গাইবান্ধায় অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারীকে দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন।
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধায় অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারীকে দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন।
নিজেস্ব প্রতিনিধি।
গাইবান্ধার রঘুনাথপুর মোহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী মনিন্দ্র চন্দ্র সরকারকে দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন। ঘটনার নেপথ্য রহস্য কি? জনমনে প্রশ্ন।
জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার রঘুনাথপুর মোহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী
মনিন্দ্র চন্দ্র সরকার চাকুরি বিধি অনুযায়ী ২০১৮ সালে অবসর প্রাপ্ত হন। এ অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারীকে শিক্ষক দেখিয়ে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা হয়।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার (৩ মার্চ) অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী মনিন্দ্র চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অকপটে ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, আমি চাকুরি থেকে অবসর নিলেও দারিদ্রতার কষাঘাতে দিন চলছেনা। তাই এ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক একরামুল হক স্যারকে বলে কয়ে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছি। আজ বিশেষ কারণে কেন্দ্রে যায়নি।
এ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিচু মিয়া জানান, আমি বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ জন শিক্ষককে দায়িত্ব পালনের জন্য তালিকা দিয়েছি। অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী মনিন্দ্র চন্দ্র সরকারের দায়িত্ব পালন বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে কেন্দ্রে শিক্ষক পাঠানোর তালিকা দেখতে চাইলে জানান, তালিকাটি আমার বাসায় রয়েছে। পরে দেখানো যাবে।
মুঠো ফোনে কথা হলে সিনিয়র শিক্ষক একরামুল হক জানান, আমি তাকে পরীক্ষায় দায়িত্ব দেইনি। পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কি ভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনিই জানেন।
পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী জানান,সিনিয়র শিক্ষক একরামুল হক এর অনুরুধে মনিন্দ্র চন্দ্র সরকারকে মৌখিকভাবে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়েছি। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ছাড়া দায়িত্ব পালন করা যাবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।
বিষয়টি জানতে কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মাছুমুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সচেতন মহল বলছেন, এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে যেখানে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেখানে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ছাড়া কি ভাবে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দেয়া হয় বিষয়টি রহস্যজমক।
মুঠো ফোনে কথা হলে গাইবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আল হাসান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।