ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা: যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল ০২ নং বন্দবিলা ইউনিয়নের ০৯ নং সাদীপুর ওয়ার্ড এর সাদীপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী জহুরপুর ইউনিয়নের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত শাল্লা উপজেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হরিপুরে ফাঁদ পদ্ধতিতে মাজরা পোকা দমন সাবেক এমপি রনজিত রায় ও স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ দৈনিক সকালে খোঁজ খবর পত্রিকার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন বাকৃবির অধ্যাপক আগৈলঝাড়ায় গৈলা বাজার বণিক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৫০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে মরদেহ ছিনিয়ে নেয়।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে ফুলছড়ি থানা ঘেরাও করেন নিহত নুরুন্নবীর স্বজন ও স্থানীয়রা। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের বাসিন্দা নুরুন্নবী মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোলজার মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে নুরুন্নবী মিয়া নামলে প্রতিপক্ষ গোলজার মিয়া ও তার লোকজন হামলা চালান। এতে নুরন্নবী মিয়াসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত নুরুন্নবী মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনরা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ফুলছড়ি থানায় গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্কবিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে মরদেহ কেড়ে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে। পরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাফিকুজ্জামান বসুনিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীরা মরদেহ নিয়ে থানায় এলে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাদের কাছ থেকে মরদেহ নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও

আপডেট সময় : ১০:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে মরদেহ ছিনিয়ে নেয়।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে ফুলছড়ি থানা ঘেরাও করেন নিহত নুরুন্নবীর স্বজন ও স্থানীয়রা। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের বাসিন্দা নুরুন্নবী মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোলজার মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে নুরুন্নবী মিয়া নামলে প্রতিপক্ষ গোলজার মিয়া ও তার লোকজন হামলা চালান। এতে নুরন্নবী মিয়াসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত নুরুন্নবী মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনরা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ফুলছড়ি থানায় গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্কবিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে মরদেহ কেড়ে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে। পরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাফিকুজ্জামান বসুনিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীরা মরদেহ নিয়ে থানায় এলে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাদের কাছ থেকে মরদেহ নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।