ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত রূপগঞ্জে অপহরণের ৭ ঘণ্টার মধ্যে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার, এক অপহরণকারী গ্রেপ্তার কুতুবদিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে ৬৩ বছর পরে এগিয়ে এলো পবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিল শাল্লায় বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা বিএনপির ৪৭ বছরের গৌরবগাথা স্মরণে দুমকীতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন জীবননগরে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিলসহ দুজন গ্রেপ্তার সখিপুর ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা, ও ইটের সলিংয়সহ কাজ শতভাগ সম্পন্ন আগৈলঝাড়ায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা ফেনী প্রবাসী ফোরামের নব গঠিত কমিটির অভিষেক ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

কৃত্রিম হাত তৈরি করলো বরিশালের ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪ ১৫২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সোহেল রানা
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি:-

চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাফল্য অর্জনে রোবটিক আর্ম বা মানব দেহে সংযোজনের জন্য কৃত্রিম হাত তৈরি করে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে আগৈলঝাড়ার ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল। প্রীতম পাল জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলা ও ৮ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-এ প্রথম স্থান দখলে রেখেছে। এর আগে প্রীতম পাল উপজেলা পর্যায়ের ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলায়ও দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল।বরিশাল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৫ মে অশ্বিনী কুমার টাইন হলে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এর হাত থেকে প্রথমস্থানের পুরস্কার গ্রহণ করে প্রীতম পাল।বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল বরিশাল অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। প্রীতম আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের শিহিপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও রাজিহার ইউপি সচিব গৌতম পাল ও গৃহীনি কাজলী পাল এর বড় সন্তান। প্রীতম গৈলা মডেল সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী।চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বরিশাল সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলায় রোবটিক আর্ম বা মানব দেহের জন্য কৃত্রিম হাত তৈরি করে তা প্রদর্শন করে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে প্রীতম। প্রীতমের এই সাফল্যের জন্য বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথীকা সরকার এর স্বাক্ষরিত সনদপত্র তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন অতিথিরা।ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম বলেন, একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে একটি ভিডিও ক্লিপে দেখতে পায় যে, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধে একটি হাত হারিয়েছেন একজন সৈনিক। ওই সৈনিক একদিন ফিরলেন নিজের স্বজনদের কাছে বাড়িতে। বাড়ি ফেরার আগে অপেক্ষায় স্ত্রী ও শিশু সন্তানেরা। দীর্ঘ দিন পরে বাবা বাড়ি আসছে তাই অধীর আগ্রহে তার অপেক্ষা করে পথ চেয়ে বসে আছে সন্তানেরা। কলিং বেল চাপতেই সন্তানেরা দরজা খুলে দিল। বাবা দাড়িয়ে রয়েছেন দরজার সামনে। সন্তানেরা অপেক্ষ করছে বাবা তাদের জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নিয়ে আদর করবে। আবার সন্তানদের ভাবনা এলো বাবা ফুল দিয়ে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে একটি হাত হয়তো তার পিছনে রেখেছে সাপ্ররাইজ দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটলো না।কিন্তু হতভাগ্য বাবা এর কোনটাই যখন করলেন না; তখন সন্তানেরা দেখতে পেল যে তাদের বাবার একটি হাতই নেই। কাটা গেছে। হৃদয় বিদারক দৃশ্যর এমন একটি ভিডিও চিত্র দেখে এমন হতভাগ্য বাবাদের কৃত্রিম হাত তৈরির স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তাদের জন্য কিছু করার। স্বপ্ন দেখা থেকে মানব কল্যাণে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে একাগ্র চিত্তে মনোযোগী হলো ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল। অধ্যাবসায়রে কারণে প্রীতমের সেই স্বপ্ন বাস্তবে ডানা মেলেছে।প্রীতম আরও জানায়, হোস্টেলে থেকে তার বাবার কাছ থেকে আনা পড়া লেখার খরচ থেকে কিছু অর্থর সঞ্চয় করে প্রথমে এই উদ্ভাবনী কাজে মনোযোগ দেয় সে। পর্যায়ক্রমে উদ্ভাবনী বিষয়টি তার সহপাঠী ও বাবাও জানতে পারে। বাবা তাকে উৎসাহিত করায় মাঝেমধ্যে বাবার কাছ থেকেও চেয়ে নিত অর্থ। নিজের সঞ্চয় ও পরিবারের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় শুরু করে এই রোবটিক আর্ম এর পিছনে। নিরলস পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের কারণে প্রীতমের দেখা স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয় তার মানব কল্যাণের উদ্ভাবনীতে।
শিক্ষার্থী প্রীতম আরো বলেন, বিভিন্ন দূর্ঘটনায় সারাদেশসহ সারা বিশ্বে অনেক লোকদের তাদের হাত হারাতে হয়। বেঁচে থাকার জন্য বাকী জীবন তারা কর্মহীন হয়ে পরে। গলগ্রহ হতে হয় অন্যর উপর। এমন মানুষের জন্যই তার আবিস্কৃত রোবটিক আর্ম বা কৃত্তিম হাত মানবদেহে সংযোজন করা যেতে পারে। মানবদেহে এই কৃত্তিম হাত সংযোজন করলে যেখানে মানুষের হাত পৌঁছানো সম্ভব নয় এমন ভারী যান্ত্রিক স্থানেও এই কৃত্তিম হাত অনায়াসে কাজ করতে পারবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই হাত দুই থেকে ছয় কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে সক্ষম। হেভিওয়েট হাত হিসেবে এর স্থায়ীত্বও অনেক বেশি।দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরা বিদেশ থেকে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে কৃত্তিম হাত আমদানী করে তার সংযোজন করে আসছেন। তবে ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতমের উদ্ভাবিত কৃত্তিম হাত তৈরীতে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়ন তথা মানব দেহে কৃত্তিম হাত সংযোজনের মাধ্যমে একজন মানুষকে স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার জন্য কৃত্তিম হাত বা রোবটিক আর্ম এর যুযোপযোগী উন্নয়ন ও সাশ্রয়ী মূল্যৈ বাজারজাত করতে সরকারী ও বেসরকারী পৃষ্টপোষকতার জন্য তাঁর উদ্ভাবন নিয়ে আরও কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম।প্রীতমের বাবা ইউপি সচিব গৌতম পাল জানান, তার ছেলের উদ্ভাবন নিয়ে তিনি আনন্দিত। মানব কল্যানে কাজ করায় ছেলের আর্থিক চাহিদা পুরণ করে আসছেন তিনি। পৃষ্টপোষকতার মাধ্যমে স্কলারশীপ নিয়ে পড়াশুনা আগ্রহর পাশাপাশি প্রীতম তার উদ্ভাবনীতে আরও সাফল্য পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলের সহযোগীতা প্রার্থনা করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কৃত্রিম হাত তৈরি করলো বরিশালের ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম

আপডেট সময় : ১০:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

মোঃ সোহেল রানা
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি:-

চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাফল্য অর্জনে রোবটিক আর্ম বা মানব দেহে সংযোজনের জন্য কৃত্রিম হাত তৈরি করে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে আগৈলঝাড়ার ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল। প্রীতম পাল জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলা ও ৮ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-এ প্রথম স্থান দখলে রেখেছে। এর আগে প্রীতম পাল উপজেলা পর্যায়ের ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলায়ও দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল।বরিশাল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৫ মে অশ্বিনী কুমার টাইন হলে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এর হাত থেকে প্রথমস্থানের পুরস্কার গ্রহণ করে প্রীতম পাল।বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল বরিশাল অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। প্রীতম আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের শিহিপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও রাজিহার ইউপি সচিব গৌতম পাল ও গৃহীনি কাজলী পাল এর বড় সন্তান। প্রীতম গৈলা মডেল সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী।চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বরিশাল সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ বিজ্ঞান মেলায় রোবটিক আর্ম বা মানব দেহের জন্য কৃত্রিম হাত তৈরি করে তা প্রদর্শন করে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে প্রীতম। প্রীতমের এই সাফল্যের জন্য বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথীকা সরকার এর স্বাক্ষরিত সনদপত্র তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন অতিথিরা।ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম বলেন, একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে একটি ভিডিও ক্লিপে দেখতে পায় যে, রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধে একটি হাত হারিয়েছেন একজন সৈনিক। ওই সৈনিক একদিন ফিরলেন নিজের স্বজনদের কাছে বাড়িতে। বাড়ি ফেরার আগে অপেক্ষায় স্ত্রী ও শিশু সন্তানেরা। দীর্ঘ দিন পরে বাবা বাড়ি আসছে তাই অধীর আগ্রহে তার অপেক্ষা করে পথ চেয়ে বসে আছে সন্তানেরা। কলিং বেল চাপতেই সন্তানেরা দরজা খুলে দিল। বাবা দাড়িয়ে রয়েছেন দরজার সামনে। সন্তানেরা অপেক্ষ করছে বাবা তাদের জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নিয়ে আদর করবে। আবার সন্তানদের ভাবনা এলো বাবা ফুল দিয়ে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে একটি হাত হয়তো তার পিছনে রেখেছে সাপ্ররাইজ দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটলো না।কিন্তু হতভাগ্য বাবা এর কোনটাই যখন করলেন না; তখন সন্তানেরা দেখতে পেল যে তাদের বাবার একটি হাতই নেই। কাটা গেছে। হৃদয় বিদারক দৃশ্যর এমন একটি ভিডিও চিত্র দেখে এমন হতভাগ্য বাবাদের কৃত্রিম হাত তৈরির স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তাদের জন্য কিছু করার। স্বপ্ন দেখা থেকে মানব কল্যাণে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে একাগ্র চিত্তে মনোযোগী হলো ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল। অধ্যাবসায়রে কারণে প্রীতমের সেই স্বপ্ন বাস্তবে ডানা মেলেছে।প্রীতম আরও জানায়, হোস্টেলে থেকে তার বাবার কাছ থেকে আনা পড়া লেখার খরচ থেকে কিছু অর্থর সঞ্চয় করে প্রথমে এই উদ্ভাবনী কাজে মনোযোগ দেয় সে। পর্যায়ক্রমে উদ্ভাবনী বিষয়টি তার সহপাঠী ও বাবাও জানতে পারে। বাবা তাকে উৎসাহিত করায় মাঝেমধ্যে বাবার কাছ থেকেও চেয়ে নিত অর্থ। নিজের সঞ্চয় ও পরিবারের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় শুরু করে এই রোবটিক আর্ম এর পিছনে। নিরলস পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ের কারণে প্রীতমের দেখা স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয় তার মানব কল্যাণের উদ্ভাবনীতে।
শিক্ষার্থী প্রীতম আরো বলেন, বিভিন্ন দূর্ঘটনায় সারাদেশসহ সারা বিশ্বে অনেক লোকদের তাদের হাত হারাতে হয়। বেঁচে থাকার জন্য বাকী জীবন তারা কর্মহীন হয়ে পরে। গলগ্রহ হতে হয় অন্যর উপর। এমন মানুষের জন্যই তার আবিস্কৃত রোবটিক আর্ম বা কৃত্তিম হাত মানবদেহে সংযোজন করা যেতে পারে। মানবদেহে এই কৃত্তিম হাত সংযোজন করলে যেখানে মানুষের হাত পৌঁছানো সম্ভব নয় এমন ভারী যান্ত্রিক স্থানেও এই কৃত্তিম হাত অনায়াসে কাজ করতে পারবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই হাত দুই থেকে ছয় কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে সক্ষম। হেভিওয়েট হাত হিসেবে এর স্থায়ীত্বও অনেক বেশি।দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরা বিদেশ থেকে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ করে কৃত্তিম হাত আমদানী করে তার সংযোজন করে আসছেন। তবে ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতমের উদ্ভাবিত কৃত্তিম হাত তৈরীতে খরচ হয়েছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়ন তথা মানব দেহে কৃত্তিম হাত সংযোজনের মাধ্যমে একজন মানুষকে স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার জন্য কৃত্তিম হাত বা রোবটিক আর্ম এর যুযোপযোগী উন্নয়ন ও সাশ্রয়ী মূল্যৈ বাজারজাত করতে সরকারী ও বেসরকারী পৃষ্টপোষকতার জন্য তাঁর উদ্ভাবন নিয়ে আরও কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম।প্রীতমের বাবা ইউপি সচিব গৌতম পাল জানান, তার ছেলের উদ্ভাবন নিয়ে তিনি আনন্দিত। মানব কল্যানে কাজ করায় ছেলের আর্থিক চাহিদা পুরণ করে আসছেন তিনি। পৃষ্টপোষকতার মাধ্যমে স্কলারশীপ নিয়ে পড়াশুনা আগ্রহর পাশাপাশি প্রীতম তার উদ্ভাবনীতে আরও সাফল্য পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলের সহযোগীতা প্রার্থনা করেন তিনি।