ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে চোর সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি, ৩ দিন পর মৃত্যু নীলফামারীতে মাদ্রাসার সুপারের অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের পানি-স্যালাইন ও কলম বিতরণ শতাধিক মামলা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম শহরজুড়ে চুরি-ডাকাতি:নিয়ন্ত্রণে ডাকাত -৩ সুবল কাটি বালিকা বিদ্যালয়ে মোঃ জাকির হোসেনের প্রথম সভা দামুড়হুদায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনরের গো গ্রীন সেন্টার পরিদর্শন মানবতাই শ্রেষ্ঠ, ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা:(মাতপ,স) সিলেট তদন্ত কমিটির বিচার কার্যকাল বিলম্ব হওয়ায় বাকৃবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল খুবির ভর্তি পরীক্ষায় জুলাই আন্দোলন ও মুগ্ধকে নিয়ে প্রশ্ন মেহেদীর রং শুকানোর আগেই না ফেরার দেশে ফটিকছড়ির প্রবাসী মঞ্জু

চুয়াডাঙ্গা স্বাক্ষর জাল করে বেতন উত্তোলন ধরা পড়ে ফেরত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানীর কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বেতন উত্তোলনের পর তা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কারখানার শ্রমিকদের । ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম কামরুল হাসান লোমান। তিনি দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও কেরু চিনিকলের মৌসুমী শ্রমিক।
কেরু এন্ড কোম্পানী সূত্র জানায়, আখ মাড়াই মৌসুম চলাকালীন ইক্ষু বিভাগে চাকরি করেন লোমান। বছরের বাকি মাসগুলোতে অনেক কর্মচারীকে বিভিন্ন দপ্তরে দৈনিক হাজিরার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক পোস্টিং দেওয়া হয়। তেমনি ছাত্রলীগ নেতা লোমান কেরু জৈবসার কারখানায় চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত ২৩-২৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা সফরের নামে বিনা ছুটিতে কক্সবাজারে অবস্থান করেন তিনি। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তার ৬দিনের হাজিরা কর্তন করা হয়। মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন সাহা এবং ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) জাহিদুল হক টুটুল স্বাক্ষরিত মাসিক হাজিরা শিট বেতন শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।সূত্র আরও জানায়, একই বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করায় লোমান হাজিরা শিটটি গোপনে সংগ্রহ করে তা নষ্ট করে ফেলেন। পরে আরেকটি নতুন হাজিরা শিট তৈরি করে পূর্ণ মাসের হাজিরাসহ কর্মকর্তাদের সই জাল করে বেতন শাখায় জমা দেন। সহকর্মীরা বেতন তুলতে গিয়ে দেখেন, পূর্ণ মাসের বেতন পেয়েছেন লোমান। তখন বিষয়টি জানাজানি হলে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন পর্যন্ত পৌঁছায়। তিনি কারখানা ব্যবস্থাপক সুমন সাহা ও কেমিস্ট জাহিদুল হক টুটুলকে নিজ কক্ষে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা হাজিরা শিটের সই জাল বলে শনাক্ত করেন। পরে ৬দিনের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন শ্রমিক লোমান।এ বিষয়ে কারখানার মৌসুমি শ্রমিক ও ছাত্রলীগ নেতা লোমান জানান, তিনি কর্মকর্তাদের জানিয়েই কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। এখন তারা অস্বীকার করছেন। সই জাল করার বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসের একজনের প্ররোচনায় পড়ে সই জাল করেছি। তবে ওই কর্মকর্তার নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন লোমান।
কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, অপরাধ প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও এমন ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গা স্বাক্ষর জাল করে বেতন উত্তোলন ধরা পড়ে ফেরত

আপডেট সময় : ০৫:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানীর কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বেতন উত্তোলনের পর তা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কারখানার শ্রমিকদের । ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম কামরুল হাসান লোমান। তিনি দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও কেরু চিনিকলের মৌসুমী শ্রমিক।
কেরু এন্ড কোম্পানী সূত্র জানায়, আখ মাড়াই মৌসুম চলাকালীন ইক্ষু বিভাগে চাকরি করেন লোমান। বছরের বাকি মাসগুলোতে অনেক কর্মচারীকে বিভিন্ন দপ্তরে দৈনিক হাজিরার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক পোস্টিং দেওয়া হয়। তেমনি ছাত্রলীগ নেতা লোমান কেরু জৈবসার কারখানায় চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত ২৩-২৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা সফরের নামে বিনা ছুটিতে কক্সবাজারে অবস্থান করেন তিনি। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তার ৬দিনের হাজিরা কর্তন করা হয়। মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন সাহা এবং ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) জাহিদুল হক টুটুল স্বাক্ষরিত মাসিক হাজিরা শিট বেতন শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।সূত্র আরও জানায়, একই বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করায় লোমান হাজিরা শিটটি গোপনে সংগ্রহ করে তা নষ্ট করে ফেলেন। পরে আরেকটি নতুন হাজিরা শিট তৈরি করে পূর্ণ মাসের হাজিরাসহ কর্মকর্তাদের সই জাল করে বেতন শাখায় জমা দেন। সহকর্মীরা বেতন তুলতে গিয়ে দেখেন, পূর্ণ মাসের বেতন পেয়েছেন লোমান। তখন বিষয়টি জানাজানি হলে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন পর্যন্ত পৌঁছায়। তিনি কারখানা ব্যবস্থাপক সুমন সাহা ও কেমিস্ট জাহিদুল হক টুটুলকে নিজ কক্ষে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা হাজিরা শিটের সই জাল বলে শনাক্ত করেন। পরে ৬দিনের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন শ্রমিক লোমান।এ বিষয়ে কারখানার মৌসুমি শ্রমিক ও ছাত্রলীগ নেতা লোমান জানান, তিনি কর্মকর্তাদের জানিয়েই কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। এখন তারা অস্বীকার করছেন। সই জাল করার বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসের একজনের প্ররোচনায় পড়ে সই জাল করেছি। তবে ওই কর্মকর্তার নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন লোমান।
কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, অপরাধ প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও এমন ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।