খুবির তিন শিক্ষার্থীকে মারধর ও হত্যার হুমকি প্রতিবাদে জিরো পয়েন্ট মোড় অবরোধ
- আপডেট সময় : ০২:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে খুলনা নগরীর জিরো পয়েন্ট মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা জিরো পয়েন্ট মোড়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। উক্ত ঘটনার সাথে দুইজনকে আটক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করার আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা থেকে খুলনা আসার পথে বাংলা ডিসিপ্লিনে মাস্টার্স এক শিক্ষার্থীর সাথে বাসের হেলপার অশোভন আচরণ,গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে। ভুক্তভুগী আতংকিত হয়ে বিষয়টা সমাধানের জন্য কল দিয়ে তার দুজন জুনিয়র ডাকেন, তারা সেখানে পৌঁছালে তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। তারপর তাদের একজনকে কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে বাসের মধ্যে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । এক পর্যায়ে বাসের হেলপার সহ তাদের আরো পাঁচ- ছয় জন সহযোগী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে। তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে , এবং ইটের আঘাতে একজন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস যেন আর কখন না করে। দুই একদিন পর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন লাঞ্ছনা শিকার এটা খুবই দুঃখজনক। পরবর্তীতে এমন কোন ঘটনা ঘটলে শান্ত ক্যাম্পাস বলে খেতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত হয়ে উঠবে এবং পুরো খুলনা অবরোধ হয়ে যাবে।
শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সেক্রেটারি বিপ্লব বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি এমন অপ্রতিকর ঘটনা আর ঘটবে না। যারা বা যে এ কাজ গুলো করার সাহস দেখায় তাদের আমরা কড়া হাতে প্রতিহত করবো।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ খুবই দুঃখ জনক। যারা এ কাজ গুলো করেছে তাদের সবাইকে বরখাস্ত করা হবে।
সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক রাজু রায় বলেন, আমাদের তিন জন শিক্ষার্থীকে মারধর করলে তারা তাদের দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ ভাবে রাস্তা অবরোধ করে। প্রশাসনের সহোযোগিতায় এবং আমাদের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে। তিনি আরও জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে।
সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: আবু নাসের আল-আমিন জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনা স্থানে চলে আসে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ যুক্তিসঙ্গত। বাস সহ বাস চালক ও তার সহযোগীকে আমরা ধরে থানায় নিয়ে এসেছি।পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাথে সমঝোতা করেছে এবং কেএমপি ক্ষমতা বলে তাদের দুইদিন দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।