ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অন্ধকারে আলোর পথ দেখালেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নেই সোলার লাইট স্থাপন এস আলমের ২০০ একর জমি ক্রোকের আদেশ দিনাজপুরে সংগঠিত হয়ে গেল রংপুর বিভাগীয় কমিটির কর্মীসভা মনিরামপুরে বিএনপির ঐতিহাসিক ঐক্য: একক প্রার্থীর পক্ষে একতাবদ্ধ নেতা-কর্মীরা নেকমরদ সরকারি কলেজের প্রাচীর ঘেঁষে ঘর নির্মাণ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি’র অভিযানে মাদক ও অস্ত্র সহ ৪ জন গ্ৰেফতার শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ০২ জন জলদস্যু গ্রেফতার চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত বাড়ছে ধীরে ধীরে রংপুর জেলার গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় খেজুর বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিষপানে গৃহবধূর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী; সংকটে কলেরা স্যালাইনের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-

চুয়াডাঙ্গায় আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া পরিবর্তন ও রোটাভাইরাসজনিত কারণে আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু রোগী। অন্যদিকে রয়েছে কলেরা স্যালাইনের সংকট। ফার্মেসিগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী কলেরা স্যালাইন পাচ্ছে না।জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে দু শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। এদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। অপরদিকে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ আড়াইশ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরের আভা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মানিকুজ্জামান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় কলেরা স্যালাইনের চরম সংকট রয়েছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে স্যালাইন সরবরাহ পাচ্ছি না।
তবে সদর হাসপাতালের স্টোরকিপার হাদিউর রহমান হাদী জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও কলেরা স্যালাইন ও খাওয়ার স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক বলেন, সদর হাসপাতালে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। আবার আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে অধিকাংশ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। রোটা ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। এটি শিশুর মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোজায় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার গ্রহণের ফলেও অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১ হাজারেও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে বেড না পেয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী; সংকটে কলেরা স্যালাইনের

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-

চুয়াডাঙ্গায় আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া পরিবর্তন ও রোটাভাইরাসজনিত কারণে আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু রোগী। অন্যদিকে রয়েছে কলেরা স্যালাইনের সংকট। ফার্মেসিগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী কলেরা স্যালাইন পাচ্ছে না।জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে দু শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। এদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। অপরদিকে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ আড়াইশ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরের আভা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মানিকুজ্জামান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় কলেরা স্যালাইনের চরম সংকট রয়েছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে স্যালাইন সরবরাহ পাচ্ছি না।
তবে সদর হাসপাতালের স্টোরকিপার হাদিউর রহমান হাদী জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও কলেরা স্যালাইন ও খাওয়ার স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক বলেন, সদর হাসপাতালে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। আবার আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে অধিকাংশ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। রোটা ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। এটি শিশুর মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোজায় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার গ্রহণের ফলেও অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১ হাজারেও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে বেড না পেয়ে।