ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে গাজীপুরে অটো গাড়ি চুরি, স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার জামালপুরে মব সৃষ্টি করে সাংবাদিকের উপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী কন্যাকে ফিরে পেলেন স্বামী দীপংকর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদে ও ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের জামায়াতের প্রার্থীতা ঘোষণা ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার রাউজানে বাবার ২৯৫তম আর্ভির্ভাব উৎসব উপলক্ষে বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত

ঝাঁপা বাওড়ের ভাসমান সেতু বৃষ্টির পানিতে নাজেহাল হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার ঝাঁপা বাওড়ের ওপর নির্মিত বহুল আলোচিত ভাসমান সেতুটি টানা বৃষ্টিপাত ও স্রোতের ধাক্কায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। বর্ষার প্রবল বৃষ্টি এবং দমকা বাতাসে সেতুর অনেকাংশ স্থানচ্যুত হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ড্রাম ভেঙে বা সরে গিয়ে অংশবিশেষ দেবে গিয়েছে পানির সমান। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয়দের উদ্যোগে প্রায় পাঁচ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আগে এই বাওড় পার হতে নৌকাই একমাত্র উপায় ছিল। বিশেষ করে বর্ষায় নৌকা চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই রোগী, শিশু ও বয়স্ক মানুষকে বিপাকে পড়তে হতো। সেই দুর্ভোগ লাঘব করতে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রম এবং চাঁদা তুলে অভিনব এই ভাসমান সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

সেতু তৈরিতে প্রায় শতাধিক বড় আকারের নীল তেলের ড্রাম, লোহার রড, কাঠ, প্লেট এবং রশি ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই সেতুর মাধ্যমে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত শুরু করে। এছাড়া দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য পর্যটক এই সেতু দেখতে আসতেন। সেতুর উপর দিয়ে হাঁটার জন্য নির্ধারিত ছিল জনপ্রতি ২০ টাকার টিকিট।

সাম্প্রতিক টানা ভারি বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে সেতুর দুর্বল অংশগুলোকে একেবারে স্থানচ্যুত করে ফেলেছে। সেতুর উপরের লোহার পাত এবং লোহার ফ্লোর অনেক অংশেই দেবে গিয়ে পানির সঙ্গে মিশে গেছে। বেশ কিছু স্থানে রেলিংও সরে গেছে বা ভেঙে পড়েছে।

বর্তমানে সেতুতে হাঁটা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যারা সেতু ব্যবহার করতে চাইছেন, তাদেরও নৌকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার নতুন করে নৌকায় পারাপারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। ফলে বর্ষার মৌসুমে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, রোগী ও কর্মজীবী মানুষকে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে।

পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই ভাসমান সেতু এখন পরিত্যক্তের মতো পড়ে আছে। প্রতিদিন যে পর্যটকরা এখানে ভিড় করতেন, সেতুর দুরবস্থায় তাদের আনাগোনাও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত মেরামত না হলে পুরো বর্ষা মৌসুমে সেতু ব্যবহার অসম্ভব হয়ে যাবে। এতে রাজগঞ্জ, ঝাঁপা, সহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ঝাঁপা বাওড়ের ভাসমান সেতু বৃষ্টির পানিতে নাজেহাল হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

এমদাদুল হক,ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর:যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার ঝাঁপা বাওড়ের ওপর নির্মিত বহুল আলোচিত ভাসমান সেতুটি টানা বৃষ্টিপাত ও স্রোতের ধাক্কায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। বর্ষার প্রবল বৃষ্টি এবং দমকা বাতাসে সেতুর অনেকাংশ স্থানচ্যুত হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ড্রাম ভেঙে বা সরে গিয়ে অংশবিশেষ দেবে গিয়েছে পানির সমান। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয়দের উদ্যোগে প্রায় পাঁচ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আগে এই বাওড় পার হতে নৌকাই একমাত্র উপায় ছিল। বিশেষ করে বর্ষায় নৌকা চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই রোগী, শিশু ও বয়স্ক মানুষকে বিপাকে পড়তে হতো। সেই দুর্ভোগ লাঘব করতে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রম এবং চাঁদা তুলে অভিনব এই ভাসমান সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

সেতু তৈরিতে প্রায় শতাধিক বড় আকারের নীল তেলের ড্রাম, লোহার রড, কাঠ, প্লেট এবং রশি ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই সেতুর মাধ্যমে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত শুরু করে। এছাড়া দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য পর্যটক এই সেতু দেখতে আসতেন। সেতুর উপর দিয়ে হাঁটার জন্য নির্ধারিত ছিল জনপ্রতি ২০ টাকার টিকিট।

সাম্প্রতিক টানা ভারি বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে সেতুর দুর্বল অংশগুলোকে একেবারে স্থানচ্যুত করে ফেলেছে। সেতুর উপরের লোহার পাত এবং লোহার ফ্লোর অনেক অংশেই দেবে গিয়ে পানির সঙ্গে মিশে গেছে। বেশ কিছু স্থানে রেলিংও সরে গেছে বা ভেঙে পড়েছে।

বর্তমানে সেতুতে হাঁটা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যারা সেতু ব্যবহার করতে চাইছেন, তাদেরও নৌকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার নতুন করে নৌকায় পারাপারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। ফলে বর্ষার মৌসুমে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, রোগী ও কর্মজীবী মানুষকে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে।

পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই ভাসমান সেতু এখন পরিত্যক্তের মতো পড়ে আছে। প্রতিদিন যে পর্যটকরা এখানে ভিড় করতেন, সেতুর দুরবস্থায় তাদের আনাগোনাও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত মেরামত না হলে পুরো বর্ষা মৌসুমে সেতু ব্যবহার অসম্ভব হয়ে যাবে। এতে রাজগঞ্জ, ঝাঁপা, সহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হবে।