ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার অজ্ঞাতনামা ১(এক) পলাতক আসামী গ্রেফতার কালিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মচারী শূন্য, সেবায় অচলাবস্থা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন আগৈলঝাড়া সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই…মহাসচিব মির্জা ফখরুল.. ইসলাম আলমগীর পবিপ্রবির আইন অনুষদের নবীন বরণ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কওমী-সুন্নীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হঠাৎ নাটকীয় সমাপ্তি চন্দনাইশ থানার বিশেষ অভিযানে ২টি বন্দুক দেশীয় অস্ত্র সহ আসামি আটক পবিপ্রবিতে শৈবাল গবেষণা, খাবার ও প্রসাধনী শিল্পে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত শৃঙ্খলা ও দক্ষতার অঙ্গীকারে বরগুনায় আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী সাতক্ষীরায় কথিত সাংবাদিক আলামিন সরদারের চাঁদাবাজিতে বিপাকে কর্মকর্তা—কর্মচারী ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদরা

কালীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ভিজি এফ এর চাউল আত্মসাৎের অভিযোগ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

মুসফিকুর রহমান কাজল, ক্রাইম রিপোর্টার, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ চাউল বিতরনে নয়ছয়ের অভিযোগ। চাউল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৭ নং ওয়াড কাউন্সিলর মোক্তার হোসেন এর বিরুদ্ধে। কালীগঞ্জ পৌর এলাকার আড়পাড়া ও নদী পাড়ার ছয় থেকে সাত জন কার্ড পাওয়া সত্ত্বেও চাউল পাইনি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সাপেক্ষে, খোজ নিয়ে জানা যায়, অনেকের কার্ড না থাকা সত্ত্বেও আত্মীয় স্বজন হিসাবে চাউল পেয়েছেন, কিন্তু কার্ড পেয়েও চাউল পায়নি ছয় থেকে সাতজন, এরকমই অভিযোগ ভুক্ত ভোগীদের। কার্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিজি এফ চাল আনতে যায় মো শরিফুল ইসলাম জুরু, কিন্তু সেখানে গেলে তাকে বলা হয়, চাউল আর এক পোয়াও নেই, চাউল কোথা থেকে দেব। তখন জুরু বলেন আমার যে কার্ড আছে। তখন তারা বলে কার্ড আছে ঠিক আছে আগামিতে দেব। এ কথা শুনে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি চলে আসে জরু। জরুর মতো এরকম ছয় থেকে সাতজন কার্ড আছে কিন্তু চাল পায়নি। দুইজন মহিলা কাছ থেকে জানা যায় তাদের বলা হয়েছে কার্ড আছে বাড়ি রেখে দেও, পরে কুরবানী ঈদে তোমাদের দেব। এভাবে গরিব দুস্থ অসহায় দের চাল না দেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও কয়েকজ অভিযোগ করে বলেন ৭ নং ওয়াড কাউন্সিলর মোক্তার সরকারী চাউল ওজনে কম দিয়েছেন।

স্থানীয় জনগণ এই বিষয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে ঈদের খুশি বিতরণ করতে এই সকল চাউল দিয়েছেন, কিন্তু কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ মানুষ সেই সব চাউল মেরে খাচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আহবান জানাচ্ছি।

এবিষয়ে কাউন্সিলর মোক্তার এর সাথে কথা হলে তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন আমার যেটা ভালো মনে হয়েছে তাই করেছি, পারলে আপনি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সাপেক্ষে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান এর সাথে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নিয়মের বাইরে কেউ গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কালীগঞ্জ পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ভিজি এফ এর চাউল আত্মসাৎের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

মুসফিকুর রহমান কাজল, ক্রাইম রিপোর্টার, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ চাউল বিতরনে নয়ছয়ের অভিযোগ। চাউল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৭ নং ওয়াড কাউন্সিলর মোক্তার হোসেন এর বিরুদ্ধে। কালীগঞ্জ পৌর এলাকার আড়পাড়া ও নদী পাড়ার ছয় থেকে সাত জন কার্ড পাওয়া সত্ত্বেও চাউল পাইনি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সাপেক্ষে, খোজ নিয়ে জানা যায়, অনেকের কার্ড না থাকা সত্ত্বেও আত্মীয় স্বজন হিসাবে চাউল পেয়েছেন, কিন্তু কার্ড পেয়েও চাউল পায়নি ছয় থেকে সাতজন, এরকমই অভিযোগ ভুক্ত ভোগীদের। কার্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিজি এফ চাল আনতে যায় মো শরিফুল ইসলাম জুরু, কিন্তু সেখানে গেলে তাকে বলা হয়, চাউল আর এক পোয়াও নেই, চাউল কোথা থেকে দেব। তখন জুরু বলেন আমার যে কার্ড আছে। তখন তারা বলে কার্ড আছে ঠিক আছে আগামিতে দেব। এ কথা শুনে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি চলে আসে জরু। জরুর মতো এরকম ছয় থেকে সাতজন কার্ড আছে কিন্তু চাল পায়নি। দুইজন মহিলা কাছ থেকে জানা যায় তাদের বলা হয়েছে কার্ড আছে বাড়ি রেখে দেও, পরে কুরবানী ঈদে তোমাদের দেব। এভাবে গরিব দুস্থ অসহায় দের চাল না দেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও কয়েকজ অভিযোগ করে বলেন ৭ নং ওয়াড কাউন্সিলর মোক্তার সরকারী চাউল ওজনে কম দিয়েছেন।

স্থানীয় জনগণ এই বিষয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে ঈদের খুশি বিতরণ করতে এই সকল চাউল দিয়েছেন, কিন্তু কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ মানুষ সেই সব চাউল মেরে খাচ্ছে, এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আহবান জানাচ্ছি।

এবিষয়ে কাউন্সিলর মোক্তার এর সাথে কথা হলে তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন আমার যেটা ভালো মনে হয়েছে তাই করেছি, পারলে আপনি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সাপেক্ষে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান এর সাথে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নিয়মের বাইরে কেউ গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে