ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শাল্লায় জাতীয় নাগরিক পার্টী(এনসিপি’র) দো’আ ও ইফতার- মাহফিল কালিগঞ্জে মাদক বিরোধী সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ সেবনের সরঞ্জামাদি সহ আটক ২ নীলফামারীতে ইনসাফ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যত্রম জাতীয়করণ না করে আউটসোসিং করার প্রতিবাদে মানববন্ধন সাতক্ষীরা শ্যামনগরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বড় ভাইদের হাতে ছোট ভাই খুন জলদস্যুতা নানামূখী অপরাধীদের ঈদ উপহার বিশেষ মতবিনিময় সভা :র‌্যাব-৭ পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা শহীদ কোকিল এর বাসায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার মোবাইল কেড়ে নেয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন রাজাপুরে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার মাহফিল মণিরামপুরে দখলবাজির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বহিষ্কার

“চুয়াডাঙ্গার বিখ্যাত মাছের বাজারে কোটি টাকার বেচা-বিক্রি “

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-ভোর হলেই হাঁকডাকে মুখর চুয়াডাঙ্গার রেলস্টেশন সংলগ্ন মাছের বাজার। এ বাজারে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়। শতাধিক আড়তে হাজারের বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় এ বাজারে কাজ করে।সরেজমিনে দেখা যায়, ঢালার ওপরে তাজা মাছ লাফাচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর চারদিক। সড়কের পাশে গাড়ি রেখে মাছ কিনছেন অনেকে। বিয়ে, জন্মদিনসহ বড় অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার ও জেলার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলো পাইকারিতে মাছ সংগ্রহ করেন অনেকে।ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, এ বাজারে প্রতিদিন অন্তত আড়াই থেকে পাঁচ মণ মাছ বেচাকেনা হয়। যা টাকার অংকে যা কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহের প্রতিদিনই বসে মাছের বাজার। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশ, মৃগেল, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড ও কমন কার্প মাছ। বিক্রি হওয়া মাছের ৫০ শতাংশ এগুলো। অন্য মাছের মধ্যে ২০ শতাংশ ইলিশ, ১০ শতাংশ দেশি ও ২০ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ আমদানি করা হয়। ইলিশ আসে চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে। সামুদ্রিক মাছের বেশিরভাগ সংগ্রহ করা হয় চট্টগ্রাম থেকে।
বাজারের সাবেক আড়তদার মো. শহিদুল কদর জোয়ারদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় ৪০ বছর মাছের ব্যবসায় আছি। এ বাজারের মাছের চাহিদা দীর্ঘদিনের। আগে বাজারটি স্টেশনের কাছাকাছি ছিল তারপর একটু এগিয়ে এখন বাজারটি বড় হয়েছে।আড়তে কাজ করা সুমন মিয়া বলেন, আমি এখানে দীর্ঘদিন আছি। এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ আনেন। খুচরা ও পাইকারি দুভাবেই বিক্রি হয়। এখানে অনেক ভোরে কাজ শুরু হয়ে সকাল ১০টা ১১ পর্যন্ত চলে।
মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, আড়তটি পাকিস্তান
আমল থেকে শুরু হয়েছে। রেল স্টেশনের পাশে এ মৎস্য আড়ত ১০০ বছরের ঐতিহ্য। ইলিশ মাছের সময় প্রতিদিন ৩০০-৫০০ মণ ইলিশ মাছ আসে। চাহিদা অনুযায়ী আমরা মাছ সরবরাহ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

“চুয়াডাঙ্গার বিখ্যাত মাছের বাজারে কোটি টাকার বেচা-বিক্রি “

আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-ভোর হলেই হাঁকডাকে মুখর চুয়াডাঙ্গার রেলস্টেশন সংলগ্ন মাছের বাজার। এ বাজারে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়। শতাধিক আড়তে হাজারের বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় এ বাজারে কাজ করে।সরেজমিনে দেখা যায়, ঢালার ওপরে তাজা মাছ লাফাচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর চারদিক। সড়কের পাশে গাড়ি রেখে মাছ কিনছেন অনেকে। বিয়ে, জন্মদিনসহ বড় অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার ও জেলার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলো পাইকারিতে মাছ সংগ্রহ করেন অনেকে।ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, এ বাজারে প্রতিদিন অন্তত আড়াই থেকে পাঁচ মণ মাছ বেচাকেনা হয়। যা টাকার অংকে যা কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহের প্রতিদিনই বসে মাছের বাজার। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশ, মৃগেল, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড ও কমন কার্প মাছ। বিক্রি হওয়া মাছের ৫০ শতাংশ এগুলো। অন্য মাছের মধ্যে ২০ শতাংশ ইলিশ, ১০ শতাংশ দেশি ও ২০ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ আমদানি করা হয়। ইলিশ আসে চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে। সামুদ্রিক মাছের বেশিরভাগ সংগ্রহ করা হয় চট্টগ্রাম থেকে।
বাজারের সাবেক আড়তদার মো. শহিদুল কদর জোয়ারদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় ৪০ বছর মাছের ব্যবসায় আছি। এ বাজারের মাছের চাহিদা দীর্ঘদিনের। আগে বাজারটি স্টেশনের কাছাকাছি ছিল তারপর একটু এগিয়ে এখন বাজারটি বড় হয়েছে।আড়তে কাজ করা সুমন মিয়া বলেন, আমি এখানে দীর্ঘদিন আছি। এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ আনেন। খুচরা ও পাইকারি দুভাবেই বিক্রি হয়। এখানে অনেক ভোরে কাজ শুরু হয়ে সকাল ১০টা ১১ পর্যন্ত চলে।
মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, আড়তটি পাকিস্তান
আমল থেকে শুরু হয়েছে। রেল স্টেশনের পাশে এ মৎস্য আড়ত ১০০ বছরের ঐতিহ্য। ইলিশ মাছের সময় প্রতিদিন ৩০০-৫০০ মণ ইলিশ মাছ আসে। চাহিদা অনুযায়ী আমরা মাছ সরবরাহ করছি।