ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যশোরে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নারীর আঙুল কামড়ে ছিঁড়ে ফেললেন যুবক, অবশেষে ধরা রাজাপুরে এনসিপির উঠান বৈঠক মঠবাড়ীয়া উপজেলার বিএনপিতে ফ্যাসিষ্ট দোসরদের পদ পদবী পাওয়ার কারনে ঝুকি পূর্ন সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ লা সেপ্টেম্বর খুলছে প্রবেশের দ্বার রাণীশংকৈলে আদালতে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনাব তারেক রহমান ঠাকুরগায়ে গন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার দীর্ঘ ২৩ বছর পরে আজিজ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল কমপ্লিট শাটডাউনে পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাস একটি সুন্দর পরিবেশ বান্ধব উন্নত ও সমৃদ্ধ রূপগঞ্জ গড়ার লক্ষ্যে, জনাব মোঃ দুলাল হোসেনের অঙ্গীকার

চট্টগ্রাম নগরীরতে ভারী বর্ষণে পানির তোড়ে ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ মাসুদ:

চট্টগ্রাম নগরীর কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ অবহেলার কারণেই ভারী বর্ষণে ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ। দুই নাম্বার গেইট থেকে অক্সিজেন সংযোগস্থলে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের কিছু পরে মেইন রোডে খালের উপরে ধসে পড়ল ব্রিজ বৃষ্টির পানির তোড়ে ধসে পড়ল ব্রিজ। ভারী বর্ষণে ভেঙে গেল ব্রিজ। যান চলাচল বন্ধ।

৭জুলাই,(বৃহস্পতিবার) অক্সিজেন এলাকায় শীতল ঝর্ণা খালের ওপর থাকা সেতুটি ধসে পড়ে। ধসে পড়ার আগে ভোর থেকে সামান্য একটু গর্ত হয় পরে টানা ভারি বর্ষণে খালের স্রোতে বৃষ্টির মধ্যে ধসে পড়ে। দুই নম্বর গেইট থেকে অক্সিজেনমুখী বায়েজিদ বোস্তামি স্টার শিব সংলগ্ন রোডে সড়ক ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়।

প্রথমে স্থানীয় লোকজন সামান্য ফাটল গর্ত দেখে বন্ধ করে দেয়। ফলে সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলছে। উভয়মুখী গাড়ি একই লেন দিয়ে চলাচল করায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

এদিন সকাল ৬টার দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে। শীতল ঝর্ণা খাল দিয়ে তখন তীব্র স্রোতে পানি নামছিল। পানির তোড়ে সেতুটি ভেঙে যায়।

চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা, অক্সিজেন মোড় হয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িমুখী যানবাহন চলে বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক দিয়ে। সড়কটির দুই পাশে বেশ কিছু শিল্প কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী বলেন, “এটি বহু বছরের পুরনো ইটের তৈরি সেতু। ১৯৮০ সালের দিকে করা হয়েছিল। পানির চাপে সেতুটি ভেঙে গেছে। এখন রাস্তার ওই অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “এটা ২০ ফুটের একটি ব্রিজ। এটা করতে হবে ৬০ ফুট। কিন্তু যে বাজেট দরকার, তা আমাদের নেই। এখানে প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ হবে। এখন নিজস্ব তহবিল থেকে করতে হবে।”

তিনি বলেন, চলমান জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে শীতল ঝর্ণা খাল খনন করা হয়েছে। তাতে জলাবদ্ধতা কমেছে। কিন্তু নিচ থেকে মাটি ওঠানোর কারণে ব্রিজের নিচের মাটি সরে গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর থেকে টানা বর্ষণে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, চান্দগাঁও আবাসিক, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক, নন্দীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

চট্টগ্রাম নগরীরতে ভারী বর্ষণে পানির তোড়ে ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

মোহাম্মদ মাসুদ:

চট্টগ্রাম নগরীর কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ অবহেলার কারণেই ভারী বর্ষণে ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ। দুই নাম্বার গেইট থেকে অক্সিজেন সংযোগস্থলে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের কিছু পরে মেইন রোডে খালের উপরে ধসে পড়ল ব্রিজ বৃষ্টির পানির তোড়ে ধসে পড়ল ব্রিজ। ভারী বর্ষণে ভেঙে গেল ব্রিজ। যান চলাচল বন্ধ।

৭জুলাই,(বৃহস্পতিবার) অক্সিজেন এলাকায় শীতল ঝর্ণা খালের ওপর থাকা সেতুটি ধসে পড়ে। ধসে পড়ার আগে ভোর থেকে সামান্য একটু গর্ত হয় পরে টানা ভারি বর্ষণে খালের স্রোতে বৃষ্টির মধ্যে ধসে পড়ে। দুই নম্বর গেইট থেকে অক্সিজেনমুখী বায়েজিদ বোস্তামি স্টার শিব সংলগ্ন রোডে সড়ক ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়।

প্রথমে স্থানীয় লোকজন সামান্য ফাটল গর্ত দেখে বন্ধ করে দেয়। ফলে সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলছে। উভয়মুখী গাড়ি একই লেন দিয়ে চলাচল করায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

এদিন সকাল ৬টার দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে। শীতল ঝর্ণা খাল দিয়ে তখন তীব্র স্রোতে পানি নামছিল। পানির তোড়ে সেতুটি ভেঙে যায়।

চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা, অক্সিজেন মোড় হয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িমুখী যানবাহন চলে বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক দিয়ে। সড়কটির দুই পাশে বেশ কিছু শিল্প কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী বলেন, “এটি বহু বছরের পুরনো ইটের তৈরি সেতু। ১৯৮০ সালের দিকে করা হয়েছিল। পানির চাপে সেতুটি ভেঙে গেছে। এখন রাস্তার ওই অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “এটা ২০ ফুটের একটি ব্রিজ। এটা করতে হবে ৬০ ফুট। কিন্তু যে বাজেট দরকার, তা আমাদের নেই। এখানে প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ হবে। এখন নিজস্ব তহবিল থেকে করতে হবে।”

তিনি বলেন, চলমান জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে শীতল ঝর্ণা খাল খনন করা হয়েছে। তাতে জলাবদ্ধতা কমেছে। কিন্তু নিচ থেকে মাটি ওঠানোর কারণে ব্রিজের নিচের মাটি সরে গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর থেকে টানা বর্ষণে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, চান্দগাঁও আবাসিক, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক, নন্দীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।