ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাউজান প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিন আহমেদ’র জানাজা সম্পন্ন চট্টগ্রামে বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্সের বার্ষিক সম্মেলন-২৫ অনুষ্ঠিত দুমকীতে মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে বাহেরচর, চোখের জলে ভাসছে মানুষ ঝিনাইদহে তালাবদ্ধ ফার্নিচার দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার হলো গৃহবধূর মৃতদেহ সমাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা উদ্যোগে দুস্থ অসহায়দের মাঝে চাউল বিতরণের আয়োজন করা হয় বকশীগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদ খেয়ে ৬ জনের মৃত্যু রাণীশংকৈলে মাদকবিরোধী জনসচেতনতায় একতার ডাক সাতক্ষীরায় যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গণসচেতনতা দেবহাটায় ব্যতিক্রমী নাটিকা ও লোকসংগীত কুতুবদিয়ায় ডেইল ইউনিয়ন শ্রমিক দলের দ্বি বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে তালাবদ্ধ ফার্নিচার দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার হলো গৃহবধূর মৃতদেহ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

এক চরম রহস্যের জন্ম দিয়ে ঝিনাইদহ শহরতলীর গোপীনাথপুর এলাকা। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত একটি তালাবদ্ধ ফার্নিচারের দোকান থেকে উদ্ধার করা হলো তাসলিমা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূর নিথর দেহ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় তৈরি হয়েছে তুমুল উত্তেজনা এবং চাঞ্চল্য!

সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো— ঘটনার পর থেকেই তাসলিমা খাতুনের স্বামী, দোকান মালিক লাল মিয়াকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটিই পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহকে আরও জোরালো করেছে: এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড!

ঘটনার সূত্রপাত:
রবিবার সকালে লাল মিয়া তার ফার্নিচারের দোকানে আসেন। কিছু সময় পর স্ত্রী তাসলিমা খাতুনও দোকানে আসেন। সন্ধ্যার পরও বাবা-মা কেউ বাড়ি না ফেরায় তাদের ছেলে তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর, ছেলে দোকানের সামনে এসে দেখেন দোকানের তালা বাইরে থেকে লাগানো।

সন্দেহ হওয়ায় সে কোনোভাবে তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভেতরে প্রবেশ করেই দেখে তার মা তাসলিমার রক্তাক্ত ও নিথর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে আছে! এই দৃশ্য দেখেই সে চিৎকার করে ওঠে এবং দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা:
রাত ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি এটি পারিবারিক কলহের জের ধরে হওয়া একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকেই স্বামী লাল মিয়া পলাতক রয়েছেন এবং তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।”
হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মোটিভ ও নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করতে পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করেছে। পলাতক স্বামী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন: স্ত্রীকে হত্যা করে কি পালিয়ে গেল স্বামী লাল মিয়া? নাকি এই নৃশংসতার আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য? ঝিনাইদহের এই ঘটনা দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঝিনাইদহে তালাবদ্ধ ফার্নিচার দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার হলো গৃহবধূর মৃতদেহ

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

রাসেল হোসেন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

এক চরম রহস্যের জন্ম দিয়ে ঝিনাইদহ শহরতলীর গোপীনাথপুর এলাকা। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত একটি তালাবদ্ধ ফার্নিচারের দোকান থেকে উদ্ধার করা হলো তাসলিমা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূর নিথর দেহ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় তৈরি হয়েছে তুমুল উত্তেজনা এবং চাঞ্চল্য!

সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো— ঘটনার পর থেকেই তাসলিমা খাতুনের স্বামী, দোকান মালিক লাল মিয়াকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটিই পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহকে আরও জোরালো করেছে: এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড!

ঘটনার সূত্রপাত:
রবিবার সকালে লাল মিয়া তার ফার্নিচারের দোকানে আসেন। কিছু সময় পর স্ত্রী তাসলিমা খাতুনও দোকানে আসেন। সন্ধ্যার পরও বাবা-মা কেউ বাড়ি না ফেরায় তাদের ছেলে তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর, ছেলে দোকানের সামনে এসে দেখেন দোকানের তালা বাইরে থেকে লাগানো।

সন্দেহ হওয়ায় সে কোনোভাবে তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভেতরে প্রবেশ করেই দেখে তার মা তাসলিমার রক্তাক্ত ও নিথর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে আছে! এই দৃশ্য দেখেই সে চিৎকার করে ওঠে এবং দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা:
রাত ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি এটি পারিবারিক কলহের জের ধরে হওয়া একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকেই স্বামী লাল মিয়া পলাতক রয়েছেন এবং তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।”
হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মোটিভ ও নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করতে পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করেছে। পলাতক স্বামী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন: স্ত্রীকে হত্যা করে কি পালিয়ে গেল স্বামী লাল মিয়া? নাকি এই নৃশংসতার আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য? ঝিনাইদহের এই ঘটনা দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।