ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের হেনস্থা রাউজান প্রেস ক্লাবের প্রবিবাদ ও তীব্র নিন্দা বাকৃবিতে প্রায় ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উপস্থাপন শাল্লায় মাদারিয়া বাঁধে ফাটল জয়পুরে নেই পিআইসি ঝুঁকির মুখে ছায়ার হাওর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে শিশির মনির  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদেশ দেওয়ার পরেও বৈধ শিক্ষক এরশাদের বেতন আটকিয়ে রেখে দাপট দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ ঢাকা সাভার পৌরসভার কুলিবিট ইজারা ৩ মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নূরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড: সনদ পরীক্ষা পুরস্কার বিতরণ মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ

ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে সকল প্রকার গানবাজনা বন্ধ করলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং মসজিদটির অবস্থান খুব কাছাকাছি, মাত্র ৫ গজ দূরত্বে। শহীদ মিনারে প্রতি কিছুদিন পর পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে গানবাজনা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এতে করে মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনেক সময় অসুবিধায় পড়তে হয়, কারণ নামাজের সময়ও এই গানবাজনা চলতে থাকে, যা তাদের ধর্মীয় অনুশীলনে বিঘ্ন ঘটায়।

এই সমস্যা অনেক দিন ধরেই চলছিল, কিন্তু কোন স্থায়ী সমাধান পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও কখনো কখনো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হতো, পরবর্তীতে আবার একই সমস্যা ফিরে আসত। এতে করে ধর্মীয় অনুশীলনে সমস্যা তো হতোই, সেই সাথে শহীদ মিনারের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা কমে যেতে থাকে।

তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে নামাজ চলাকালীন গানবাজনা হলে, “অলটাইম বেচাকেনা”গ্রুপের পরিচালক শরিফ আহমেদ রিমন এবং অন্যান্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এগিয়ে এসে এর প্রতিবাদ করেন। তারা বলেন, “আমরা চাই শহীদ মিনারে শুধু শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান হোক, আর কোনও গানবাজনা ও নাচগানের অনুষ্ঠান এখানে না হোক।”

শরিফ আহমেদ রিমন সহ অন্যান্য মুসলমানরা জানান, “যতটুকু আমরা জানি, এই শহীদ মিনারে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, কিন্তু নামাজের সময় গানবাজনা চলতে থাকার কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। আজও আমরা গানবাজনা বন্ধ করার জন্য প্রতিরোধ করেছি এবং পরবর্তীতে আমাদের অন্যান্য মুসলমান ভাইদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে আমরা কাজ করব।”

এখন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, শহীদ মিনারে সকল প্রকার নাচগান এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন নিষিদ্ধ করা হবে। তারা আশা করেন, সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাদের প্রতি সহযোগিতা জানাবেন এবং শহীদ মিনারে কেবল শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান হবে, কোনো ধরনের অশালীন কর্মকাণ্ড নয়।

এই প্রতিরোধ কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নয়, বরং সচেতন যুবসমাজ, মসজিদের মুসল্লি এবং সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে। তারা সকলকে অনুরোধ করেছেন, দয়াকরে শহীদ মিনারের সম্মান বজায় রেখে অশালীন নাচগান বাদ দিয়ে, বিকল্প জায়গায় এসব আয়োজন করা হোক।

এটি একটি শান্তিপূর্ণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণের প্রয়াস, যা সবাইকে একত্রিত করে। আমরা সবাই চাই শান্তি এবং শ্রদ্ধার পরিবেশে আমাদের শহীদ মিনার এবং মসজিদটির সম্মান রক্ষা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে সকল প্রকার গানবাজনা বন্ধ করলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা

আপডেট সময় : ০৮:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং মসজিদটির অবস্থান খুব কাছাকাছি, মাত্র ৫ গজ দূরত্বে। শহীদ মিনারে প্রতি কিছুদিন পর পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে গানবাজনা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এতে করে মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনেক সময় অসুবিধায় পড়তে হয়, কারণ নামাজের সময়ও এই গানবাজনা চলতে থাকে, যা তাদের ধর্মীয় অনুশীলনে বিঘ্ন ঘটায়।

এই সমস্যা অনেক দিন ধরেই চলছিল, কিন্তু কোন স্থায়ী সমাধান পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও কখনো কখনো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হতো, পরবর্তীতে আবার একই সমস্যা ফিরে আসত। এতে করে ধর্মীয় অনুশীলনে সমস্যা তো হতোই, সেই সাথে শহীদ মিনারের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা কমে যেতে থাকে।

তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে নামাজ চলাকালীন গানবাজনা হলে, “অলটাইম বেচাকেনা”গ্রুপের পরিচালক শরিফ আহমেদ রিমন এবং অন্যান্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এগিয়ে এসে এর প্রতিবাদ করেন। তারা বলেন, “আমরা চাই শহীদ মিনারে শুধু শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান হোক, আর কোনও গানবাজনা ও নাচগানের অনুষ্ঠান এখানে না হোক।”

শরিফ আহমেদ রিমন সহ অন্যান্য মুসলমানরা জানান, “যতটুকু আমরা জানি, এই শহীদ মিনারে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, কিন্তু নামাজের সময় গানবাজনা চলতে থাকার কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। আজও আমরা গানবাজনা বন্ধ করার জন্য প্রতিরোধ করেছি এবং পরবর্তীতে আমাদের অন্যান্য মুসলমান ভাইদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে আমরা কাজ করব।”

এখন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, শহীদ মিনারে সকল প্রকার নাচগান এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন নিষিদ্ধ করা হবে। তারা আশা করেন, সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাদের প্রতি সহযোগিতা জানাবেন এবং শহীদ মিনারে কেবল শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠান হবে, কোনো ধরনের অশালীন কর্মকাণ্ড নয়।

এই প্রতিরোধ কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নয়, বরং সচেতন যুবসমাজ, মসজিদের মুসল্লি এবং সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে। তারা সকলকে অনুরোধ করেছেন, দয়াকরে শহীদ মিনারের সম্মান বজায় রেখে অশালীন নাচগান বাদ দিয়ে, বিকল্প জায়গায় এসব আয়োজন করা হোক।

এটি একটি শান্তিপূর্ণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণের প্রয়াস, যা সবাইকে একত্রিত করে। আমরা সবাই চাই শান্তি এবং শ্রদ্ধার পরিবেশে আমাদের শহীদ মিনার এবং মসজিদটির সম্মান রক্ষা হোক।