ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা: যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল ০২ নং বন্দবিলা ইউনিয়নের ০৯ নং সাদীপুর ওয়ার্ড এর সাদীপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী জহুরপুর ইউনিয়নের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত শাল্লা উপজেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হরিপুরে ফাঁদ পদ্ধতিতে মাজরা পোকা দমন সাবেক এমপি রনজিত রায় ও স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ দৈনিক সকালে খোঁজ খবর পত্রিকার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন বাকৃবির অধ্যাপক আগৈলঝাড়ায় গৈলা বাজার বণিক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

খুলনাতে ঘরবাড়ী থাকা সত্বেও থাকতে হচ্ছে বসবাস অযোগ্য ঘরে এবং সারাক্ষণ থাকছে নির্যাতনের ভয়ে

আছিবুর রহমান - দিঘলিয়া, খুলনা
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

স্বামী হারা বিধবা নিজ বাড়ীতেই অনিরাপদ সর্বদা থাকছেন নির্যাতনের ভয় নিয়ে।ভুক্তভোগী মহিলার নাম মুন্নী বেগম হলেন খুলনা জেলার দিঘলীয়া থানার হাজীগ্রামের মৃত ফিরোজ শেখের স্ত্রী।

বেশকিছুদিন পূর্বে স্ট্রোক করে মারা যান ফিরোজ শেখ। ফিরোজ শেখ পরিবারে ৮ ভাইবোনের ভেতর, ভাইদের সবার বড়।তিনি মারা যাওয়ার পর তার বিধবা স্ত্রী ১ মেয়ে ও ১০ বছরের এক ছেলে নিয়ে নিজ স্বামীর ভিটাতে দিনযাপন করতে থাকে কিন্তু শুরু হলো যেন নানা রকমের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।মৃত স্বামীর অন্য ভাই বোন থেকে প্রতিনিয়ত বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার চাপ না গেলে মেরে ফেলার হুমকি।সজীব ও তৈয়ব ফিরোজ শেখের অন্য দুই ভাই এবং তানিয়া ও নাসরিন তাদের স্ত্রী – তারা ভাই মারা যাওয়ার পর ঘর থেকে নামিয়ে বাড়ীর পেছনে একটা টিনের এক খোপ দেয় বিধবা মুন্নী ও তার ২ সন্তান নিয়ে থাকতে যেখানে বসবাস অযোগ্য।এই নির্যাতনের সাথে যোগ দেয় মৃত ফিরোজের ২ বোন সানজিদা ও আফরোজা।দিনের পর দিন চলে অমানুষিক নির্যাতন।

মারধর তো প্রতিনিয়ত থাকেই।২১/০১/২৪  তারিখে  ফিরোজের ভাই সজীব ভাইবৌ-তানিয়া বেগম এবং নাসরিন  এবং ফিরোজের বোন সানজিদা ও আফরোজা সবাই মিলে মুন্নী বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে সাথে সাথে তাকে খুলনা২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে কর্মরত পুলিশের কাছে উক্তঘটনার বিবরন দেবার পর একটা পুলিশ কেস হয়।এর আগে একবার তাকে মেরে বাম হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলো সে বার,মুন্নি বেগম এলাকার মেম্বারকে বললে সে কোন প্রকার সহযোগিতা করেনি বরং বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তির নিকট বিচারের জন্য গেলে কেউ কেউ বলে সন্ধ্যার পর আসতে আবার কেউ সরাসরি কুপ্রস্তাব দেয় এবং বিচার করে দেবে বলে।তিনি তাদের প্রস্তাবে রাজী বা হওয়ার কারনে সঠিক বিচার না পেয়ে পুলিশের নিকট যায় থানায় অভিযোগ দিতে।থানা থেকে এসেছে কিন্তু সেটাও বশীদিন টেকেনি আবার চলে নির্যাতন।তার নির্যাতনের গল্প শুনতে গেলে মনে হবে রুপকথার কোন কাল্পনিক গল্পশুনছি এত এত অভিযোগ। তিনি অসহায় হওয়ার কারনে নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়েও হেরে যাচ্ছেন।তার মেয়েকেও মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে একবার আর মেয়ের নিরাপত্তার ভেয়ে তিনি বাল্যবয়সেই মেয়েকে ১১ বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।ছেলে বর্তমানে মসজীদে থাকে এবং সেখানে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে এত অল্পবয়সেই।সর্বপরি তিনি কোন কুলকিনার না পেয়ে তিনি ভোরের বাংলা নিউজের নিকট সাহায্য ও সুবিচার প্রার্থনা করে। আইনের নিকট তার আকুল আবেদন তিনি যেন একটু নিরাপদে বসবাস করতে পারেন বাংলাদেশের আর ১০ জন নাগরিকের মত।

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র প্রতিনিধি তার ব্যাপারটি দেখবে এবং সুবিচার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে তাকে জানিয়েছেন।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র প্রতিনিধি বিষয়টা তার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছে এ ব্যপারে অসহায় মহিলাকে সহযোগীতা করার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

খুলনাতে ঘরবাড়ী থাকা সত্বেও থাকতে হচ্ছে বসবাস অযোগ্য ঘরে এবং সারাক্ষণ থাকছে নির্যাতনের ভয়ে

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্বামী হারা বিধবা নিজ বাড়ীতেই অনিরাপদ সর্বদা থাকছেন নির্যাতনের ভয় নিয়ে।ভুক্তভোগী মহিলার নাম মুন্নী বেগম হলেন খুলনা জেলার দিঘলীয়া থানার হাজীগ্রামের মৃত ফিরোজ শেখের স্ত্রী।

বেশকিছুদিন পূর্বে স্ট্রোক করে মারা যান ফিরোজ শেখ। ফিরোজ শেখ পরিবারে ৮ ভাইবোনের ভেতর, ভাইদের সবার বড়।তিনি মারা যাওয়ার পর তার বিধবা স্ত্রী ১ মেয়ে ও ১০ বছরের এক ছেলে নিয়ে নিজ স্বামীর ভিটাতে দিনযাপন করতে থাকে কিন্তু শুরু হলো যেন নানা রকমের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।মৃত স্বামীর অন্য ভাই বোন থেকে প্রতিনিয়ত বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার চাপ না গেলে মেরে ফেলার হুমকি।সজীব ও তৈয়ব ফিরোজ শেখের অন্য দুই ভাই এবং তানিয়া ও নাসরিন তাদের স্ত্রী – তারা ভাই মারা যাওয়ার পর ঘর থেকে নামিয়ে বাড়ীর পেছনে একটা টিনের এক খোপ দেয় বিধবা মুন্নী ও তার ২ সন্তান নিয়ে থাকতে যেখানে বসবাস অযোগ্য।এই নির্যাতনের সাথে যোগ দেয় মৃত ফিরোজের ২ বোন সানজিদা ও আফরোজা।দিনের পর দিন চলে অমানুষিক নির্যাতন।

মারধর তো প্রতিনিয়ত থাকেই।২১/০১/২৪  তারিখে  ফিরোজের ভাই সজীব ভাইবৌ-তানিয়া বেগম এবং নাসরিন  এবং ফিরোজের বোন সানজিদা ও আফরোজা সবাই মিলে মুন্নী বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে সাথে সাথে তাকে খুলনা২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে কর্মরত পুলিশের কাছে উক্তঘটনার বিবরন দেবার পর একটা পুলিশ কেস হয়।এর আগে একবার তাকে মেরে বাম হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলো সে বার,মুন্নি বেগম এলাকার মেম্বারকে বললে সে কোন প্রকার সহযোগিতা করেনি বরং বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তির নিকট বিচারের জন্য গেলে কেউ কেউ বলে সন্ধ্যার পর আসতে আবার কেউ সরাসরি কুপ্রস্তাব দেয় এবং বিচার করে দেবে বলে।তিনি তাদের প্রস্তাবে রাজী বা হওয়ার কারনে সঠিক বিচার না পেয়ে পুলিশের নিকট যায় থানায় অভিযোগ দিতে।থানা থেকে এসেছে কিন্তু সেটাও বশীদিন টেকেনি আবার চলে নির্যাতন।তার নির্যাতনের গল্প শুনতে গেলে মনে হবে রুপকথার কোন কাল্পনিক গল্পশুনছি এত এত অভিযোগ। তিনি অসহায় হওয়ার কারনে নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়েও হেরে যাচ্ছেন।তার মেয়েকেও মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে একবার আর মেয়ের নিরাপত্তার ভেয়ে তিনি বাল্যবয়সেই মেয়েকে ১১ বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।ছেলে বর্তমানে মসজীদে থাকে এবং সেখানে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে এত অল্পবয়সেই।সর্বপরি তিনি কোন কুলকিনার না পেয়ে তিনি ভোরের বাংলা নিউজের নিকট সাহায্য ও সুবিচার প্রার্থনা করে। আইনের নিকট তার আকুল আবেদন তিনি যেন একটু নিরাপদে বসবাস করতে পারেন বাংলাদেশের আর ১০ জন নাগরিকের মত।

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র প্রতিনিধি তার ব্যাপারটি দেখবে এবং সুবিচার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে তাকে জানিয়েছেন।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র প্রতিনিধি বিষয়টা তার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছে এ ব্যপারে অসহায় মহিলাকে সহযোগীতা করার জন্য।