ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস: শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি শঙ্কা
- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সজিব সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালীর দুমকী আপতুন্নেছা খাতুন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ পুরোনো ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। ১৯৬৬ সালে নির্মিত এই ভবনটি বহু বছর ধরে সংস্কারের অভাবে এখন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। ছিঁড়ে ঝুলে থাকা পলেস্তরা, ফাটলধরা দেয়াল এবং উন্মুক্ত রড—সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ভবনের কয়েকটি কক্ষে ছাদের পলেস্তরা উঠে রড বেরিয়ে রয়েছে। দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে ইট দৃশ্যমান। এসব কক্ষে প্রতিদিন পাঠদানে অংশ নিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। শিক্ষার্থীরা সবসময় আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করছে, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্মৃতি ও জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, “ওই রুমে ক্লাস করতে খুব ভয় লাগে। ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ে—যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।
অভিভাবক মামুন ও সরোয়ার জানান, “আমরা সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশে লেখাপড়া করাতে চাই। কিন্তু ভবনের এই করুণ অবস্থা আমাদের দুশ্চিন্তায় রাখে। দ্রুত মেরামত বা নতুন ভবনের ব্যবস্থা জরুরি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিতোষ চন্দ্র দাসের মাথায় কয়েকদিন আগে পাঠদান চলাকালে ছাদ থেকে পলেস্তরা পড়ে আঘাত লাগে। তিনি বলেন, “ঝুঁকি জেনেও ক্লাস চালাতে হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের সংকট—আমাদের বাধ্য করছে।
প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার হ্যাপি জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। ক্লাসরুম কম থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও পুরোনো ভবনে পাঠদান ছাড়ার বিকল্প নেই।
দুমকী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, “বিদ্যালয়ে নতুন ভবন থাকলেও সেটি এখনও সংকলনে না আসায় সেখানে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান চলছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে; দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের আবেদন করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা এই ভবন যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে—এমন আশঙ্কা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। দ্রুত সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণই এখন সময়ের দাবি।
























