কালিগঞ্জের উজয়মারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ আবু সাঈদসহ তার ছোট ভাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ১১:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ-
কালিগঞ্জের উজয়মারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অত্যন্ত ধৃত,প্রতারক,পরসম্পদলোভী, আত্মসাৎকারী, একাধিক বিয়ের হোতা ,সর্বোপরি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনকারী ব্যক্তি শেখ আবু সাঈদের সাথে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামের মোছাঃ কেয়া পারভীনের সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ১৬/০৬/২০১৭ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।মেয়ের সুখের আশায় মেয়ের বাবা মোটরসাইকেল খরিদ বাবদ নগদ টাকা, বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালঙ্কার,ফ্রিজ ,টিভি ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার জন্য বিয়ের সময় নগদ ৪,৫০,০০০ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করা কালে দেবর আব্দুস সাত্তার ও ননদ মাছুরা খাতুনের কুপরামর্শে তার স্বামী তাকে তাকে ২,০০০০০ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। মেয়ের বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঐ নারীকে কাল,চড় ও ঘুষি মারিয়া এক বস্ত্রে বাড়ি থেকে বাহির করিয়া দেয়।ঐ নারী নিরুপায় হইয়া বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এবং আপোষ মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ,জেলা লিগ্যাল এইড,জেলা প্রশাসন, জেলা মহিলা ও আইন সালিশ কেন্দ্রে অভিযোগ দিলে কোন নোটিশ গ্রহণ করে নি এবং গরহাজির ছিল। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ঐ নারীর পিতা আপোষ মীমাংসার জন্য তাদের বাড়িতে দাওয়াত করিলে রাতে খাওয়া দাওয়ার পূর্বে আসিয়া নারী তার বাবার ঘরে অবস্থান করাকালে তারা প্রবেশ করে এবং যৌতুকের ২,০০০০০ টাকা না দিলে খাওয়া দাওয়া করবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করে। ভুক্তভোগী ঐ নারী তার বাবার আর্থিক অসচ্ছলতার কথা প্রকাশ করিলে তার স্বামী তাকে বলে আমাদেরকে টাকা দেওয়ার জন্য তো দাওয়াত করা হয়েছে। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দেবর ঘরের বাইর হতে কাঠের চালা তার স্বামীর হাতে দেয় এবং তার স্বামী ঐ নারীর মাথা বরাবর আঘাত করিতে গেলে দুই হাত দিয়ে বাঁধা দেয়, তখন হাতে কালশিরা ও রক্ত জমাট বাঁধে।পরে তারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার স্বামী তার উপর চেপে ধরে, তার দেবর ও ননদ ঘরে থাকা গামছা দ্বারা দেবর গলায় টানতে থাকে এবং ননদ পা চেপে রাখে। পরবর্তীতে তার গোঙানির শব্দে তার পরিবার যখন জানতে পারে তখন দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করা হলে অবস্থার অবনতি হলে গত ১৩/১১/২০২৪ হতে ১৬/১১/২০২৪ তারিখ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শরীরের জখমসমূহ চিকিৎসা করেন। পরবর্তীতে বিঙ্গ নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরায় মামলা দায়ের করা হলে ১১( খ)( গ) ধারা মোতাবেক এফ আই আর আদেশ করে ।পরে গত ২৩/০১/২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেনের নির্দেশে থানা থেকে ফোর্স গিয়ে উজয়মারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদকে স্কুলের সামনে থেকে গ্রেফতার করে এবং তার ছোট ভাইকে ঐ রাতেই আশাশুনি থেকে গ্রেফতার করে। এবং তার ননদ মাছুরা খাতুন এখনো পলাতক আছে। পরে অফিসার্স ইনচার্জ ( ওসি) নোমান হোসেন বলেন,আসামীদ্বয় কে সাতক্ষীরা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।