চুয়াডাঙ্গা শহরে অস্থায়ী সড়ক বিভাজক দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে জেলা পুলিশ কমেছে যানজট সড়কে ফিরছে শৃঙ্খলা
- আপডেট সময় : ০৯:২৩:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা থেকে মুক্তির জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে সড়ক বিভাজক (রোড ডিভাইডার) স্থাপন করে সুনাম কুড়িয়েছে জেলা পুলিশ। দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যা তো আছেই, তবে ঈদ উপলক্ষে এ সমস্যা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। এবারই প্রথম চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ শহরের বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়ের এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে। ফলাফল অনেকটাই সুফল মিলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাসগুলো চলাচল করলে আরও বেশি উপকৃত হবে চুয়াডাঙ্গাবাসী। কমে আসবে বড় বাজারের যানজট।জানা যায় চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা শহরে বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচল করেন। এই শহরের শহিদ আবুল কাশেম সড়কটিতে স্থায়ী বিভাজক আছে। তবে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও অফিস বড় বাজার কেন্দ্রিক হওয়ায় সব থেকে বেশি চাপ পড়ে বড় বাজারেই। শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়ে সবসময়ই ভিড় থাকে। বাইপাস সড়ক না থাকায় চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুর, যশোর, কুষ্টিয়া বা ঝিনাইদহ ও ঢাকাসহ সবকটি আঞ্চলিক রুটে যেতে হয় এই মোড় ঘুরেই। সমবায় নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা, আব্দুল্লাহ সিটি, মুন সুপার মার্কেট, বড় বাজারের সবজি ও মাংসের বাজার, পুরাতন গলির মার্কেটও এই স্থানের সন্নিকটে। পোশাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু নিতেই চুয়াডাঙ্গাবাসীর ভরসা বড় বাজার কেন্দ্রিক এলাকা। দুটি সরকারি জেলা স্কুল, শিল্পকলা একাডেমিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কারণে শহিদ আবুল কাশেম সড়ক ও বড় বাজার ব্যস্ততম এলাকা।
সরেজমিনে বড় বাজারের দীর্ঘদিনের চিত্র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শহরের এই স্থানটিতে সবসময় ভিড় লেগেই থাকে। অতিরিক্ত চাপ হওয়ায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যও নির্ধারিত জায়গা নেই। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং ও সদর থানার সামনে থেকে চৌরাস্তা মোড়ের জনবহুল এলাকায় সড়ক বিভাজক না থাকায় শৃঙ্খলা ছিল না গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে। ইচ্ছামতো চলাচলে নানা সময়ই এই স্থানে দুর্ঘটনাও ঘটত। তবে গত কয়েকদিনে শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটিতে কিছুটা ফিরেছে শৃঙ্খলা। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দেয়া সড়ক বিভাজকের কারণে খুব বেশি যানজট থাকছে না। রাস্তাটিতে পায়ে হাঁটার জন্য আলাদা ও মাঝ বরাবর সড়ক বিভাজক থাকায় যানবহন ও হেঁটে চলা মানুষের কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। এমন উদ্যোগে ট্রাফিক বিভাগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল ও পথচারীরা।ভ্যানচালক আকরাম আলী বলেন, ডিভাইডারে দিয়ে একটু সুবিধা হয়েছে। দাঁড়ানোর জায়গা না থাকলেও যানজট হচ্ছে না। পথচারী সোহেল রহমান বলেন, এদিকে থাকে অটো, ওদিকে থাকে ভ্যান, মাঝখানে মোটরসাকেলের গুতো। হাঁটা যায় না শহরের এই স্থানটি দিয়ে। তবে পুলিশ দেখছি, ডিভাইডার দিয়েছে। ভালো করেছে। অন্তত কিছুটা হাঁটার জায়গা বেরিয়েছে। এবার এখান থেকে বাস ছাড়া বন্ধ করতে হবে। একেবারে বড় বাজারের রাস্তার উপরে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। এতেও সমস্যা। পোশাক ব্যবসায়ী রতন আলী বলেন, ঈদের সিজনে একটু লোকজন হয়। কিন্তু বড় বাজারে কোথাও গাড়ি রাখার জায়গা নেই। এটি বড় সমস্যা। তবে সড়ক বিভাজক দিয়ে কেউ যেখানে সেখানে অটো কিংবা ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখতে পারছে না। কিছুটা যানজট কমেছে।