ডিজিটাল প্লাটফর্মে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করলো নীলফামারী থানা পুলিশ

- আপডেট সময় : ০৪:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫ ১৪১ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি: ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের মোটা অংকের লোন করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় নীলফামারী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।
একই প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় তদন্তে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও অপরাধ গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাছাই করে অপরাধের সাথে জড়িত একটি চক্রকে শনাক্তের পর জেলার সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের ইটাপির কামারপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নীলফামারী থানা পুলিশ।
এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিম, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বিকাশ হিসাব পরিচালনায় ব্যবহৃত ফোন ও নগদ একলক্ষ দশহাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের ইটাপির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত আফোদ্দিন মামুদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৫), বাবরীঝাড় ফকিরপাড়া গ্রামের মো. হাসিনুর রহমানের ছেলে মমিন উদ্দিন (২২), একই এলাকার রহিদুল ইসলামের ছেলে ফরিদ (২৪) এবং ইটাপির গ্রামের শফিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ মশিয়ার রহমান (৩৫)।
জানতে চাইলে, নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ, এম আর সাঈদ জানান, “অপরাধী চক্রটি ভূয়া রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন সিম এবং ভূয়া বিকাশ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন সিম সংগ্রহ করে বিকাশ সহ অন্যান্য এমএফএস একাউন্ট অবৈধভাবে পরিচালনা করে। তারা সাইবার স্পেসে (ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ) এ নিজেদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা দাবি করে বিপুল পরিমাণ ঋণ প্রদানের বিজ্ঞাপন বুস্ট করে সাধারণ মানুষকে বিশেষ করে প্রবাসীদের আকর্ষিত করে প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ এবং অন্যান্য এমএফএস একাউন্টে টাকা হাতিয়ে নেয় । এই চক্রের সাথে জড়িত ফেসবুক বুস্ট, অবৈধ সিম বিক্রেতাসহ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিস্তৃত তদন্ত করে প্রতারণার বিভিন্ন ধাপের সাথে জড়িত অন্যান্যদের সনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে”।