ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ সহ ৪ এসপি প্রত্যাহার ঢাকা ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের হেনস্থা রাউজান প্রেস ক্লাবের প্রবিবাদ ও তীব্র নিন্দা বাকৃবিতে প্রায় ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উপস্থাপন শাল্লায় মাদারিয়া বাঁধে ফাটল জয়পুরে নেই পিআইসি ঝুঁকির মুখে ছায়ার হাওর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে শিশির মনির  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদেশ দেওয়ার পরেও বৈধ শিক্ষক এরশাদের বেতন আটকিয়ে রেখে দাপট দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ ঢাকা সাভার পৌরসভার কুলিবিট ইজারা ৩ মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে যুবক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামে রফিকুল ইসলাম কাজল (৩৩) নামে এক যুবককে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১১ জানুয়ারি রাত ৯:৩০ মিনিটের দিকে কাজলকে হত্যা করা হয় এবং ১৮ জানুয়ারি সকালে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দির রহমান বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করা হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর রহমান বিপিএম-সেবার তত্ত্বাবধানে পুলিশের একটি বিশেষ দল দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের অভিযানে প্রথমে শাহিন মিয়া (৩৫), টুটুল মিয়া (১৯) এবং সাগর মন্ডল (২২) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে রুমা (৩২) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাগর মন্ডল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডটি মুক্তিপণের জন্য পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছিল। তবে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতে না পারায় আসামিরা রফিকুল ইসলাম কাজলকে হত্যা করে এবং লাশ গুমের জন্য সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জানিয়েছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ এবং অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

ঝিনাইদহে যুবক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

আপডেট সময় : ০৮:৪২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

রাসেল হোসেন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামে রফিকুল ইসলাম কাজল (৩৩) নামে এক যুবককে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১১ জানুয়ারি রাত ৯:৩০ মিনিটের দিকে কাজলকে হত্যা করা হয় এবং ১৮ জানুয়ারি সকালে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দির রহমান বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করা হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর রহমান বিপিএম-সেবার তত্ত্বাবধানে পুলিশের একটি বিশেষ দল দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের অভিযানে প্রথমে শাহিন মিয়া (৩৫), টুটুল মিয়া (১৯) এবং সাগর মন্ডল (২২) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে রুমা (৩২) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাগর মন্ডল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডটি মুক্তিপণের জন্য পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছিল। তবে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতে না পারায় আসামিরা রফিকুল ইসলাম কাজলকে হত্যা করে এবং লাশ গুমের জন্য সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জানিয়েছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ এবং অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।