চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী; সংকটে কলেরা স্যালাইনের
- আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গায় আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া পরিবর্তন ও রোটাভাইরাসজনিত কারণে আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু রোগী। অন্যদিকে রয়েছে কলেরা স্যালাইনের সংকট। ফার্মেসিগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী কলেরা স্যালাইন পাচ্ছে না।জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে দু শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। এদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। অপরদিকে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ আড়াইশ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরের আভা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মানিকুজ্জামান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় কলেরা স্যালাইনের চরম সংকট রয়েছে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে স্যালাইন সরবরাহ পাচ্ছি না।
তবে সদর হাসপাতালের স্টোরকিপার হাদিউর রহমান হাদী জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও কলেরা স্যালাইন ও খাওয়ার স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক বলেন, সদর হাসপাতালে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। আবার আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে অধিকাংশ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। রোটা ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। এটি শিশুর মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোজায় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার গ্রহণের ফলেও অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১ হাজারেও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে বেড না পেয়ে।