ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কালিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে কেড়ে নিল ১ কৃষকের লক্ষ টাকার স্বপ্ন ঢাকা সাভার আশুলিয়ায় ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত, আটক ২ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্থ হবে—- সাতক্ষীরায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত মাদক সেবনের অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লার চঞ্চলসহ ৩জন গ্রেফতার হারুয়ালছড়ি বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার: বাকৃবির গবেষণা যে কারণে বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন স্বেচ্ছাসেবকরা নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে স্বীকৃত – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজ ৭১ অনলাইন পোর্টালে”প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত আশাশুনির হাঁড়িভাঙ্গা বাজারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

*চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপি চাষে আব্দুল্লাহর সফলতা*

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

*চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপি চাষে আব্দুল্লাহর সফলতা*
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-স্বাদ, স্বাস্থ্য গুণ ও বাজারদর ভালো হওয়ায় নতুন জাতের রঙিন ফুলকপির চাষে দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে উপজেলা সদর ইউনিয়নে কৃষক আব্দুল্লাহ সফল হওয়ার তাদের মধ্যে এই চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আব্দুল্লাহ মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার চারা রোপণ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তার রঙিন ফুলকপি চাষ সাফল্যে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই তার খেতে ভিড় করছেন কৃষকসহ উৎসুক গ্রামবাসী। অনেকে খেত থেকে সরাসরি ফুলকপি কিনছেন আবার কেউ কেউ চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, নিজের ২০ শতক জমিতে পরীক্ষা মূলকভাবে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছিলেন তিনি। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হবেন বলে আশাবাদী তিনি। আব্দুল্লাহ জানান, মাঝারি আকৃতির একেকটি ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ‘নিরাপদ উচ্চ মূল্য ফসল চাষ’ স্লোগানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবারই প্রথম দামুড়হুদায় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রঙিন ফুলকপি চাষ করেন তিনি। চারা রোপণ থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত পরিচর্যা ও জৈবসারসহ মোট খরচ হয়েছিল ৬ হাজার টাকা।
আরেক কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, আব্দুল্লাহ ভাইয়ের রঙিন ফুলকপি দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। এর চাষপদ্ধতি সম্পর্কে তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়েছি। আগামীতে আমিও এই রঙিন ফুলকপি চাষ করবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু করে। তবে দামুড়হুদায় এবারই প্রথম এর চাষ হচ্ছে। চারা রোপণের ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে জমি থেকে ফসল উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করা সম্ভব। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের কৃষি সম্প্রসারণ ব্লক সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষামূলক চাষের জন্য কৃষক আব্দুল্লাহকে রঙিন ফুলকপির চারা দেওয়া হয়েছিল। ফলন ভালো হওয়ায় আরও অনেকে এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। রঙিন ফুলকপির চারাসহ বিভিন্ন পরামর্শের জন্য কৃষকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, বাজারে নতুন আসা বেগুনি রঙের ফুলকপিতে রয়েছে বিটা কেরোটিন; যা শরীরে ভিটামিন ‘এ’-তে পরিণত হয়। আর রক্তবর্ণ ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্থোসাইয়ানিন; যা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’-এর প্রাচুর্যসহ সাধারণ ফুলকপির সব পুষ্টিগুণ উপাদানই এতে রয়েছে। রঙিন ফুলকপি দেখতেও সুন্দর বাজারে দামও বেশি এ জন্য কৃষকরা এই ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আমরাও বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

*চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপি চাষে আব্দুল্লাহর সফলতা*

আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

*চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপি চাষে আব্দুল্লাহর সফলতা*
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-স্বাদ, স্বাস্থ্য গুণ ও বাজারদর ভালো হওয়ায় নতুন জাতের রঙিন ফুলকপির চাষে দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে উপজেলা সদর ইউনিয়নে কৃষক আব্দুল্লাহ সফল হওয়ার তাদের মধ্যে এই চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আব্দুল্লাহ মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার চারা রোপণ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তার রঙিন ফুলকপি চাষ সাফল্যে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই তার খেতে ভিড় করছেন কৃষকসহ উৎসুক গ্রামবাসী। অনেকে খেত থেকে সরাসরি ফুলকপি কিনছেন আবার কেউ কেউ চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, নিজের ২০ শতক জমিতে পরীক্ষা মূলকভাবে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছিলেন তিনি। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হবেন বলে আশাবাদী তিনি। আব্দুল্লাহ জানান, মাঝারি আকৃতির একেকটি ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ‘নিরাপদ উচ্চ মূল্য ফসল চাষ’ স্লোগানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবারই প্রথম দামুড়হুদায় কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রঙিন ফুলকপি চাষ করেন তিনি। চারা রোপণ থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত পরিচর্যা ও জৈবসারসহ মোট খরচ হয়েছিল ৬ হাজার টাকা।
আরেক কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, আব্দুল্লাহ ভাইয়ের রঙিন ফুলকপি দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। এর চাষপদ্ধতি সম্পর্কে তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়েছি। আগামীতে আমিও এই রঙিন ফুলকপি চাষ করবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ শুরু করে। তবে দামুড়হুদায় এবারই প্রথম এর চাষ হচ্ছে। চারা রোপণের ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে জমি থেকে ফসল উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করা সম্ভব। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের কৃষি সম্প্রসারণ ব্লক সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষামূলক চাষের জন্য কৃষক আব্দুল্লাহকে রঙিন ফুলকপির চারা দেওয়া হয়েছিল। ফলন ভালো হওয়ায় আরও অনেকে এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। রঙিন ফুলকপির চারাসহ বিভিন্ন পরামর্শের জন্য কৃষকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, বাজারে নতুন আসা বেগুনি রঙের ফুলকপিতে রয়েছে বিটা কেরোটিন; যা শরীরে ভিটামিন ‘এ’-তে পরিণত হয়। আর রক্তবর্ণ ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্থোসাইয়ানিন; যা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’-এর প্রাচুর্যসহ সাধারণ ফুলকপির সব পুষ্টিগুণ উপাদানই এতে রয়েছে। রঙিন ফুলকপি দেখতেও সুন্দর বাজারে দামও বেশি এ জন্য কৃষকরা এই ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আমরাও বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি।