ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালের উজিরপুরে”মাদক থেকে দূরে রাখতে বিএনপি নেতাদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ সাপে কেটেছিল, বাঁচানো যেত—এন্টিভেনোম না থাকায় মৃত্যু রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশের মাঝে সাইকেল বিতরণ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন টরন্টোতে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল মোঃ ফারুক হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা ঝিনাইদহে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) পথস/ভা অ’নু’ষ্ঠি’ত শাল্লায় মেডিকেলের ছাড়পত্র জাল তৈরীর অপরাধে মামলার বাদী কারাগারে বাকৃবিতে রোভারদের পিআরএস কর্মশালা ও সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড আগৈলঝাড়ায় কোটি টাকা ব্যয়ের নির্মাণ সড়ক এখন মানুষের জনদুর্ভোগ প্রেরণার উদ্যোগে স্যানিটারী ন্যাপকিন তৈরীর উপকরণ সামগ্রী বিতরণ

কুলটিয়ায় তিন ফসলি জমিতে অবৈধ ঘের খনন, অভিযান চালালেন ইউএনও নিশাত তামান্না

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ঘের খননের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না। শনিবার (১৪ জুন ২০২৫) সকাল বেলা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এই অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের একটি এলাকায় ফসলি জমিতে অনুমোদনহীনভাবে ঘের খননের কাজ চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও নিশাত তামান্না তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করলে ঘের খননকারীরা এস্কেভেটর ও মাটি বহনকারী যানবাহন ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ইউএনও নিশাত তামান্না বলেন, ফসলি জমি ধ্বংস করে ঘের খননের কোনো সুযোগ নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং নিয়মিত মামলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এ ধরনের বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একজন কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এইভাবে যদি ঘের খনন চলতে থাকে, তাহলে একদিন কৃষকদের চাষ করার মতো জমি থাকবে না। মনিরামপুরে এমনিতেই অনেক জায়গায় এক ফসলও উঠছে না। বছরের পর বছর পানির নিচে ডুবে থাকে জমি। একসময় যেখানে তিন ফসল হত, এখন সেখানে একটিও ফসল ফলছে না।

উল্লেখ্য, কুলটিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিল বিলবোকড়—যেখানে একসময় সেচের জন্য পানির সংকট থাকত, আজ তা সারা বছরই পানিতে তলিয়ে থাকে। ফলে ওই এলাকার কৃষকেরা তাদের জমিতে চাষ করতে পারছেন না। এই ধরনের অনিয়ন্ত্রিত ঘের খনন কৃষি জমির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে ইউএনও নিশাত তামান্নার এই সাহসী ও সময়োপযোগী অভিযানের ফলে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সচেতন মহল তাঁর এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও এরকম অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কুলটিয়ায় তিন ফসলি জমিতে অবৈধ ঘের খনন, অভিযান চালালেন ইউএনও নিশাত তামান্না

আপডেট সময় : ০৮:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

এমদাদুল হক ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুর

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নে তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ঘের খননের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না। শনিবার (১৪ জুন ২০২৫) সকাল বেলা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এই অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের একটি এলাকায় ফসলি জমিতে অনুমোদনহীনভাবে ঘের খননের কাজ চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও নিশাত তামান্না তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করলে ঘের খননকারীরা এস্কেভেটর ও মাটি বহনকারী যানবাহন ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ইউএনও নিশাত তামান্না বলেন, ফসলি জমি ধ্বংস করে ঘের খননের কোনো সুযোগ নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং নিয়মিত মামলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা এ ধরনের বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একজন কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এইভাবে যদি ঘের খনন চলতে থাকে, তাহলে একদিন কৃষকদের চাষ করার মতো জমি থাকবে না। মনিরামপুরে এমনিতেই অনেক জায়গায় এক ফসলও উঠছে না। বছরের পর বছর পানির নিচে ডুবে থাকে জমি। একসময় যেখানে তিন ফসল হত, এখন সেখানে একটিও ফসল ফলছে না।

উল্লেখ্য, কুলটিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিল বিলবোকড়—যেখানে একসময় সেচের জন্য পানির সংকট থাকত, আজ তা সারা বছরই পানিতে তলিয়ে থাকে। ফলে ওই এলাকার কৃষকেরা তাদের জমিতে চাষ করতে পারছেন না। এই ধরনের অনিয়ন্ত্রিত ঘের খনন কৃষি জমির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে ইউএনও নিশাত তামান্নার এই সাহসী ও সময়োপযোগী অভিযানের ফলে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সচেতন মহল তাঁর এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও এরকম অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।