ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা: যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল ০২ নং বন্দবিলা ইউনিয়নের ০৯ নং সাদীপুর ওয়ার্ড এর সাদীপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী জহুরপুর ইউনিয়নের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত শাল্লা উপজেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হরিপুরে ফাঁদ পদ্ধতিতে মাজরা পোকা দমন সাবেক এমপি রনজিত রায় ও স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ দৈনিক সকালে খোঁজ খবর পত্রিকার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন বাকৃবির অধ্যাপক আগৈলঝাড়ায় গৈলা বাজার বণিক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

খলিফা হারুন আল-রশিদের জীবন কাহিনী, কতটা সত্য- কতটা গল্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

(বিবিসি রেডিও থ্রি এর বিশেষ ধারাবাহিক ‘দ্য গোল্ডেন এইজ অব ইসলাম’ এর একটি পর্বে অধ্যাপক জুলিয়া ব্রে খলিফা হারুন আল-রশিদ এবং সেই সময়ের বাগদাদের চিত্র বর্ণনা করেছেন। খলিফা হারুনকে মুসলিম বিশ্বের একজন মহান শাসক হিসেবে বর্ণনা করা হলেও তার দুর্বল কৌশলের কারণে অনেক রক্তপাত ও বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়েছিল। এই প্রতিবেদনে সেটাই তুলে ধরা হলো।)

খলিফা হারুন আল-রশিদ সম্পর্কে সবাই জানে। বিখ্যাত আরব্য রজনীর কল্পকাহিনী আলিফ লায়লার একটি চরিত্র খলিফা হারুন আল-রশিদ। লেখক টেনিসনের মহান হৃদয়ের অধিকারী হারুন আল-রশিদ। কিন্তু আমরা আসলে তার সম্পর্কে কতটা জানি?

আমরা জানি যে তার ক্ষমতায় থাকার সময়কাল ছিল খিলাফত শাসনামলের স্বর্ণযুগ।

হারুন আল-রশিদের সাম্রাজ্য মধ্য এশিয়া থেকে লিবিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। টেনিসন তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, এটা ছিল আদর্শ কাল ও আদর্শ স্থান, কারণ এটা ছিল মহান শাসক হারুন আল-রশিদের শাসনামল।

কিন্তু ওই সময়টা আসলেই কতটা আদর্শ ছিল? এই সময়টাকে ‘স্বর্ণযুগ’ বলা শুরু হয় আরও অনেক পরে এসে।

খিলাফতের বিক্ষিপ্ত মোট ৬০০ বছরের শাসনের ইসিহাসকে একক ভাবে এক বিন্দুতে প্রকাশ করার চেষ্টা থেকেই মূলত এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

খিলাফতের এই ৬০০ বছরের মধ্যে খলিফা হারুন আল-রশিদের শাসনকাল ছিল মাত্র ২০ বছরের কিছু বেশি। যা ছিল ৭৮৬ সাল থেকে ৮০৯ সাল পর্যন্ত।

অনেক মানুষই বিশ্বাস করেন যে, শিল্প, বিজ্ঞান এবং সাহিত্যের অনেক সেরা কাজ হারুন আল-রশিদের শাসনামলেই এসেছে।

তাদের মতে, হারুন আল-রশিদ এবং বাগদাদ- এই নাম দুটো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

বাগদাদ ছিল একটি শক্তিশালী রাজ্য, ঠিক যেমনটা আলিফ লায়লায় বর্ণনা করা হয়েছে।

কিন্তু হারুন আল-রশিদ কেমন ছিলেন? আমরা তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতে পারি না, কারণ হারুন আল-রশিদ যে বাগদাদকে শাসন করতেন তার কিছুই আর এখন অবশিষ্ট নেই।

কিন্তু আমরা জানি যে, তার শাসনামলের শেষ দশ বছরে তার প্রিয় শহর ছিল সিরিয়ার শহর রাক্কা। এটি বাগদাদ থেকে উত্তর দিকে এবং খিলাফত সাম্রাজ্য ও বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের সীমান্তের কাছে অবস্থিত ছিল।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা রাক্কায় শুধু প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষই খুঁজে পাননি, বরং সেখানে তারা কারখানারও সন্ধান পেয়েছেন। অষ্টম শতকে কারখানা থাকার বিষয়টি নিঃসন্দেহে আগ্রহ উদ্দীপক। কিন্তু এই অঞ্চলে শিল্প গড়ে উঠার পেছনে হারুন আল-রশিদের কতটা হাত ছিল তা জানা যায় না।

বাস্তবতা হচ্ছে, গল্প থেকে আমরা হারুন আল-রশিদ সম্পর্কে যা জেনেছি এবং মধ্যযুগীয় ইতিহাসগ্রন্থ ও আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদরা যা আবিষ্কার করেছেন তার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। বরং এসব থেকে তার সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

খলিফা হারুন আল-রশিদের জীবন কাহিনী, কতটা সত্য- কতটা গল্প

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

(বিবিসি রেডিও থ্রি এর বিশেষ ধারাবাহিক ‘দ্য গোল্ডেন এইজ অব ইসলাম’ এর একটি পর্বে অধ্যাপক জুলিয়া ব্রে খলিফা হারুন আল-রশিদ এবং সেই সময়ের বাগদাদের চিত্র বর্ণনা করেছেন। খলিফা হারুনকে মুসলিম বিশ্বের একজন মহান শাসক হিসেবে বর্ণনা করা হলেও তার দুর্বল কৌশলের কারণে অনেক রক্তপাত ও বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়েছিল। এই প্রতিবেদনে সেটাই তুলে ধরা হলো।)

খলিফা হারুন আল-রশিদ সম্পর্কে সবাই জানে। বিখ্যাত আরব্য রজনীর কল্পকাহিনী আলিফ লায়লার একটি চরিত্র খলিফা হারুন আল-রশিদ। লেখক টেনিসনের মহান হৃদয়ের অধিকারী হারুন আল-রশিদ। কিন্তু আমরা আসলে তার সম্পর্কে কতটা জানি?

আমরা জানি যে তার ক্ষমতায় থাকার সময়কাল ছিল খিলাফত শাসনামলের স্বর্ণযুগ।

হারুন আল-রশিদের সাম্রাজ্য মধ্য এশিয়া থেকে লিবিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। টেনিসন তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, এটা ছিল আদর্শ কাল ও আদর্শ স্থান, কারণ এটা ছিল মহান শাসক হারুন আল-রশিদের শাসনামল।

কিন্তু ওই সময়টা আসলেই কতটা আদর্শ ছিল? এই সময়টাকে ‘স্বর্ণযুগ’ বলা শুরু হয় আরও অনেক পরে এসে।

খিলাফতের বিক্ষিপ্ত মোট ৬০০ বছরের শাসনের ইসিহাসকে একক ভাবে এক বিন্দুতে প্রকাশ করার চেষ্টা থেকেই মূলত এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

খিলাফতের এই ৬০০ বছরের মধ্যে খলিফা হারুন আল-রশিদের শাসনকাল ছিল মাত্র ২০ বছরের কিছু বেশি। যা ছিল ৭৮৬ সাল থেকে ৮০৯ সাল পর্যন্ত।

অনেক মানুষই বিশ্বাস করেন যে, শিল্প, বিজ্ঞান এবং সাহিত্যের অনেক সেরা কাজ হারুন আল-রশিদের শাসনামলেই এসেছে।

তাদের মতে, হারুন আল-রশিদ এবং বাগদাদ- এই নাম দুটো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

বাগদাদ ছিল একটি শক্তিশালী রাজ্য, ঠিক যেমনটা আলিফ লায়লায় বর্ণনা করা হয়েছে।

কিন্তু হারুন আল-রশিদ কেমন ছিলেন? আমরা তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতে পারি না, কারণ হারুন আল-রশিদ যে বাগদাদকে শাসন করতেন তার কিছুই আর এখন অবশিষ্ট নেই।

কিন্তু আমরা জানি যে, তার শাসনামলের শেষ দশ বছরে তার প্রিয় শহর ছিল সিরিয়ার শহর রাক্কা। এটি বাগদাদ থেকে উত্তর দিকে এবং খিলাফত সাম্রাজ্য ও বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের সীমান্তের কাছে অবস্থিত ছিল।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা রাক্কায় শুধু প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষই খুঁজে পাননি, বরং সেখানে তারা কারখানারও সন্ধান পেয়েছেন। অষ্টম শতকে কারখানা থাকার বিষয়টি নিঃসন্দেহে আগ্রহ উদ্দীপক। কিন্তু এই অঞ্চলে শিল্প গড়ে উঠার পেছনে হারুন আল-রশিদের কতটা হাত ছিল তা জানা যায় না।

বাস্তবতা হচ্ছে, গল্প থেকে আমরা হারুন আল-রশিদ সম্পর্কে যা জেনেছি এবং মধ্যযুগীয় ইতিহাসগ্রন্থ ও আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদরা যা আবিষ্কার করেছেন তার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। বরং এসব থেকে তার সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাচ্ছে।