ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা: যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল ০২ নং বন্দবিলা ইউনিয়নের ০৯ নং সাদীপুর ওয়ার্ড এর সাদীপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী জহুরপুর ইউনিয়নের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত শাল্লা উপজেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হরিপুরে ফাঁদ পদ্ধতিতে মাজরা পোকা দমন সাবেক এমপি রনজিত রায় ও স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ দৈনিক সকালে খোঁজ খবর পত্রিকার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন বাকৃবির অধ্যাপক আগৈলঝাড়ায় গৈলা বাজার বণিক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

কাঁদতে কাঁদতে থানায় গিয়ে পুলিশকে ধর্ষণের ঘটনা জানাল মেয়েটি

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ১৩১ বার পড়া হয়েছে

কাঁদতে কাঁদতে থানায় গিয়ে পুলিশকে ধর্ষণের ঘটনা জানাল মেয়েটি

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় গৃহকর্মী এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ ও এই কাজে সহায়তার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা, ওই কিশোরীর মা এবং স্থানীয় একজন বাসিন্দা আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গত রবিবার বিকেলে জুড়ী থানায় মামলা করেছিল ওই কিশোরী।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরের দিকে ওই কিশোরী একা থানায় গিয়ে কেঁদে কেঁদে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ব্যবসায়ী শামসুজ্জামান ওরফে রানু (৬০), কিশোরীর মা (৪০) ও উপজেলার এক বাসিন্দা শফিকুল ইসলামকে (৪০) আটক করে। পরে কিশোরীর করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর বাবা বেঁচে নেই। আটক শফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নেতা শামসুজ্জামানের পূর্বপরিচিত। তাঁর (শফিকুল) সহযোগিতায় কিশোরীর মা প্রায় তিন মাস আগে শামসুজ্জামানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে যান। বাসায় শামসুজ্জামান একা থাকেন। তাঁর দুই স্ত্রীর একজন সিলেট নগরে এবং আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। এ দিকে বাসার মালিকের পরামর্শে কিশোরীর মা কাজে সহযোগিতার জন্য মাসখানেক আগে মেয়েকে সেখানে নিয়ে যান। এ সময় মালিক মেয়েকে ধর্ষণ করেন। কিশোরী তার মাকে ঘটনাটি জানালেও মা চুপ থাকেন। এরপর ওই বাসা থেকে পালিয়ে অন্যত্র কাজে চলে যায় কিশোরী। শামসুজ্জামান পরে শফিকুলের সহযোগিতায় আবারও কিশোরীকে খুঁজে বের করে আনেন। বাসায় যাওয়ার পর কিশোরীর ওপর আর নির্যাতন চালানো হবে না বলে মালিক কথা দেন। কিন্তু গত ১ মার্চ আবারও তিনি কিশোরীকে কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর কিশোরী বাসা থেকে আবারও পালায়। গতকাল দুপুরের দিকে সে একা জুড়ী থানায় গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ওসিকে ঘটনাটি জানায়।
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীর মা যৌন নির্যাতনে সহায়তার কথা স্বীকার করেছেন। অভাব-অনটনের কারণে টাকার লোভে এ রকম করেছেন বলে জানান। তবে শামসুজ্জামান অপরাধ অস্বীকার করেছেন। তিন আসামিকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান এসআই সিরাজুল।
আওয়ামী লীগ নেতা শামসুজ্জামান পুলিশের হেফাজতে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শামসুজ্জামানের দুজন প্রতিবেশী বলেন, শামসুজ্জামান এ কাজ করবেন, সেটা তাঁদের বিশ্বাস হচ্ছে না। ঘটনাটি ‘চক্রান্ত’ হতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ।
আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতি মাসুক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনে যা হওয়ার তা হবে। কেউ অপকর্ম করলে দল এর দায় নেবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

কাঁদতে কাঁদতে থানায় গিয়ে পুলিশকে ধর্ষণের ঘটনা জানাল মেয়েটি

আপডেট সময় : ০৬:২৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

কাঁদতে কাঁদতে থানায় গিয়ে পুলিশকে ধর্ষণের ঘটনা জানাল মেয়েটি

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় গৃহকর্মী এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ ও এই কাজে সহায়তার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা, ওই কিশোরীর মা এবং স্থানীয় একজন বাসিন্দা আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গত রবিবার বিকেলে জুড়ী থানায় মামলা করেছিল ওই কিশোরী।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরের দিকে ওই কিশোরী একা থানায় গিয়ে কেঁদে কেঁদে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ব্যবসায়ী শামসুজ্জামান ওরফে রানু (৬০), কিশোরীর মা (৪০) ও উপজেলার এক বাসিন্দা শফিকুল ইসলামকে (৪০) আটক করে। পরে কিশোরীর করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর বাবা বেঁচে নেই। আটক শফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নেতা শামসুজ্জামানের পূর্বপরিচিত। তাঁর (শফিকুল) সহযোগিতায় কিশোরীর মা প্রায় তিন মাস আগে শামসুজ্জামানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে যান। বাসায় শামসুজ্জামান একা থাকেন। তাঁর দুই স্ত্রীর একজন সিলেট নগরে এবং আরেকজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। এ দিকে বাসার মালিকের পরামর্শে কিশোরীর মা কাজে সহযোগিতার জন্য মাসখানেক আগে মেয়েকে সেখানে নিয়ে যান। এ সময় মালিক মেয়েকে ধর্ষণ করেন। কিশোরী তার মাকে ঘটনাটি জানালেও মা চুপ থাকেন। এরপর ওই বাসা থেকে পালিয়ে অন্যত্র কাজে চলে যায় কিশোরী। শামসুজ্জামান পরে শফিকুলের সহযোগিতায় আবারও কিশোরীকে খুঁজে বের করে আনেন। বাসায় যাওয়ার পর কিশোরীর ওপর আর নির্যাতন চালানো হবে না বলে মালিক কথা দেন। কিন্তু গত ১ মার্চ আবারও তিনি কিশোরীকে কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর কিশোরী বাসা থেকে আবারও পালায়। গতকাল দুপুরের দিকে সে একা জুড়ী থানায় গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ওসিকে ঘটনাটি জানায়।
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীর মা যৌন নির্যাতনে সহায়তার কথা স্বীকার করেছেন। অভাব-অনটনের কারণে টাকার লোভে এ রকম করেছেন বলে জানান। তবে শামসুজ্জামান অপরাধ অস্বীকার করেছেন। তিন আসামিকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান এসআই সিরাজুল।
আওয়ামী লীগ নেতা শামসুজ্জামান পুলিশের হেফাজতে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শামসুজ্জামানের দুজন প্রতিবেশী বলেন, শামসুজ্জামান এ কাজ করবেন, সেটা তাঁদের বিশ্বাস হচ্ছে না। ঘটনাটি ‘চক্রান্ত’ হতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ।
আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতি মাসুক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনে যা হওয়ার তা হবে। কেউ অপকর্ম করলে দল এর দায় নেবে না।’