ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝিনাইদহে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালিত আগৈলঝাড়ায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও হাত ধোয়া প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের মানববন্ধন বোন ও দুলাভাই দ্বারা হয়রানি-মামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে বেনাপোলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে উচ্ছেদে ভূমিহীনদের পুনঃবাসনের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি সাতক্ষীরা পৌরসভায় জলবায়ু সহনশীল পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিউনিটি সংলাপ অনুষ্ঠিত বিএনপি নির্বাচিত হলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে –মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাণীশংকৈলে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অবৈধভাবে কাজ চললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ইউএনও’র লেমুয়া বাজারে ২০ ফুট প্রশস্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় জনগণ

জমির উৎপাদন ক্ষমতা ধরে রাখতে জৈব সারের বিকল্প হিসেবে ধৈঞ্চার ব্যবহার

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ২১১ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারীর ডোমার ভিত্তিবীজ আলু খামারে ২শ পঞ্চাশ একর জমিতে ধৈঞ্চার চাষাবাদ

নীলফামারী প্রতিনিধি: রাসায়নিক সারের প্রয়োগ কমিয়ে জমির উর্বরতা শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে জৈব সারের বিকল্প হিসেবে ডোমার ভিত্তিবীজ আলু খামারে চলতি মৌসুমে ২শ পঞ্চাশ একর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে সবুজ সার খ্যাত ধৈঞ্চা।

খামারের নথি অনুযায়ী, ১৯৫৭-৫৮ সালে সরকার ডোমার খামারটি প্রতিষ্ঠা করে। তৎকালীন কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে খামারের কার্যক্রম শুরু হয়। বীজ আলু উৎপাদনে বেশি উপযোগী মনে করে ১৯৮৯-৯০ সালে খামারটি আলু বীজ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়।

সূত্র বলছে, আশানুরূপ ফলন পেতে এবং মাটিকে উৎপাদনক্ষম রাখতে বর্তমানে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিকল্পিত রাসায়নিক সারের ব্যবহারের ফলে মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। বিপন্ন হয়ে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। দেশের ভৌগলিক অবস্থানের তুলনায় বেশি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ভূমির ওপরেই মূল ভরসা। সেজন্য জমির উর্বরা শক্তি অক্ষুণ্ন রাখতেই কৃষি বিভাগকে নিতে হচ্ছে নতুন নতুন পরিকল্পনা। তারই আলোকে করা হচ্ছে ধৈঞ্চা চাষ।

ধৈঞ্চা মাটির উর্বরতা ও ভৌত গুণাবলির উন্নতি সাধন করে। এটির মূল মাটির গভীরে যাওয়ায় পুষ্টি শোষণ করে মাটির উপরিভাগে আনে। মাটিতে গাছের পুষ্টি উপাদানকে সংরক্ষণ করে। একই সঙ্গে জমির আর্দ্রতা ও জোঁ অবস্থা সঠিক রাখে। এঁটেল মাটিকে নরম করে এবং বেলে মাটির পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্ষয়রোধ করে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সহকারী পরিচালক সুব্রত মজুমদার বলেন, ‘ধৈঞ্চা ব্যবহার এখন কমে গেলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিএডিসির খামারে এটি চাষে হচ্ছে। এতে একদিকে জমিতে সার ব্যবহার কমছে। আরেক দিকে সার কম ব্যবহারে ধৈঞ্চা চাষে সরকারের ফার্মে লাভ হচ্ছে।

ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা বলেন, “রাসায়নিক সারের প্রয়োগ কমিয়ে, জৈব সারের বিকল্প হিসেবে চলতি মৌসুমে উত্তপ্ত খরতাপ উপেক্ষা করে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ২শ পঞ্চাশ একর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়েছে। এতে জমির উর্বরতা বাড়বে, ফসলের রোগবালাই কমবে। সবুজ সার জৈব পদার্থ যোগ করে মাটিকে উর্বর করে। মাটির ভৌত গুণাবলির উন্নতি সাধন করে”।

তিনি আরো বলেন, “ধৈঞ্চা উৎপাদন করতে ৪৫ থেকে ৫০ দিন বয়সেই প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ টন সবুজ (জৈব) সার হয়। এর ফলে ১০০ থেকে ১৫০ কেজি নাইট্রোজেন সরবরাহ করে। যা ২২০ থেকে ২৬০ কেজি ইউরিয়া সারের সমান”।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

জমির উৎপাদন ক্ষমতা ধরে রাখতে জৈব সারের বিকল্প হিসেবে ধৈঞ্চার ব্যবহার

আপডেট সময় : ১০:০৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

নীলফামারীর ডোমার ভিত্তিবীজ আলু খামারে ২শ পঞ্চাশ একর জমিতে ধৈঞ্চার চাষাবাদ

নীলফামারী প্রতিনিধি: রাসায়নিক সারের প্রয়োগ কমিয়ে জমির উর্বরতা শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে জৈব সারের বিকল্প হিসেবে ডোমার ভিত্তিবীজ আলু খামারে চলতি মৌসুমে ২শ পঞ্চাশ একর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে সবুজ সার খ্যাত ধৈঞ্চা।

খামারের নথি অনুযায়ী, ১৯৫৭-৫৮ সালে সরকার ডোমার খামারটি প্রতিষ্ঠা করে। তৎকালীন কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে খামারের কার্যক্রম শুরু হয়। বীজ আলু উৎপাদনে বেশি উপযোগী মনে করে ১৯৮৯-৯০ সালে খামারটি আলু বীজ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়।

সূত্র বলছে, আশানুরূপ ফলন পেতে এবং মাটিকে উৎপাদনক্ষম রাখতে বর্তমানে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিকল্পিত রাসায়নিক সারের ব্যবহারের ফলে মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। বিপন্ন হয়ে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। দেশের ভৌগলিক অবস্থানের তুলনায় বেশি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ভূমির ওপরেই মূল ভরসা। সেজন্য জমির উর্বরা শক্তি অক্ষুণ্ন রাখতেই কৃষি বিভাগকে নিতে হচ্ছে নতুন নতুন পরিকল্পনা। তারই আলোকে করা হচ্ছে ধৈঞ্চা চাষ।

ধৈঞ্চা মাটির উর্বরতা ও ভৌত গুণাবলির উন্নতি সাধন করে। এটির মূল মাটির গভীরে যাওয়ায় পুষ্টি শোষণ করে মাটির উপরিভাগে আনে। মাটিতে গাছের পুষ্টি উপাদানকে সংরক্ষণ করে। একই সঙ্গে জমির আর্দ্রতা ও জোঁ অবস্থা সঠিক রাখে। এঁটেল মাটিকে নরম করে এবং বেলে মাটির পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্ষয়রোধ করে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সহকারী পরিচালক সুব্রত মজুমদার বলেন, ‘ধৈঞ্চা ব্যবহার এখন কমে গেলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিএডিসির খামারে এটি চাষে হচ্ছে। এতে একদিকে জমিতে সার ব্যবহার কমছে। আরেক দিকে সার কম ব্যবহারে ধৈঞ্চা চাষে সরকারের ফার্মে লাভ হচ্ছে।

ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা বলেন, “রাসায়নিক সারের প্রয়োগ কমিয়ে, জৈব সারের বিকল্প হিসেবে চলতি মৌসুমে উত্তপ্ত খরতাপ উপেক্ষা করে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ২শ পঞ্চাশ একর জমিতে ধৈঞ্চা চাষ করা হয়েছে। এতে জমির উর্বরতা বাড়বে, ফসলের রোগবালাই কমবে। সবুজ সার জৈব পদার্থ যোগ করে মাটিকে উর্বর করে। মাটির ভৌত গুণাবলির উন্নতি সাধন করে”।

তিনি আরো বলেন, “ধৈঞ্চা উৎপাদন করতে ৪৫ থেকে ৫০ দিন বয়সেই প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ টন সবুজ (জৈব) সার হয়। এর ফলে ১০০ থেকে ১৫০ কেজি নাইট্রোজেন সরবরাহ করে। যা ২২০ থেকে ২৬০ কেজি ইউরিয়া সারের সমান”।