ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

জালিয়াতি আর অনিয়মে ভরা নওগাঁ জেলার সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজে

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ

অধ্যক্ষ নিজে, কলেজ সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধির মুখে অধ্যক্ষের অনিয়ম প্রমানিত:

নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলাধীন ঐতিহ্য বাহি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ। এই কলেজের বহুল সমালোচিত ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের নাম ড. মো: আমজাদ হোসেন (আরবি) । জানা যায় যে, কলেজের একাধিক শিক্ষকের মুখে ও কলেজ এলাকার প্রতিটি মানুষের মুখে অধ্যক্ষ আমজাদের নানাবিধ অনিয়মের কথার যেন শেষ নাই। অধ্যক্ষ কর্তৃক নানা অনিয়ম মাউশি অধিদপ্তরে প্রমাণিত হওয়ায় অধ্যক্ষের বেতন বন্ধ করা হয়েছে।

এবার জানা গেল যে অধ্যক্ষের নিজের মুখে, কলেজ সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধির নিজের মুখে অধ্যক্ষের অনিয়ম প্রমাণিত। গত ১৭/০৫/২০২১ এবং ২০/০৫/২০২১ তারিখে অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেন তিনি নিজের মুখেই নিজের জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন ও বলেন যে তাঁর অনিয়মের ক্ষমা নাই এবং তিনি নিজেই বলেন যে আমার অনিয়মের দায়ে আমি (অধ্যক্ষ আমজাদ) সাসপেন্ড হব।

অন্যদিকে কলেজ গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামাণিক তিনি গত ২০২২ সালে বলেন যে অধ্যক্ষের লজ্জা নাই, অধ্যক্ষের শাস্তি হবেই ইত্যাদি। কলেজর বর্তমান, শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমার, প্রভাষক- (যুক্তিবিদ্যা) গত ১৮/০৫/২০২১ তারিখে তিনি বলেন যে প্রিন্সিপালের আচরণ ভালো না, অধ্যক্ষ কথা দিয়ে কথা রাখে না। তিনি আরো বলেন যে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না ইত্যাদি। শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমার ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারী প্রভাষক মো: এরশাদ আলী ( অর্থনীতি) এর পক্ষে কথা বলেন এবং তিনি এরশাদ আলী কে নিজের মত করে অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেন।

সকল তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায় যে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মহোদয় জনাব আলহাজ্ব মো: সিদ্দিক হোসেন ও তিনার পরিবারের সদস্য বৃন্দ, কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামানিক, সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য জনাব আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ, বর্তমান শিক্ষক প্রতিনিধি বিধানসহ কলেজের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ, উপাধ্যক্ষ,ছাত্র- ছাত্রী, ছাত্র অভিভাবক এবং কলেজ এলাকার জনসাধারণ, কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ী গণসহ সকল জনসাধারণ অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতি সহ নানা অনিয়ম নিয়ে কথা বলেন যা প্রমানিত। সকলেই অধ্যক্ষের স্হায়ী বরখাস্ত সহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি অধিদপ্তরের নিকট দাবি করছেন। সেই সাথে ভুক্তভোগী ও অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী প্রভাষক জনাব মোঃ এরশাদ আলী ( অর্থনীতি) এর স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতি পূরণ সহ বেতন ভাতা চালুর দাবি করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

জালিয়াতি আর অনিয়মে ভরা নওগাঁ জেলার সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজে

আপডেট সময় : ০৯:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ

অধ্যক্ষ নিজে, কলেজ সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধির মুখে অধ্যক্ষের অনিয়ম প্রমানিত:

নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলাধীন ঐতিহ্য বাহি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ। এই কলেজের বহুল সমালোচিত ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের নাম ড. মো: আমজাদ হোসেন (আরবি) । জানা যায় যে, কলেজের একাধিক শিক্ষকের মুখে ও কলেজ এলাকার প্রতিটি মানুষের মুখে অধ্যক্ষ আমজাদের নানাবিধ অনিয়মের কথার যেন শেষ নাই। অধ্যক্ষ কর্তৃক নানা অনিয়ম মাউশি অধিদপ্তরে প্রমাণিত হওয়ায় অধ্যক্ষের বেতন বন্ধ করা হয়েছে।

এবার জানা গেল যে অধ্যক্ষের নিজের মুখে, কলেজ সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধির নিজের মুখে অধ্যক্ষের অনিয়ম প্রমাণিত। গত ১৭/০৫/২০২১ এবং ২০/০৫/২০২১ তারিখে অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেন তিনি নিজের মুখেই নিজের জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন ও বলেন যে তাঁর অনিয়মের ক্ষমা নাই এবং তিনি নিজেই বলেন যে আমার অনিয়মের দায়ে আমি (অধ্যক্ষ আমজাদ) সাসপেন্ড হব।

অন্যদিকে কলেজ গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামাণিক তিনি গত ২০২২ সালে বলেন যে অধ্যক্ষের লজ্জা নাই, অধ্যক্ষের শাস্তি হবেই ইত্যাদি। কলেজর বর্তমান, শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমার, প্রভাষক- (যুক্তিবিদ্যা) গত ১৮/০৫/২০২১ তারিখে তিনি বলেন যে প্রিন্সিপালের আচরণ ভালো না, অধ্যক্ষ কথা দিয়ে কথা রাখে না। তিনি আরো বলেন যে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না ইত্যাদি। শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমার ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারী প্রভাষক মো: এরশাদ আলী ( অর্থনীতি) এর পক্ষে কথা বলেন এবং তিনি এরশাদ আলী কে নিজের মত করে অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেন।

সকল তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায় যে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মহোদয় জনাব আলহাজ্ব মো: সিদ্দিক হোসেন ও তিনার পরিবারের সদস্য বৃন্দ, কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামানিক, সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য জনাব আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ, বর্তমান শিক্ষক প্রতিনিধি বিধানসহ কলেজের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ, উপাধ্যক্ষ,ছাত্র- ছাত্রী, ছাত্র অভিভাবক এবং কলেজ এলাকার জনসাধারণ, কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ী গণসহ সকল জনসাধারণ অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতি সহ নানা অনিয়ম নিয়ে কথা বলেন যা প্রমানিত। সকলেই অধ্যক্ষের স্হায়ী বরখাস্ত সহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি অধিদপ্তরের নিকট দাবি করছেন। সেই সাথে ভুক্তভোগী ও অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী প্রভাষক জনাব মোঃ এরশাদ আলী ( অর্থনীতি) এর স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতি পূরণ সহ বেতন ভাতা চালুর দাবি করছেন।