ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ঢাকা বিভাগে সবুজ দলকে ৩৫ রানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল দল কালিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে কেড়ে নিল ১ কৃষকের লক্ষ টাকার স্বপ্ন ঢাকা সাভার আশুলিয়ায় ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত, আটক ২ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্থ হবে—- সাতক্ষীরায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত মাদক সেবনের অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লার চঞ্চলসহ ৩জন গ্রেফতার হারুয়ালছড়ি বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার: বাকৃবির গবেষণা যে কারণে বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন স্বেচ্ছাসেবকরা নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে স্বীকৃত – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজ ৭১ অনলাইন পোর্টালে”প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

“চুয়াডাঙ্গার বিখ্যাত মাছের বাজারে কোটি টাকার বেচা-বিক্রি “

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৬০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-ভোর হলেই হাঁকডাকে মুখর চুয়াডাঙ্গার রেলস্টেশন সংলগ্ন মাছের বাজার। এ বাজারে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়। শতাধিক আড়তে হাজারের বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় এ বাজারে কাজ করে।সরেজমিনে দেখা যায়, ঢালার ওপরে তাজা মাছ লাফাচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর চারদিক। সড়কের পাশে গাড়ি রেখে মাছ কিনছেন অনেকে। বিয়ে, জন্মদিনসহ বড় অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার ও জেলার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলো পাইকারিতে মাছ সংগ্রহ করেন অনেকে।ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, এ বাজারে প্রতিদিন অন্তত আড়াই থেকে পাঁচ মণ মাছ বেচাকেনা হয়। যা টাকার অংকে যা কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহের প্রতিদিনই বসে মাছের বাজার। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশ, মৃগেল, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড ও কমন কার্প মাছ। বিক্রি হওয়া মাছের ৫০ শতাংশ এগুলো। অন্য মাছের মধ্যে ২০ শতাংশ ইলিশ, ১০ শতাংশ দেশি ও ২০ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ আমদানি করা হয়। ইলিশ আসে চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে। সামুদ্রিক মাছের বেশিরভাগ সংগ্রহ করা হয় চট্টগ্রাম থেকে।
বাজারের সাবেক আড়তদার মো. শহিদুল কদর জোয়ারদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় ৪০ বছর মাছের ব্যবসায় আছি। এ বাজারের মাছের চাহিদা দীর্ঘদিনের। আগে বাজারটি স্টেশনের কাছাকাছি ছিল তারপর একটু এগিয়ে এখন বাজারটি বড় হয়েছে।আড়তে কাজ করা সুমন মিয়া বলেন, আমি এখানে দীর্ঘদিন আছি। এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ আনেন। খুচরা ও পাইকারি দুভাবেই বিক্রি হয়। এখানে অনেক ভোরে কাজ শুরু হয়ে সকাল ১০টা ১১ পর্যন্ত চলে।
মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, আড়তটি পাকিস্তান
আমল থেকে শুরু হয়েছে। রেল স্টেশনের পাশে এ মৎস্য আড়ত ১০০ বছরের ঐতিহ্য। ইলিশ মাছের সময় প্রতিদিন ৩০০-৫০০ মণ ইলিশ মাছ আসে। চাহিদা অনুযায়ী আমরা মাছ সরবরাহ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

“চুয়াডাঙ্গার বিখ্যাত মাছের বাজারে কোটি টাকার বেচা-বিক্রি “

আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-ভোর হলেই হাঁকডাকে মুখর চুয়াডাঙ্গার রেলস্টেশন সংলগ্ন মাছের বাজার। এ বাজারে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়। শতাধিক আড়তে হাজারের বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় এ বাজারে কাজ করে।সরেজমিনে দেখা যায়, ঢালার ওপরে তাজা মাছ লাফাচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর চারদিক। সড়কের পাশে গাড়ি রেখে মাছ কিনছেন অনেকে। বিয়ে, জন্মদিনসহ বড় অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার ও জেলার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলো পাইকারিতে মাছ সংগ্রহ করেন অনেকে।ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, এ বাজারে প্রতিদিন অন্তত আড়াই থেকে পাঁচ মণ মাছ বেচাকেনা হয়। যা টাকার অংকে যা কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহের প্রতিদিনই বসে মাছের বাজার। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশ, মৃগেল, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড ও কমন কার্প মাছ। বিক্রি হওয়া মাছের ৫০ শতাংশ এগুলো। অন্য মাছের মধ্যে ২০ শতাংশ ইলিশ, ১০ শতাংশ দেশি ও ২০ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ আমদানি করা হয়। ইলিশ আসে চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে। সামুদ্রিক মাছের বেশিরভাগ সংগ্রহ করা হয় চট্টগ্রাম থেকে।
বাজারের সাবেক আড়তদার মো. শহিদুল কদর জোয়ারদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় ৪০ বছর মাছের ব্যবসায় আছি। এ বাজারের মাছের চাহিদা দীর্ঘদিনের। আগে বাজারটি স্টেশনের কাছাকাছি ছিল তারপর একটু এগিয়ে এখন বাজারটি বড় হয়েছে।আড়তে কাজ করা সুমন মিয়া বলেন, আমি এখানে দীর্ঘদিন আছি। এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ আনেন। খুচরা ও পাইকারি দুভাবেই বিক্রি হয়। এখানে অনেক ভোরে কাজ শুরু হয়ে সকাল ১০টা ১১ পর্যন্ত চলে।
মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, আড়তটি পাকিস্তান
আমল থেকে শুরু হয়েছে। রেল স্টেশনের পাশে এ মৎস্য আড়ত ১০০ বছরের ঐতিহ্য। ইলিশ মাছের সময় প্রতিদিন ৩০০-৫০০ মণ ইলিশ মাছ আসে। চাহিদা অনুযায়ী আমরা মাছ সরবরাহ করছি।