ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অন্ধকারে আলোর পথ দেখালেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নেই সোলার লাইট স্থাপন এস আলমের ২০০ একর জমি ক্রোকের আদেশ দিনাজপুরে সংগঠিত হয়ে গেল রংপুর বিভাগীয় কমিটির কর্মীসভা মনিরামপুরে বিএনপির ঐতিহাসিক ঐক্য: একক প্রার্থীর পক্ষে একতাবদ্ধ নেতা-কর্মীরা নেকমরদ সরকারি কলেজের প্রাচীর ঘেঁষে ঘর নির্মাণ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি’র অভিযানে মাদক ও অস্ত্র সহ ৪ জন গ্ৰেফতার শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ০২ জন জলদস্যু গ্রেফতার চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত বাড়ছে ধীরে ধীরে রংপুর জেলার গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় খেজুর বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিষপানে গৃহবধূর মৃত্যু

কালকিনিতে পরিছন্নকর্মীর ডেলিভারিতে গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ:

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

কালকিনিতে পরিছন্নকর্মীর ডেলিভারিতে গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ:

পরিছন্নকর্মীর ডেলিভারিতে মাদারীপুরের কালকিনিতে মোসা. রহিমা বেফগম-(৩২) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাহেবরামপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে হাসপাতালে ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করিছেন পরিছন্ন কর্মী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
এলাকা ও ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামের মো. জুয়েল ঘরামীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসা. রহিমা বেগম গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে সাহেবরামপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে কোন কর্তব্যরত ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় বুধবার গভীর রাতে শিশু কল্যান কেন্দ্রের পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান মিলে ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করেন। এতে করে ওই গৃহবধু অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে তাকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

ভূক্তভোগীর স্বামী মো. জুয়েল ঘরামী কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসা. রহিমা বেগম অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখানে কোন ডাত্তার না থাকায় সেখানের পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান মিলে নরমাল ডেলিভারি করেন। আমরা এখানে নিয়মিত ডাক্তার চাই। ডাক্তার থাকলে আমার স্ত্রী মারা যেত না।

অভিযুক্ত পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান বলেন, এখানে ডাক্তার না থাকায় আমরা ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করেছি। আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শীকা নুপুর বেগমকে ফোন দিলে তার নাম্বার বন্ধ পেয়েছি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শীকা নুপুর বেগম বলেন, আমার সপ্তাহে দুইদিন সেখানে ডিউটি রয়েছে। তাই আমি সেখানে উপস্থিত থাকিনি।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল্লাহ আকিব বলেন, পরিছন্ন কর্মী ও নৈশ্য প্রহরীর ডেলিভারি করার বিষয়টি জেনেছি। তবে গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটননা দুঃখ জনক।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

কালকিনিতে পরিছন্নকর্মীর ডেলিভারিতে গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ:

আপডেট সময় : ১২:১৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কালকিনিতে পরিছন্নকর্মীর ডেলিভারিতে গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ:

পরিছন্নকর্মীর ডেলিভারিতে মাদারীপুরের কালকিনিতে মোসা. রহিমা বেফগম-(৩২) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাহেবরামপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে হাসপাতালে ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করিছেন পরিছন্ন কর্মী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
এলাকা ও ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামের মো. জুয়েল ঘরামীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসা. রহিমা বেগম গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে সাহেবরামপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে কোন কর্তব্যরত ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় বুধবার গভীর রাতে শিশু কল্যান কেন্দ্রের পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান মিলে ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করেন। এতে করে ওই গৃহবধু অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে তাকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

ভূক্তভোগীর স্বামী মো. জুয়েল ঘরামী কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসা. রহিমা বেগম অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখানে কোন ডাত্তার না থাকায় সেখানের পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান মিলে নরমাল ডেলিভারি করেন। আমরা এখানে নিয়মিত ডাক্তার চাই। ডাক্তার থাকলে আমার স্ত্রী মারা যেত না।

অভিযুক্ত পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান বলেন, এখানে ডাক্তার না থাকায় আমরা ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করেছি। আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শীকা নুপুর বেগমকে ফোন দিলে তার নাম্বার বন্ধ পেয়েছি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শীকা নুপুর বেগম বলেন, আমার সপ্তাহে দুইদিন সেখানে ডিউটি রয়েছে। তাই আমি সেখানে উপস্থিত থাকিনি।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল্লাহ আকিব বলেন, পরিছন্ন কর্মী ও নৈশ্য প্রহরীর ডেলিভারি করার বিষয়টি জেনেছি। তবে গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটননা দুঃখ জনক।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।