ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রংপুরে অ্যাডভান্স প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যশোরের পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ সহ ৪ এসপি প্রত্যাহার ঢাকা ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের হেনস্থা রাউজান প্রেস ক্লাবের প্রবিবাদ ও তীব্র নিন্দা বাকৃবিতে প্রায় ছয় শতাধিক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উপস্থাপন শাল্লায় মাদারিয়া বাঁধে ফাটল জয়পুরে নেই পিআইসি ঝুঁকির মুখে ছায়ার হাওর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে শিশির মনির  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদেশ দেওয়ার পরেও বৈধ শিক্ষক এরশাদের বেতন আটকিয়ে রেখে দাপট দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ ঢাকা সাভার পৌরসভার কুলিবিট ইজারা ৩ মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের

এসএসসি পরীক্ষায় ১১ শিক্ষকক অব্যাহতি ও পাঁচ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৪১ বার পড়া হয়েছে

 

বগুড়ার শিবগঞ্জে চলতি এসএসসি পরীক্ষা হলে স্মার্ট ফোন (মোবাইল) ব্যবহারের দায়ে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১১ শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার উপজেলার গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে।

জানা যায়, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ২য় দিনে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই কেন্দ্রের শিক্ষকদের সহযোগিতায় এমন অসাদুপায় অবলম্বন করার দায়ে ১১ জন কক্ষ পরিদর্শককে অব্যাহতি ও ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অব্যাহতি প্রাপ্ত কক্ষ পরিদর্শকরা হলেন, উপজেলার অভিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলাশ চন্দ্র রায়, ভরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়শা সিতারা, আব্দুল হাকিম, চন্ডিহারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কামরুল, হাবিবা, দেউলী জহুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, অঞ্জলী রানী রায়, গাংনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের উজ্জ্বল কুমার, আব্দুস সামাদ ও মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মফিজুল ইসলাম। অসাদুপায় অবলম্বন ও স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দায়ে ধাওয়াগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩জন, গুজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১জন ও মহাব্বত নন্দীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের রোল নং হলো ১৮৪০৬১, ১৮৪১১৭, ১৮৪১৪১ ১১৩৮৭৮ ও ৪৭৮৮৮ ।

ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হক বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন যথারীতি পরীক্ষার্থীদের তল্লাশী করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। পরীক্ষার্থীরা স্মার্ট ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

এব্যপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ঐ ১১ কক্ষ পরিদর্শকের সহযোগিতায় স্মার্টফোন দ্বারা প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে উত্তরপত্রের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাহিরে পাঠিয়ে দেয়। প্রশ্নপত্র পেয়ে বাহির থেকে উত্তরপত্র পরীক্ষার হলে সরবরাহ করা হয়। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিষয়টি টের পেয়ে ৫টি কক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে ৫টি স্মার্ট ফোন পাওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয় এবং তাদেরকে সহযোগিতার জন্য ১১জন কক্ষ পরদির্শককেও পরীক্ষার চলতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

এসএসসি পরীক্ষায় ১১ শিক্ষকক অব্যাহতি ও পাঁচ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

বগুড়ার শিবগঞ্জে চলতি এসএসসি পরীক্ষা হলে স্মার্ট ফোন (মোবাইল) ব্যবহারের দায়ে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১১ শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার উপজেলার গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে।

জানা যায়, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ২য় দিনে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই কেন্দ্রের শিক্ষকদের সহযোগিতায় এমন অসাদুপায় অবলম্বন করার দায়ে ১১ জন কক্ষ পরিদর্শককে অব্যাহতি ও ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অব্যাহতি প্রাপ্ত কক্ষ পরিদর্শকরা হলেন, উপজেলার অভিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলাশ চন্দ্র রায়, ভরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়শা সিতারা, আব্দুল হাকিম, চন্ডিহারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কামরুল, হাবিবা, দেউলী জহুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, অঞ্জলী রানী রায়, গাংনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের উজ্জ্বল কুমার, আব্দুস সামাদ ও মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মফিজুল ইসলাম। অসাদুপায় অবলম্বন ও স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দায়ে ধাওয়াগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩জন, গুজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১জন ও মহাব্বত নন্দীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের রোল নং হলো ১৮৪০৬১, ১৮৪১১৭, ১৮৪১৪১ ১১৩৮৭৮ ও ৪৭৮৮৮ ।

ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হক বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন যথারীতি পরীক্ষার্থীদের তল্লাশী করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। পরীক্ষার্থীরা স্মার্ট ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

এব্যপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ঐ ১১ কক্ষ পরিদর্শকের সহযোগিতায় স্মার্টফোন দ্বারা প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে উত্তরপত্রের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাহিরে পাঠিয়ে দেয়। প্রশ্নপত্র পেয়ে বাহির থেকে উত্তরপত্র পরীক্ষার হলে সরবরাহ করা হয়। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিষয়টি টের পেয়ে ৫টি কক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে ৫টি স্মার্ট ফোন পাওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয় এবং তাদেরকে সহযোগিতার জন্য ১১জন কক্ষ পরদির্শককেও পরীক্ষার চলতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।