ঝালকাঠতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ০১:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে

মোঃকামরুল হাসান রানা,ঝালকাঠি প্রতিনিধি;”শান্তির জন্য পরিবর্তন, পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পার্টি” এই শ্লোগান কে সামনে রেখে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় পার্টির জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আনোয়ার হোসেন আনু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মহসিনউল ইসলাম বাবুল। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. এম.এ জলিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ বজলুর রহমান, জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি আ: জলিল গাজী, সহ-সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন তালুকদার, একেএম বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু শহিদ, কামরুল ইসলাম দুলাল,সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইউনুছ হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি কবির হোসেন আকন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, যুব সংহতির সভাপতি আশ্রারাফুর রহমান শাকিলসহ জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং ঝালকাঠি -১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ কামরুজ্জামান খান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দেশ ও জাতির ক্রান্তিকাল চলছে। এই জাতি বার বার মার খেয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বর্তমান ইউনুস সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে মব সন্ত্রাস চলছে। স্বাধীনতা বিরোধী একটি দল নতুন করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির শাসন আমল ছিল স্বর্ন যুগ। এরশাদ এদেশে ইসলামী কালচার চালু করেছিল। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছিলেন। নতুন নতুন জেলা ও জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ গঠন করেছিলেন। আগামী দিনেও জাতীয় পার্টি ক্ষমতা আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, শীঘ্রই জাতীয় সকল আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করবেন বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় জেলাধীন সকল উপজেলা ও পৌর সভা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ৭ কার্য দিবসের মধ্যে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলা কমিটি চলমান রেখে সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি অনুরূপ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন লাভের পর জেলা কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে।