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত এজেন্ডা, ইন্টিগ্রেটেড পিপল সেন্টারড আই কেয়ার (IPECE) অনুসরন করে সর্বস্তরে সাশ্রয়ী মূল্যে টেকসই চোখের সেবাকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছি।